০৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

শিল্পে টানা গ্যাস সংকট, উৎপাদনে ভাটা

  • Sarakhon Report
  • ০৯:১০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • 79

সারাক্ষণ ডেস্ক

সমকালের একটি শিরোনাম “শিল্পে টানা গ্যাস সংকট, উৎপাদনে ভাটা”

চাহিদার তুলনায় গ্যাস মিলছে ৪০ শতাংশ কম। কলকারখানার চাকা ঘুরছে ধুঁকে ধুঁকে। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ভালুকাসহ দেশের সব শিল্পাঞ্চলেই অভিন্ন পরিস্থিতি। সবচেয়ে বিপদে পড়েছে দেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাত। গ্যাসের অভাবে ঝুঁকিতে পড়েছে এ খাতের ৭০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ।
রাতে মিললেও দিনে গ্যাস যেন দুষ্প্রাপ্য। কাজ না থাকায় অনেক কারখানার শ্রমিক দিনে অলস সময় কাটাচ্ছেন। রাত থেকে ভোর– এ সময়ে গ্যাসের চাপ বাড়লেই ঘোরে কারখানার চাকা। শ্রমিককে অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে সে সময় কাজে নামানো হয়।

অনেক উদ্যোক্তা সিএনজি, এলপিজি বা ডিজেল দিয়ে উৎপাদন ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। বিকল্প জ্বালানি ও অতিরিক্ত মজুরির কারণে উৎপাদন খরচ হচ্ছে দ্বিগুণ। খরচ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিছু কিছু কারখানা। গত আট মাসে শুধু নারায়ণগঞ্জেই ১৯ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে রপ্তানি আয়েও। মার্চের চেয়ে এপ্রিলে রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ১২৩ কোটি ডলার। এর পরও আমদানিকারকদের অর্ডার সময়মতো পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা। তারা বলছেন, সময়মতো পণ্য পাঠাতে না পারায় বাতিল হচ্ছে রপ্তানি আদেশ।

গ্যাস সংকটের এ পটভূমিতে আজ বুধবার শিল্প মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

কমছে গ্যাস সরবরাহ

কয়েক বছর ধরে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কমছে। এলএনজি আমদানি করে ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করা হলেও ডলার সংকট, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে সংকট কাটছে না। দেশে এখন দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। গতকাল মঙ্গলবার পেট্রোবাংলা সরবরাহ করেছে ২৭২ কোটি ঘনফুট গ্যাস। এর মধ্যে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে পাওয়া গেছে ১৮৮ কোটি ঘনফুট।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “কে কী বলল, যায় আসে না: আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ প্রসঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা”

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার যোগাযোগ স্থাপন করায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে দেশটির সামরিক সরকার। তবে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোসহ সীমান্তের অন্যান্য বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে জান্তার অসন্তুষ্টি আমলে না নিচ্ছেনা বাংলাদেশ।

অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান মঙ্গলবার (৭ মে) সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। সীমান্ত সুরক্ষার সঙ্গে সীমান্তের ওপারে যেই (নিয়ন্ত্রণে) থাকবে, তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে বাংলাদেশ। কে কী বলল, যায় আসে না।’

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের মাধ্যমে গত এক বছরে আরাকান আর্মি দেশটির বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্তবর্তী এলাকা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আসছে।এ বিষয়ে গত মার্চে একটি কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে জান্তা সরকার আপত্তি জানায়।

খলিলুর রহমান নলেন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করছে। মিয়ানমার সরকার আরাকান আর্মিকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারাও তো এ সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগে আছে।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ সীমান্ত সামাল দিতে হবে, রক্ষা করতে হবে, শান্তিপূর্ণ রাখতে হবে। ফলে ওপারে যে-ই থাক, তার সঙ্গে সরকার যোগাযোগ রাখবে। আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিযন্ত্রণে ছিল। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তারা যদি সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে, তখন আবার তাদের সঙ্গে সরকার যোগাযোগ রাখবে।’

