০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল সংখ্যালঘু কলেজছাত্রী শমরিয়া রানী নিখোঁজের ১৫ দিন: পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের রহস্যজনক আচরণের অভিযোগ তারকাখচিত রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম ২০২৫, একযোগে ডিসনি প্লাসে সম্প্রচার  গুগল প্লে ও ইউটিউবের নতুন কেনা সিনেমা আর পড়বে না মুভিজ অ্যানিওয়্যারে সাহিত্য প্রচারে শারজাহের ভূমিকা: সংস্কৃতি ও জ্ঞানের সেতুবন্ধন ‘আমাদের কণ্ঠ কেউ বন্ধ করতে পারবে না’—মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ উত্তর জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা ও রেল চলাচলে বিঘ্ন” জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল আবুল খায়ের গ্রুপ

হিউএনচাঙ (পর্ব-৯০)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • 155

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

তার পর সমস্ত ব্যাপার শুনেও তিনি আগের মতই ধীরভাবে দস্যুদের উপদেশ দিলেন যে, তারা যেন ঐ দস্থ্যর ব্যাবসা ত্যাগ করে। তারাও ‘তাই প্রতিজ্ঞা করল আর সব অস্ত্রশস্ত্র গঙ্গায় ফেলে দিল। শীঘ্রই ঝড় ঢেউ থেমে গেল। দস্যুরা আনন্দে ধর্মগুরুকে প্রণাম করে চলে গেল।

এই বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়ে হিউএনচাঙ গঙ্গার দক্ষিণ তীরে, গঙ্গাযমুনার সঙ্গমে, প্রয়াগে উপস্থিত হলেন। চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দীতে প্রয়াগ গুপ্তসম্রাটদের অন্যতম রাজধানী ছিল। কিন্তু হিউএনচাঙের সময়ে এখানকার অধিবাসীদের মধ্যে বৌদ্ধ কমই ছিল।

এখানে এক চম্পকবৃক্ষের কুঞ্জে অশোক রাজার নির্মিত একটা স্তুপ ছিল। এর ভিৎ বসে গিয়েছিল, তবু এখনো দেওয়াল ১০০ ফুট উঁচু ছিল। হীনযানী বৌদ্ধদের মাত্র দুইটি সঙ্ঘারাম ছিল, কিন্তু বিধর্মীদের শত শত দেবমন্দিরে অসংখ্য ভক্তের ভিড় ছিল।

‘সঙ্গমস্থলে একটা প্রশস্ত বালুর চর আছে। এখানে জমি সম্পূর্ণ সমতল। প্রাচীনকাল থেকে রাজারা আর সম্ভ্রান্ত লোকরা দান করবার জন্যে এখানে আসেন। সেই জন্যে এ জায়গাকে মহাদানের মাঠ বলা হয়। একালে শীলাদিত্য রাজা ৭৫ দিন ধরে তাঁর পঞ্চম বাৎসরিক দান এখানে করেছেন।

ত্রিরত্ব থেকে আরম্ভ করে দীনহীন ভিখারী পর্যন্ত কেউ তাঁর দান থেকে বঞ্চিত হয় নি।

(চলবে)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ

হিউএনচাঙ (পর্ব-৯০)

০৯:০০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

তার পর সমস্ত ব্যাপার শুনেও তিনি আগের মতই ধীরভাবে দস্যুদের উপদেশ দিলেন যে, তারা যেন ঐ দস্থ্যর ব্যাবসা ত্যাগ করে। তারাও ‘তাই প্রতিজ্ঞা করল আর সব অস্ত্রশস্ত্র গঙ্গায় ফেলে দিল। শীঘ্রই ঝড় ঢেউ থেমে গেল। দস্যুরা আনন্দে ধর্মগুরুকে প্রণাম করে চলে গেল।

এই বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়ে হিউএনচাঙ গঙ্গার দক্ষিণ তীরে, গঙ্গাযমুনার সঙ্গমে, প্রয়াগে উপস্থিত হলেন। চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দীতে প্রয়াগ গুপ্তসম্রাটদের অন্যতম রাজধানী ছিল। কিন্তু হিউএনচাঙের সময়ে এখানকার অধিবাসীদের মধ্যে বৌদ্ধ কমই ছিল।

এখানে এক চম্পকবৃক্ষের কুঞ্জে অশোক রাজার নির্মিত একটা স্তুপ ছিল। এর ভিৎ বসে গিয়েছিল, তবু এখনো দেওয়াল ১০০ ফুট উঁচু ছিল। হীনযানী বৌদ্ধদের মাত্র দুইটি সঙ্ঘারাম ছিল, কিন্তু বিধর্মীদের শত শত দেবমন্দিরে অসংখ্য ভক্তের ভিড় ছিল।

‘সঙ্গমস্থলে একটা প্রশস্ত বালুর চর আছে। এখানে জমি সম্পূর্ণ সমতল। প্রাচীনকাল থেকে রাজারা আর সম্ভ্রান্ত লোকরা দান করবার জন্যে এখানে আসেন। সেই জন্যে এ জায়গাকে মহাদানের মাঠ বলা হয়। একালে শীলাদিত্য রাজা ৭৫ দিন ধরে তাঁর পঞ্চম বাৎসরিক দান এখানে করেছেন।

ত্রিরত্ব থেকে আরম্ভ করে দীনহীন ভিখারী পর্যন্ত কেউ তাঁর দান থেকে বঞ্চিত হয় নি।

(চলবে)