১২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

কুইনডম: বিশ্ব হিপ-হপের মঞ্চে ওকিনাওয়ার র‍্যাপার

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • 82

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ওকিনাওয়ার শেকড় থেকে বিশ্ব মঞ্চে

জাপানের অন্তর্গত হলেও ওকিনাওয়া এক সময় ছিল স্বাধীন রাজ্য। এরপর এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে যায় এবং পরে ফেরত আসে টোকিওর অধীনে। এই জটিল ইতিহাসের ছাপ পড়েছে ওকিনাওয়ার সাংস্কৃতিক পরিচয়ে। এই দ্বন্দ্বপূর্ণ ঐতিহ্যই জাপানি র‍্যাপার আওইচের (আসল নাম আকিকো উরাসাকি) সংগীত ও ব্যক্তিত্বে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এখন তিনি নিজেই ঘোষণা করেন — এই দ্বীপই তার “কুইনডম”।

আওইচ বলেন, “আমার জীবনের পথচলায় ওকিনাওয়ার অবদান অনেক। আমার প্রতিটি গানের ছন্দ, সুর—সবকিছুতেই ওকিনাওয়ার প্রভাব আছে। আমরা একে বলি ‘চাম্বুরু’ সংস্কৃতি—মানে মিশ্রণ। সেটাই আমাদের পরিচয়।”

তবে এই মিশ্র সংস্কৃতির পাশাপাশি, আওইচ ওকিনাওয়ায় বেড়ে ওঠার কঠিন বাস্তবতাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “অনেক সময় দেখা যায়, ওখানে মানুষ একে অপরকে টেনে নামাতে চায়, কারণ কারোই তেমন কিছু নেই। কেউ ভালো করতে চাইলেই উপহাস করে। এই ব্যাপারটা আমি ঘৃণা করি। তাই আমাকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে।”

আমেরিকার পথে যাত্রা

শৈশবে টুপাক শাকুরের মতো মার্কিন র‍্যাপারদের প্রভাবে গানে হাতেখড়ি নেওয়া আওইচ মাত্র ১৪ বছর বয়সে গাইতে শুরু করেন এবং স্কুল শেষে একটি রেকর্ড লেবেলের সঙ্গে চুক্তিও করেন। কিন্তু স্বাধীনচেতা মনোভাবের কারণে কাউকে না শুনে চলে যান আমেরিকায়।

১৯ বছর বয়সে তিনি আটলান্টায় পড়াশোনা করতে যান এবং সেখানেই নিজের প্রথম অ্যালবাম “Asian Wish Child” প্রকাশ করেন, যা থেকে ‘Awich’ নামটির উৎপত্তি। সেখানেই এক ব্যক্তির প্রেমে পড়েন, যিনি পরে তার স্বামী হন।

তবে তাদের সম্পর্কের পরিণতি হয় করুণ। স্বামী অপরাধ জগতে যুক্ত থাকায় কারাগারে যাওয়া-আসা ছিল নিয়মিত। একদিন গুলিতে নিহত হন তিনি। তখন তাদের মেয়ে তইয়োমির বয়স মাত্র ৩ বছর।

আওইচ বলেন, “আমি তখন আবার ওকিনাওয়ায় ফিরে যাই, মেয়ে ও মা-বাবার সঙ্গে থাকতে শুরু করি। বিষণ্নতায় ভুগলেও লেখা থামাইনি—গান, কবিতা, ডায়েরি—লিখে যেতাম।”

আবার সংগীতে ফেরা

ওকিনাওয়ায় থাকাকালীন আওইচ জাপানি সংগীতদল YENTOWN-এর সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন। প্রযোজক চাকি জুলুর সঙ্গে কাজ শুরু করেন এবং পরে তিনি আওইচকে একটি অ্যালবামের বাজেট দেন।

“ওরা আমাকে তাদের দলে নেয়, (তখন আমি একমাত্র নারী সদস্য)। ওদের সহায়তায় আমি আবার জাপানি হিপ-হপ দৃশ্যে প্রবেশ করতে পারি,” বলেন আওইচ।

এরপর দীর্ঘ ১০ বছর পর দ্বিতীয় অ্যালবাম “8” প্রকাশের মধ্য দিয়ে সংগীত জগতে শক্তভাবে ফেরেন। পরে ইউনিভার্সাল মিউজিক জাপানের সঙ্গে চুক্তি করেন এবং “KUJAKU” (২০২০) ও “Queendom” (২০২২) অ্যালবাম দুটি প্রকাশ করেন।

