১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

যে ভাবে মানুষ জড়িয়ে পড়ছে অনলাইন জুয়ায় (পর্ব ১)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • 43

সারাক্ষণ রিপোর্ট

বাংলাদেশে প্রযুক্তির বিস্তার যেমন ডিজিটাল সেবা সহজলভ্য করেছে, তেমনি এক অন্ধকার দিককেও উন্মুক্ত করেছে—অনলাইন জুয়া। দিনে দিনে এটি একটি সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ জড়িয়ে পড়ছে অনলাইন জুয়ায়।

প্রলোভনের চক্র: লোভনীয় বিজ্ঞাপন আর দ্রুত অর্থের আশ্বাস

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দেখা যায় বিভিন্ন ‘স্পোর্টস বেটিং’ বা ‘লাইভ ক্যাসিনো’ জাতীয় সাইটের চটকদার বিজ্ঞাপন। ফেসবুক, ইউটিউব, বিগো লাইভ, টিকটক এমনকি প্লে-স্টোরেও পাওয়া যায় এইসব অ্যাপ। বিজ্ঞাপনগুলোতে বলা হয়—“১০০ টাকা দিলেই ১০০০ টাকা” অথবা “এক ক্লিকে ইনকাম করুন হাজার হাজার টাকা।”

এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মূলত তরুণদের টার্গেট করা হয়। বিশেষ করে যারা চাকরিহীন, শিক্ষাজীবনে হতাশ, কিংবা হঠাৎ অর্থ উপার্জনের সুযোগ খুঁজছেন।

কাপাসিয়ার একজন ছোট ব্যবসায়ীর ঘটনা

আলম আহমদ, কাপাসিয়ার একজন ব্যবসায়ী। এক বন্ধুর মাধ্যমে তিনি ‘জুয়া বাবু ৮৮’ নামক একটি সাইটে প্রথম জড়িয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, “প্রথমে পর পর দুই দিনে মোট এক লাখ হাজার টাকা জিতেছিলাম, তখন বিশ্বাস করি এটা সত্যিই লাভজনক। কিন্তু এরপর একটার পর একটা লোকসান… বের হতে পারিনি।”

শুরুতেই জেতার অভিজ্ঞতা: একটি কৌশলী ফাঁদ

বিশেষজ্ঞদের মতে, জুয়ার চক্রগুলো শুরুতে ব্যবহারকারীদের কিছুটা লাভ করিয়ে ফাঁদে ফেলে। এতে ব্যবহারকারী আসক্ত হয়ে পড়ে এবং পুনরায় বাজি ধরতে উৎসাহী হয়।


এর পর থেকে ক্রমাগত লোকসান হয়, কিন্তু তখনও ব্যবহারকারী বাজি থামাতে পারে না—এটাই আসক্তির মূল লক্ষণ।

বিশ্লেষকের মতামত: নৈতিক অধঃপতনের বড় কারণ

ড. তৌহিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের একজন অপরাধ বিশ্লেষক বলেন,
“এই জুয়ার উদ্দেশ্য হলো তরুণদের মনে দ্রুত আয় করার লোভ ঢুকিয়ে ধাপে ধাপে তাদের অর্থ ও নৈতিকতা উভয়কেই ধ্বংস করা।”

যে ভাবে মানুষ জড়িয়ে পড়ছে অনলাইন জুয়ায় (পর্ব ১)

০৭:০০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

বাংলাদেশে প্রযুক্তির বিস্তার যেমন ডিজিটাল সেবা সহজলভ্য করেছে, তেমনি এক অন্ধকার দিককেও উন্মুক্ত করেছে—অনলাইন জুয়া। দিনে দিনে এটি একটি সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ জড়িয়ে পড়ছে অনলাইন জুয়ায়।

প্রলোভনের চক্র: লোভনীয় বিজ্ঞাপন আর দ্রুত অর্থের আশ্বাস

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দেখা যায় বিভিন্ন ‘স্পোর্টস বেটিং’ বা ‘লাইভ ক্যাসিনো’ জাতীয় সাইটের চটকদার বিজ্ঞাপন। ফেসবুক, ইউটিউব, বিগো লাইভ, টিকটক এমনকি প্লে-স্টোরেও পাওয়া যায় এইসব অ্যাপ। বিজ্ঞাপনগুলোতে বলা হয়—“১০০ টাকা দিলেই ১০০০ টাকা” অথবা “এক ক্লিকে ইনকাম করুন হাজার হাজার টাকা।”

এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মূলত তরুণদের টার্গেট করা হয়। বিশেষ করে যারা চাকরিহীন, শিক্ষাজীবনে হতাশ, কিংবা হঠাৎ অর্থ উপার্জনের সুযোগ খুঁজছেন।

কাপাসিয়ার একজন ছোট ব্যবসায়ীর ঘটনা

আলম আহমদ, কাপাসিয়ার একজন ব্যবসায়ী। এক বন্ধুর মাধ্যমে তিনি ‘জুয়া বাবু ৮৮’ নামক একটি সাইটে প্রথম জড়িয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, “প্রথমে পর পর দুই দিনে মোট এক লাখ হাজার টাকা জিতেছিলাম, তখন বিশ্বাস করি এটা সত্যিই লাভজনক। কিন্তু এরপর একটার পর একটা লোকসান… বের হতে পারিনি।”

শুরুতেই জেতার অভিজ্ঞতা: একটি কৌশলী ফাঁদ

বিশেষজ্ঞদের মতে, জুয়ার চক্রগুলো শুরুতে ব্যবহারকারীদের কিছুটা লাভ করিয়ে ফাঁদে ফেলে। এতে ব্যবহারকারী আসক্ত হয়ে পড়ে এবং পুনরায় বাজি ধরতে উৎসাহী হয়।


এর পর থেকে ক্রমাগত লোকসান হয়, কিন্তু তখনও ব্যবহারকারী বাজি থামাতে পারে না—এটাই আসক্তির মূল লক্ষণ।

বিশ্লেষকের মতামত: নৈতিক অধঃপতনের বড় কারণ

ড. তৌহিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের একজন অপরাধ বিশ্লেষক বলেন,
“এই জুয়ার উদ্দেশ্য হলো তরুণদের মনে দ্রুত আয় করার লোভ ঢুকিয়ে ধাপে ধাপে তাদের অর্থ ও নৈতিকতা উভয়কেই ধ্বংস করা।”