গত এক বছরে লক্ষাধিক রোহিঙ্গার বাংলাদেশে প্রবেশের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি, নতুন করে যাতে রোহিঙ্গারা না আসে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আরাকান আর্মিকে বলা হয়েছে।

খলিলুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের রাখাইনে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যুক্ত করতেও জাতিসংঘের মাধ্যমে আরাকান আর্মিকে অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় প্রশাসনে যুক্ত করা না হলে তা হবে জাতিগত নিধনের একটি নিদর্শন। এমন অবস্থা হলে আারাকান আর্মির সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া মুশকিল হবে।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান, এসব বিষয়ে আরাকান আর্মির কাছ থেকে এসব বিষয়ে জবাব পাওয়ার জন্য সরকার অপেক্ষায় আছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “তরুণদের রাজনীতিতে আরো বেশি অংশগ্রহণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার”

স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এবং নিজ নিজ সমাজে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরো বেশি অংশগ্রহণের জন্য তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নরওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরুণ রাজনৈতিক কর্মীরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

সফররত নরওয়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে আছেন সমাজতান্ত্রিক যুব লীগের উপনেতা নাজমা আহমেদ, এইউএফের আন্তর্জাতিক নেতা এবং কেন্দ্রীয় বোর্ডের সদস্য ফাওজি ওয়ারসাম, সেন্টার পার্টির সদস্য ডেন স্কোফটেরুড, কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ওলা সোভেনেবি, খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটস সদস্য হ্যাডল রাসমাস জুল্যান্ড, গ্রিন পার্টির অঙ্গ সংগঠন গ্রিন ইয়ুথের সদস্য টোবিয়াস স্টোকল্যান্ড এবং ইনল্যান্ডেট ইয়াং লিবারেলের সাবেক নেতা থাইরা হাকনস্লোকেন।

প্রধান উপদেষ্টা তাদের রাজনৈতিক পটভূমি, দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি নরওয়ের মূলধারার রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণের শতকরা হার সম্পর্কেও জানতে চান। প্রধান উপদেষ্টা সফররত রাজনৈতিক কর্মীদের বলেন, ‘আমরা তরুণদের রাজনীতিতে আসতে উৎসাহিত করছি। না হলে তারা নীতিনির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে না।’ সফররত রাজনৈতিক কর্মীরা বাংলাদেশের তরুণদের সাক্ষাৎ নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বলেন, বাংলাদেশের এ তরুণদের অনেকেই তাদের জীবদ্দশায় ভোট দিতে পারেনি। তারা জানতে চান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কী করছে?

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন সরকারের প্রধান অঙ্গীকার, পদ্ধতিগত সংস্কার। গত ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তিন মেয়াদে ভুয়া ভোটিং ব্যবস্থা চালু ছিল, যদিও কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এটি একটি বিশাল সাফল্য, বাস্তবে কেউই ভোট দিতে পারেনি। তাই তরুণরা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার জরুরি।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সিলেটে আইনজীবী হত্যা : ছেলেসহ ৩ জনের ফাঁসি”