এশিয়ার কণ্ঠে বিশ্বব্যাপী সংলাপ

২০২৫ সালে আওইচ একাধিক নতুন গান ও জুলাই মাসে আসন্ন একটি নতুন অ্যালবামের ঘোষণা দিয়েছেন। এর প্রথম গান “Asian State of Mind”—যেখানে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার জে পার্ক, ভারতের KR$NA, চীনের মাসিওয়েই এবং কম্বোডিয়ার ভানডার সঙ্গে যৌথভাবে র‍্যাপ করেন।

এই গানে একটি প্রশ্ন বারবার উঠে আসে: “তুমি এটা কী জন্য কর?”—আওইচ ব্যাখ্যা করেন, “আমরা যখন এশিয়ায় বড় হই, তখন প্রকৃতি, পরিবার, সহানুভূতি—এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিই। এই গানটা সেই মানসিকতাকেই তুলে ধরে।”

নারীদের অনুপ্রেরণা ও দৃষ্টান্ত

টোকিও-ভিত্তিক সংগীত লেখক প্যাট্রিক সেন্ট মিশেল আওইচকে জাপানি হিপ-হপের অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পী বলে মনে করেন। বিশেষ করে নারী র‍্যাপারদের—যেমন LANA ও MaRI—জন্য তিনি বড় অনুপ্রেরণা।

“তিনি আমেরিকান হিপ-হপ ও ওকিনাওয়ার সাংস্কৃতিক শিকড়কে এমনভাবে মিশিয়েছেন যা দুই পক্ষের প্রতি সম্মানজনক। পাশাপাশি তিনি যৌনতা, বৈষম্য ও রাজনীতি নিয়ে খোলামেলা গান করেন, আবার পার্টির গানেও দক্ষ,” বলেন মিশেল।

বিশ্ব মঞ্চে আওইচ এবং “বুচার শপ”

২০২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নতুন অ্যালবামের প্রযোজক হলেন বিশ্বখ্যাত Wu-Tang Clan-এর প্রতিষ্ঠাতা RZA। এই অ্যালবামের প্রথম গান “Butcher Shop”—যেখানে আওইচের সঙ্গে আছেন Ferg।

গানটির ভাবনা প্রসঙ্গে আওইচ বলেন, “বুচার শপ মানে যেখানে জিনিস টুকরো টুকরো করে তৈরি করা হয়। আমার জীবনের মতোই—সংস্কৃতি, ইতিহাস, ভাষা, সংগ্রাম—সব কিছুর ছেদবিন্দু। আমি এই গান দিয়ে সেগুলোকেই তুলে ধরেছি।”

গানে আওইচ বলেন—

Come down to the Butcher Shop
We gon eat tonight
Come down to the Butcher Shop
It’s do or die
Come down to the Butcher Shop
What’s yours is mine

তিনি বলেন, “আমার জীবন নিজেই একটি চাম্বুরু—যেখানে ভালো-মন্দ, আলো-আঁধার সবই মিশে আছে। ওকিনাওয়া আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে যা কিছু আছে তা দিয়েই টিকে থাকতে হয়, বাঁচতে হয়।”

নতুন অ্যালবামের ভাবনা

আসন্ন অ্যালবামের ভাবনা সম্পর্কে আওইচ বলেন, “এই অ্যালবাম Yin ও Yang—আলো-আঁধার, আনন্দ ও শোকের মিশ্র প্রতিফলন। আমি ওকিনাওয়া থেকে এসেছি, যেটি কারাতে’র জন্মস্থান—যেখানে নিরস্ত্র আত্মরক্ষার শিক্ষা দেওয়া হয়।”

RZA’র অংশগ্রহণ নিয়ে আওইচ বলেন, “তিনি সারাজীবন মার্শাল আর্টস ও কুংফু সিনেমার ভক্ত ছিলেন। তিনি জানতেন ওকিনাওয়া কী। তার মাধ্যমে আমি এখন বিশ্বমঞ্চে উঠে এসেছি—এটা আমার জন্য সম্মানের।”

আগামীর লক্ষ্য

“আমার লক্ষ্য অবশ্যই—বিশ্বজয়,” বলেন আওইচ মজা করে। “কিন্তু আমি চাই মানুষ আমাকে জানুক যেমন আমি। নিজের পরিচয় না বদলে, আমার সত্তাকে নিয়েই বিশ্বে পরিচিত হতে চাই। আমি চাই ওকিনাওয়ার শিশুরা গর্ব করুক—তারা জানুক, আমরাও পারি। আমাদের গল্প বিশ্ব জানছে।”

ONE, with my brain I make a whole lotta Money
TWO, with my voice I bring forth my Power
THREE, with my body I accept all the Respect
FOR the Freedom. This is my Queendom
The Far East Queen Pain is No more
Can’t stop me, Touched by No one
I’ve run through the rocky road
To stand on this stage

— আওইচ, “Queendom”

