সত্যেন্দ্রকুমার বসু
তার পর সমস্ত ব্যাপার শুনেও তিনি আগের মতই ধীরভাবে দস্যুদের উপদেশ দিলেন যে, তারা যেন ঐ দস্থ্যর ব্যাবসা ত্যাগ করে। তারাও ‘তাই প্রতিজ্ঞা করল আর সব অস্ত্রশস্ত্র গঙ্গায় ফেলে দিল। শীঘ্রই ঝড় ঢেউ থেমে গেল। দস্যুরা আনন্দে ধর্মগুরুকে প্রণাম করে চলে গেল।
এই বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়ে হিউএনচাঙ গঙ্গার দক্ষিণ তীরে, গঙ্গাযমুনার সঙ্গমে, প্রয়াগে উপস্থিত হলেন। চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দীতে প্রয়াগ গুপ্তসম্রাটদের অন্যতম রাজধানী ছিল। কিন্তু হিউএনচাঙের সময়ে এখানকার অধিবাসীদের মধ্যে বৌদ্ধ কমই ছিল।
এখানে এক চম্পকবৃক্ষের কুঞ্জে অশোক রাজার নির্মিত একটা স্তুপ ছিল। এর ভিৎ বসে গিয়েছিল, তবু এখনো দেওয়াল ১০০ ফুট উঁচু ছিল। হীনযানী বৌদ্ধদের মাত্র দুইটি সঙ্ঘারাম ছিল, কিন্তু বিধর্মীদের শত শত দেবমন্দিরে অসংখ্য ভক্তের ভিড় ছিল।
‘সঙ্গমস্থলে একটা প্রশস্ত বালুর চর আছে। এখানে জমি সম্পূর্ণ সমতল। প্রাচীনকাল থেকে রাজারা আর সম্ভ্রান্ত লোকরা দান করবার জন্যে এখানে আসেন। সেই জন্যে এ জায়গাকে মহাদানের মাঠ বলা হয়। একালে শীলাদিত্য রাজা ৭৫ দিন ধরে তাঁর পঞ্চম বাৎসরিক দান এখানে করেছেন।
ত্রিরত্ব থেকে আরম্ভ করে দীনহীন ভিখারী পর্যন্ত কেউ তাঁর দান থেকে বঞ্চিত হয় নি।
(চলবে)
Sarakhon Report 



