সিলেটে প্রবীণ আইনজীবী শামসুল ইসলাম চৌধুরী হত্যা মামলায় ছেলেসহ ৩ জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। গতকাল বিভাগীয় বিশেষ আদালতের বিচারক মো. শাহাদৎ হোসেন প্রামাণিক এই রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া মামলার রায়ে ১ জনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড আর ১ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- শামসুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মসুদ আহমদ চৌধুরী (মুন্না), মো. জাহের আলী ও মো. আনসার আহমেদ। সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি এডভোকেট আনছারুজ্জামান জানান- ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় কোনো আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল না, তারা পলাতক। এডভোকেট শামসুল ইসলাম চৌধুরীর চার কন্যা ও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। দুই কন্যা অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী, এক কন্যা ঢাকায় এবং অপর কন্যা সিলেটে শ্বশুরবাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। বড় ছেলে মাহমুদ আহমদ চৌধুরী পেশাগত কারণে সপরিবারে ঢাকায় থাকেন। ছোট পুত্র মুন্নাকে নিয়ে শামছুল ইসলাম চৌধুরী সিলেট নগরীর মীরবক্সটুলা এলাকায় আজাদী-১১০নং বাসায় বসবাস করতেন। ২০১১ সালের ১৭ই জুলাই শবেবরাতের রাতে নগরীর মীরবক্সটুলাস্থ বাসা থেকে নিখোঁজ হন শামসুল ইসলাম। এরপর মুন্না কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন। পরে ২২শে জুলাই মুন্না নিজেই আত্মগোপনে চলে যান। এ ঘটনায় ওই বছরের ৪ঠা আগস্ট মুন্নার বড় ভাই মাহমুদ আহমদ চৌধুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার এক সপ্তাহ পর র‌্যাব-৯ সদস্যরা আনসার, বোরহান ও রানুকে আটক করে এবং তার মধ্যে আনসার ও বোরহান আদালতে জবানবন্দি দেয়। ঘটনার পর ২৭শে আগস্ট পুলিশ সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদী থেকে শামছুল ইসলামের মরদেহের কিছু অংশ, পাঞ্জাবি ও টুপি উদ্ধার করে। পরে সেগুলোর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। এডভোকেট মো. আনছারুজ্জামান জানান, ২০১১ সালের ১৭ই জুলাই শবেবরাতের রাতে নামাজরত অবস্থা প্রবীণ আইনজীবী শামসুল ইসলাম চৌধুরীকে তার ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্না পেছন থেকে প্রথমে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় গাড়িতে তুলে সুনামগঞ্জের ছাতকের মল্লিকপুর এলাকার সুরমা নদীতে ফেলে দেয়। এর কয়েকদিন পর সুনামগঞ্জের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে সুরমা নদীতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় মুন্নাকে গাড়িচালকসহ তিনজন সহযোগিতা করে। তিনি জানান, চলতি বছরের ১০ই মার্চ মামলাটি সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে আসে। যুক্তি-তর্ক ও শুনানি হয় ২৪শে এপ্রিল। এরপর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিল্পে টানা গ্যাস সংকট, উৎপাদনে ভাটা

০৯:১০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

সমকালের একটি শিরোনাম “শিল্পে টানা গ্যাস সংকট, উৎপাদনে ভাটা”

চাহিদার তুলনায় গ্যাস মিলছে ৪০ শতাংশ কম। কলকারখানার চাকা ঘুরছে ধুঁকে ধুঁকে। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ভালুকাসহ দেশের সব শিল্পাঞ্চলেই অভিন্ন পরিস্থিতি। সবচেয়ে বিপদে পড়েছে দেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাত। গ্যাসের অভাবে ঝুঁকিতে পড়েছে এ খাতের ৭০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ।
রাতে মিললেও দিনে গ্যাস যেন দুষ্প্রাপ্য। কাজ না থাকায় অনেক কারখানার শ্রমিক দিনে অলস সময় কাটাচ্ছেন। রাত থেকে ভোর– এ সময়ে গ্যাসের চাপ বাড়লেই ঘোরে কারখানার চাকা। শ্রমিককে অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে সে সময় কাজে নামানো হয়।

অনেক উদ্যোক্তা সিএনজি, এলপিজি বা ডিজেল দিয়ে উৎপাদন ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। বিকল্প জ্বালানি ও অতিরিক্ত মজুরির কারণে উৎপাদন খরচ হচ্ছে দ্বিগুণ। খরচ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিছু কিছু কারখানা। গত আট মাসে শুধু নারায়ণগঞ্জেই ১৯ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে রপ্তানি আয়েও। মার্চের চেয়ে এপ্রিলে রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ১২৩ কোটি ডলার। এর পরও আমদানিকারকদের অর্ডার সময়মতো পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা। তারা বলছেন, সময়মতো পণ্য পাঠাতে না পারায় বাতিল হচ্ছে রপ্তানি আদেশ।

গ্যাস সংকটের এ পটভূমিতে আজ বুধবার শিল্প মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