কুইনডম: বিশ্ব হিপ-হপের মঞ্চে ওকিনাওয়ার র‍্যাপার

০৭:০০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ওকিনাওয়ার শেকড় থেকে বিশ্ব মঞ্চে

জাপানের অন্তর্গত হলেও ওকিনাওয়া এক সময় ছিল স্বাধীন রাজ্য। এরপর এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে যায় এবং পরে ফেরত আসে টোকিওর অধীনে। এই জটিল ইতিহাসের ছাপ পড়েছে ওকিনাওয়ার সাংস্কৃতিক পরিচয়ে। এই দ্বন্দ্বপূর্ণ ঐতিহ্যই জাপানি র‍্যাপার আওইচের (আসল নাম আকিকো উরাসাকি) সংগীত ও ব্যক্তিত্বে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এখন তিনি নিজেই ঘোষণা করেন — এই দ্বীপই তার “কুইনডম”।

আওইচ বলেন, “আমার জীবনের পথচলায় ওকিনাওয়ার অবদান অনেক। আমার প্রতিটি গানের ছন্দ, সুর—সবকিছুতেই ওকিনাওয়ার প্রভাব আছে। আমরা একে বলি ‘চাম্বুরু’ সংস্কৃতি—মানে মিশ্রণ। সেটাই আমাদের পরিচয়।”

তবে এই মিশ্র সংস্কৃতির পাশাপাশি, আওইচ ওকিনাওয়ায় বেড়ে ওঠার কঠিন বাস্তবতাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “অনেক সময় দেখা যায়, ওখানে মানুষ একে অপরকে টেনে নামাতে চায়, কারণ কারোই তেমন কিছু নেই। কেউ ভালো করতে চাইলেই উপহাস করে। এই ব্যাপারটা আমি ঘৃণা করি। তাই আমাকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে।”

আমেরিকার পথে যাত্রা

শৈশবে টুপাক শাকুরের মতো মার্কিন র‍্যাপারদের প্রভাবে গানে হাতেখড়ি নেওয়া আওইচ মাত্র ১৪ বছর বয়সে গাইতে শুরু করেন এবং স্কুল শেষে একটি রেকর্ড লেবেলের সঙ্গে চুক্তিও করেন। কিন্তু স্বাধীনচেতা মনোভাবের কারণে কাউকে না শুনে চলে যান আমেরিকায়।

১৯ বছর বয়সে তিনি আটলান্টায় পড়াশোনা করতে যান এবং সেখানেই নিজের প্রথম অ্যালবাম “Asian Wish Child” প্রকাশ করেন, যা থেকে ‘Awich’ নামটির উৎপত্তি। সেখানেই এক ব্যক্তির প্রেমে পড়েন, যিনি পরে তার স্বামী হন।

তবে তাদের সম্পর্কের পরিণতি হয় করুণ। স্বামী অপরাধ জগতে যুক্ত থাকায় কারাগারে যাওয়া-আসা ছিল নিয়মিত। একদিন গুলিতে নিহত হন তিনি। তখন তাদের মেয়ে তইয়োমির বয়স মাত্র ৩ বছর।

আওইচ বলেন, “আমি তখন আবার ওকিনাওয়ায় ফিরে যাই, মেয়ে ও মা-বাবার সঙ্গে থাকতে শুরু করি। বিষণ্নতায় ভুগলেও লেখা থামাইনি—গান, কবিতা, ডায়েরি—লিখে যেতাম।”

আবার সংগীতে ফেরা

ওকিনাওয়ায় থাকাকালীন আওইচ জাপানি সংগীতদল YENTOWN-এর সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন। প্রযোজক চাকি জুলুর সঙ্গে কাজ শুরু করেন এবং পরে তিনি আওইচকে একটি অ্যালবামের বাজেট দেন।

“ওরা আমাকে তাদের দলে নেয়, (তখন আমি একমাত্র নারী সদস্য)। ওদের সহায়তায় আমি আবার জাপানি হিপ-হপ দৃশ্যে প্রবেশ করতে পারি,” বলেন আওইচ।

এরপর দীর্ঘ ১০ বছর পর দ্বিতীয় অ্যালবাম “8” প্রকাশের মধ্য দিয়ে সংগীত জগতে শক্তভাবে ফেরেন। পরে ইউনিভার্সাল মিউজিক জাপানের সঙ্গে চুক্তি করেন এবং “KUJAKU” (২০২০) ও “Queendom” (২০২২) অ্যালবাম দুটি প্রকাশ করেন।

