প্রদীপ কুমার মজুমদার
মিশর, ব্যাবিলন, চীন, গ্রীস প্রভৃতি দেশের মত ভারতবর্ষেও ভগ্নাংশের ব্যবহার। অতি প্রাচীনকাল থেকে দেখা যায়। অন্ততপক্ষে ঋকবেদ ও তৎপরবর্তী সূত্র সাহিত্যে ভগ্নাংশের বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ঋগ্বেদে অর্থ, ত্রিপদ, কুষ্ঠ, শফ প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার হতে দেখা যায়।
তাছাড়াও অন্যান্য গ্রন্থে পঞ্চদশভাগ, সপ্তভাগ পঞ্চভাগ, ত্রি-অষ্ট, এয়স্রষ্ট প্রভৃতি শব্দও দেখা যায়। ১২০০ খ্রীষ্টপূর্বে রচিত বেদাঙ্গ জ্যোতিষে ১০২৮ কলা এই ভগ্নাংশটিকে উল্লেখ করতে গিয়ে বলা হয়েছে “কলা দশ সবিংশ নাড়িকা স্যাদ”।
বিভিন্ন শুরস্থত্রে ভগ্নাংশের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। যেমন বৃত্তকে বর্গক্ষেত্রে অথবা বর্গক্ষেত্রকে বৃত্তে পরিণত করতে গিয়ে নিম্নলিখিত ভগ্নাংশের সন্ধান পাওয়া যায়।
a = d(2 – 3/b + 2/(b, 22) – 2/(b, 22, b) + 2/(b, 22.6b)) বিতত ভগ্নাংশেরও সন্ধান মেলে শুবস্থত্রে।
(চলবে)