কমছে গ্যাস সরবরাহ

কয়েক বছর ধরে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কমছে। এলএনজি আমদানি করে ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করা হলেও ডলার সংকট, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে সংকট কাটছে না। দেশে এখন দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। গতকাল মঙ্গলবার পেট্রোবাংলা সরবরাহ করেছে ২৭২ কোটি ঘনফুট গ্যাস। এর মধ্যে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে পাওয়া গেছে ১৮৮ কোটি ঘনফুট।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “কে কী বলল, যায় আসে না: আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ প্রসঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা”

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার যোগাযোগ স্থাপন করায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে দেশটির সামরিক সরকার। তবে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোসহ সীমান্তের অন্যান্য বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে জান্তার অসন্তুষ্টি আমলে না নিচ্ছেনা বাংলাদেশ।

অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান মঙ্গলবার (৭ মে) সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। সীমান্ত সুরক্ষার সঙ্গে সীমান্তের ওপারে যেই (নিয়ন্ত্রণে) থাকবে, তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে বাংলাদেশ। কে কী বলল, যায় আসে না।’

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের মাধ্যমে গত এক বছরে আরাকান আর্মি দেশটির বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্তবর্তী এলাকা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আসছে।এ বিষয়ে গত মার্চে একটি কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে জান্তা সরকার আপত্তি জানায়।

খলিলুর রহমান নলেন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করছে। মিয়ানমার সরকার আরাকান আর্মিকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারাও তো এ সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগে আছে।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ সীমান্ত সামাল দিতে হবে, রক্ষা করতে হবে, শান্তিপূর্ণ রাখতে হবে। ফলে ওপারে যে-ই থাক, তার সঙ্গে সরকার যোগাযোগ রাখবে। আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিযন্ত্রণে ছিল। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তারা যদি সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে, তখন আবার তাদের সঙ্গে সরকার যোগাযোগ রাখবে।’

গত এক বছরে লক্ষাধিক রোহিঙ্গার বাংলাদেশে প্রবেশের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি, নতুন করে যাতে রোহিঙ্গারা না আসে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আরাকান আর্মিকে বলা হয়েছে।

খলিলুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের রাখাইনে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যুক্ত করতেও জাতিসংঘের মাধ্যমে আরাকান আর্মিকে অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় প্রশাসনে যুক্ত করা না হলে তা হবে জাতিগত নিধনের একটি নিদর্শন। এমন অবস্থা হলে আারাকান আর্মির সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া মুশকিল হবে।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান, এসব বিষয়ে আরাকান আর্মির কাছ থেকে এসব বিষয়ে জবাব পাওয়ার জন্য সরকার অপেক্ষায় আছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “তরুণদের রাজনীতিতে আরো বেশি অংশগ্রহণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার”

স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এবং নিজ নিজ সমাজে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরো বেশি অংশগ্রহণের জন্য তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নরওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরুণ রাজনৈতিক কর্মীরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

সফররত নরওয়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে আছেন সমাজতান্ত্রিক যুব লীগের উপনেতা নাজমা আহমেদ, এইউএফের আন্তর্জাতিক নেতা এবং কেন্দ্রীয় বোর্ডের সদস্য ফাওজি ওয়ারসাম, সেন্টার পার্টির সদস্য ডেন স্কোফটেরুড, কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ওলা সোভেনেবি, খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটস সদস্য হ্যাডল রাসমাস জুল্যান্ড, গ্রিন পার্টির অঙ্গ সংগঠন গ্রিন ইয়ুথের সদস্য টোবিয়াস স্টোকল্যান্ড এবং ইনল্যান্ডেট ইয়াং লিবারেলের সাবেক নেতা থাইরা হাকনস্লোকেন।

প্রধান উপদেষ্টা তাদের রাজনৈতিক পটভূমি, দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি নরওয়ের মূলধারার রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণের শতকরা হার সম্পর্কেও জানতে চান। প্রধান উপদেষ্টা সফররত রাজনৈতিক কর্মীদের বলেন, ‘আমরা তরুণদের রাজনীতিতে আসতে উৎসাহিত করছি। না হলে তারা নীতিনির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে না।’ সফররত রাজনৈতিক কর্মীরা বাংলাদেশের তরুণদের সাক্ষাৎ নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বলেন, বাংলাদেশের এ তরুণদের অনেকেই তাদের জীবদ্দশায় ভোট দিতে পারেনি। তারা জানতে চান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কী করছে?