এশিয়ার কণ্ঠে বিশ্বব্যাপী সংলাপ

২০২৫ সালে আওইচ একাধিক নতুন গান ও জুলাই মাসে আসন্ন একটি নতুন অ্যালবামের ঘোষণা দিয়েছেন। এর প্রথম গান “Asian State of Mind”—যেখানে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার জে পার্ক, ভারতের KR$NA, চীনের মাসিওয়েই এবং কম্বোডিয়ার ভানডার সঙ্গে যৌথভাবে র‍্যাপ করেন।

এই গানে একটি প্রশ্ন বারবার উঠে আসে: “তুমি এটা কী জন্য কর?”—আওইচ ব্যাখ্যা করেন, “আমরা যখন এশিয়ায় বড় হই, তখন প্রকৃতি, পরিবার, সহানুভূতি—এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিই। এই গানটা সেই মানসিকতাকেই তুলে ধরে।”

নারীদের অনুপ্রেরণা ও দৃষ্টান্ত

টোকিও-ভিত্তিক সংগীত লেখক প্যাট্রিক সেন্ট মিশেল আওইচকে জাপানি হিপ-হপের অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পী বলে মনে করেন। বিশেষ করে নারী র‍্যাপারদের—যেমন LANA ও MaRI—জন্য তিনি বড় অনুপ্রেরণা।

“তিনি আমেরিকান হিপ-হপ ও ওকিনাওয়ার সাংস্কৃতিক শিকড়কে এমনভাবে মিশিয়েছেন যা দুই পক্ষের প্রতি সম্মানজনক। পাশাপাশি তিনি যৌনতা, বৈষম্য ও রাজনীতি নিয়ে খোলামেলা গান করেন, আবার পার্টির গানেও দক্ষ,” বলেন মিশেল।

বিশ্ব মঞ্চে আওইচ এবং “বুচার শপ”

২০২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নতুন অ্যালবামের প্রযোজক হলেন বিশ্বখ্যাত Wu-Tang Clan-এর প্রতিষ্ঠাতা RZA। এই অ্যালবামের প্রথম গান “Butcher Shop”—যেখানে আওইচের সঙ্গে আছেন Ferg।

গানটির ভাবনা প্রসঙ্গে আওইচ বলেন, “বুচার শপ মানে যেখানে জিনিস টুকরো টুকরো করে তৈরি করা হয়। আমার জীবনের মতোই—সংস্কৃতি, ইতিহাস, ভাষা, সংগ্রাম—সব কিছুর ছেদবিন্দু। আমি এই গান দিয়ে সেগুলোকেই তুলে ধরেছি।”

গানে আওইচ বলেন—

Come down to the Butcher Shop
We gon eat tonight
Come down to the Butcher Shop
It’s do or die
Come down to the Butcher Shop
What’s yours is mine

তিনি বলেন, “আমার জীবন নিজেই একটি চাম্বুরু—যেখানে ভালো-মন্দ, আলো-আঁধার সবই মিশে আছে। ওকিনাওয়া আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে যা কিছু আছে তা দিয়েই টিকে থাকতে হয়, বাঁচতে হয়।”

নতুন অ্যালবামের ভাবনা

আসন্ন অ্যালবামের ভাবনা সম্পর্কে আওইচ বলেন, “এই অ্যালবাম Yin ও Yang—আলো-আঁধার, আনন্দ ও শোকের মিশ্র প্রতিফলন। আমি ওকিনাওয়া থেকে এসেছি, যেটি কারাতে’র জন্মস্থান—যেখানে নিরস্ত্র আত্মরক্ষার শিক্ষা দেওয়া হয়।”

RZA’র অংশগ্রহণ নিয়ে আওইচ বলেন, “তিনি সারাজীবন মার্শাল আর্টস ও কুংফু সিনেমার ভক্ত ছিলেন। তিনি জানতেন ওকিনাওয়া কী। তার মাধ্যমে আমি এখন বিশ্বমঞ্চে উঠে এসেছি—এটা আমার জন্য সম্মানের।”

আগামীর লক্ষ্য

“আমার লক্ষ্য অবশ্যই—বিশ্বজয়,” বলেন আওইচ মজা করে। “কিন্তু আমি চাই মানুষ আমাকে জানুক যেমন আমি। নিজের পরিচয় না বদলে, আমার সত্তাকে নিয়েই বিশ্বে পরিচিত হতে চাই। আমি চাই ওকিনাওয়ার শিশুরা গর্ব করুক—তারা জানুক, আমরাও পারি। আমাদের গল্প বিশ্ব জানছে।”

ONE, with my brain I make a whole lotta Money
TWO, with my voice I bring forth my Power
THREE, with my body I accept all the Respect
FOR the Freedom. This is my Queendom
The Far East Queen Pain is No more
Can’t stop me, Touched by No one
I’ve run through the rocky road
To stand on this stage

— আওইচ, “Queendom”