০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল সংখ্যালঘু কলেজছাত্রী শমরিয়া রানী নিখোঁজের ১৫ দিন: পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের রহস্যজনক আচরণের অভিযোগ তারকাখচিত রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম ২০২৫, একযোগে ডিসনি প্লাসে সম্প্রচার  গুগল প্লে ও ইউটিউবের নতুন কেনা সিনেমা আর পড়বে না মুভিজ অ্যানিওয়্যারে সাহিত্য প্রচারে শারজাহের ভূমিকা: সংস্কৃতি ও জ্ঞানের সেতুবন্ধন ‘আমাদের কণ্ঠ কেউ বন্ধ করতে পারবে না’—মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ উত্তর জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা ও রেল চলাচলে বিঘ্ন” জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল আবুল খায়ের গ্রুপ

হিউএনচাঙ (পর্ব-৯১)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • 154

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

‘নগরে সুন্দরভাবে অলংকৃত একটি দেবমন্দির আছে। বিধর্মীরা বিশ্বাস করে। যে এ মন্দিরে জীবন ত্যাগ করলে স্বর্গে অনন্ত সুখভোগ হয়। এই মন্দিরের সম্মুখে একটা প্রকাণ্ড গাছ আছে, তার ডালপালায় ঘন ছায়া হয়। এই গাছে একটা দৈত্য আছে। সে সকলকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়।

‘এদেশের লোকের বিশ্বাস, সঙ্গমে স্নান করলে সমস্ত পাপ ক্ষয় হয়। তাই দলে দলে লোক এসে সাত দিন পর্যন্ত উপোস করে, তার পর কেউ কেউ জলে ডুবে মরে। এমন কি, সঙ্গমের নিকটে দলে দলে বানর আর হরিণ জড়ো হয়; তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্নান করে চলে যায়। কেউ উপোস করে প্রাণত্যাগ করে!

‘এদেশে শস্য আর ফলের গাছ খুব ভালো হয়। আবহাওয়া গরম, সুখদ। অধিবাসীরা ভদ্র ও বাধ্য। তারা বিদ্যার অনুরক্ত আর ঘোর বিধর্মী।’

প্রয়াগ ছেড়ে হিউএনচাঙ গভীর অরণ্যের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমদিকে গুপ্তসাম্রাজ্যের অন্য এক রাজধানী কৌশাম্বীতে গেলেন। ঐ অরণ্যে নানা হিংস্র পশু হাতি ইত্যাদি ছিল। আধুনিক কোশাম গ্রামে অল্পদিন হল কৌশাম্বীর ভগ্নাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে।

আর এর ভাস্কর্যের অনেক আশ্চর্য আশ্চর্য নিদর্শন প্রয়াগে যাদুঘরে রাখা হয়েছে।

(চলবে)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ

হিউএনচাঙ (পর্ব-৯১)

০৯:০০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

‘নগরে সুন্দরভাবে অলংকৃত একটি দেবমন্দির আছে। বিধর্মীরা বিশ্বাস করে। যে এ মন্দিরে জীবন ত্যাগ করলে স্বর্গে অনন্ত সুখভোগ হয়। এই মন্দিরের সম্মুখে একটা প্রকাণ্ড গাছ আছে, তার ডালপালায় ঘন ছায়া হয়। এই গাছে একটা দৈত্য আছে। সে সকলকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়।

‘এদেশের লোকের বিশ্বাস, সঙ্গমে স্নান করলে সমস্ত পাপ ক্ষয় হয়। তাই দলে দলে লোক এসে সাত দিন পর্যন্ত উপোস করে, তার পর কেউ কেউ জলে ডুবে মরে। এমন কি, সঙ্গমের নিকটে দলে দলে বানর আর হরিণ জড়ো হয়; তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্নান করে চলে যায়। কেউ উপোস করে প্রাণত্যাগ করে!

‘এদেশে শস্য আর ফলের গাছ খুব ভালো হয়। আবহাওয়া গরম, সুখদ। অধিবাসীরা ভদ্র ও বাধ্য। তারা বিদ্যার অনুরক্ত আর ঘোর বিধর্মী।’

প্রয়াগ ছেড়ে হিউএনচাঙ গভীর অরণ্যের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমদিকে গুপ্তসাম্রাজ্যের অন্য এক রাজধানী কৌশাম্বীতে গেলেন। ঐ অরণ্যে নানা হিংস্র পশু হাতি ইত্যাদি ছিল। আধুনিক কোশাম গ্রামে অল্পদিন হল কৌশাম্বীর ভগ্নাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে।

আর এর ভাস্কর্যের অনেক আশ্চর্য আশ্চর্য নিদর্শন প্রয়াগে যাদুঘরে রাখা হয়েছে।

(চলবে)