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন সরকারের প্রধান অঙ্গীকার, পদ্ধতিগত সংস্কার। গত ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তিন মেয়াদে ভুয়া ভোটিং ব্যবস্থা চালু ছিল, যদিও কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এটি একটি বিশাল সাফল্য, বাস্তবে কেউই ভোট দিতে পারেনি। তাই তরুণরা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার জরুরি।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সিলেটে আইনজীবী হত্যা : ছেলেসহ ৩ জনের ফাঁসি”

সিলেটে প্রবীণ আইনজীবী শামসুল ইসলাম চৌধুরী হত্যা মামলায় ছেলেসহ ৩ জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। গতকাল বিভাগীয় বিশেষ আদালতের বিচারক মো. শাহাদৎ হোসেন প্রামাণিক এই রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া মামলার রায়ে ১ জনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড আর ১ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- শামসুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মসুদ আহমদ চৌধুরী (মুন্না), মো. জাহের আলী ও মো. আনসার আহমেদ। সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি এডভোকেট আনছারুজ্জামান জানান- ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় কোনো আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল না, তারা পলাতক। এডভোকেট শামসুল ইসলাম চৌধুরীর চার কন্যা ও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। দুই কন্যা অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী, এক কন্যা ঢাকায় এবং অপর কন্যা সিলেটে শ্বশুরবাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। বড় ছেলে মাহমুদ আহমদ চৌধুরী পেশাগত কারণে সপরিবারে ঢাকায় থাকেন। ছোট পুত্র মুন্নাকে নিয়ে শামছুল ইসলাম চৌধুরী সিলেট নগরীর মীরবক্সটুলা এলাকায় আজাদী-১১০নং বাসায় বসবাস করতেন। ২০১১ সালের ১৭ই জুলাই শবেবরাতের রাতে নগরীর মীরবক্সটুলাস্থ বাসা থেকে নিখোঁজ হন শামসুল ইসলাম। এরপর মুন্না কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন। পরে ২২শে জুলাই মুন্না নিজেই আত্মগোপনে চলে যান। এ ঘটনায় ওই বছরের ৪ঠা আগস্ট মুন্নার বড় ভাই মাহমুদ আহমদ চৌধুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার এক সপ্তাহ পর র‌্যাব-৯ সদস্যরা আনসার, বোরহান ও রানুকে আটক করে এবং তার মধ্যে আনসার ও বোরহান আদালতে জবানবন্দি দেয়। ঘটনার পর ২৭শে আগস্ট পুলিশ সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদী থেকে শামছুল ইসলামের মরদেহের কিছু অংশ, পাঞ্জাবি ও টুপি উদ্ধার করে। পরে সেগুলোর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। এডভোকেট মো. আনছারুজ্জামান জানান, ২০১১ সালের ১৭ই জুলাই শবেবরাতের রাতে নামাজরত অবস্থা প্রবীণ আইনজীবী শামসুল ইসলাম চৌধুরীকে তার ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্না পেছন থেকে প্রথমে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় গাড়িতে তুলে সুনামগঞ্জের ছাতকের মল্লিকপুর এলাকার সুরমা নদীতে ফেলে দেয়। এর কয়েকদিন পর সুনামগঞ্জের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে সুরমা নদীতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় মুন্নাকে গাড়িচালকসহ তিনজন সহযোগিতা করে। তিনি জানান, চলতি বছরের ১০ই মার্চ মামলাটি সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে আসে। যুক্তি-তর্ক ও শুনানি হয় ২৪শে এপ্রিল। এরপর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।