মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি মূত্রজনিত সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে ১৬ মে ২০২৫ তারিখে তাঁর প্রস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ে, যা ইতিমধ্যে হাড়ে ছড়িয়ে গেছে।
স্ক্রিনিং কেন বন্ধ হয়েছিল?
৭০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের নিয়মিত পিএসএ (প্রস্টেট-স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন) টেস্ট করার সুপারিশ করে না যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ইউএস প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস টাস্ক ফোর্স। কারণ এই বয়সে ক্যান্সার সাধারণত ধীরগতির হয়, আর অতিরিক্ত পরীক্ষা ভুল‑ধরা, অপ্রয়োজনীয় বায়োপসি‑চিকিৎসা ও মানসিক উদ্বেগ বাড়াতে পারে।
২০১৪ সালের সর্বশেষ পরীক্ষা
বাইডেন শেষবার পিএসএ পরীক্ষা করিয়েছিলেন ২০১৪ সালে, তখন তাঁর বয়স ছিল ৭২ এবং তিনি ভাইস‑প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন। এরপর প্রেসিডেন্ট হওয়ার চার বছর ধরেও বার্ষিক স্বাস্থ্যপরীক্ষায় পিএসএ টেস্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
বর্তমান অবস্থা ও ঝুঁকি মাত্রা
• গ্লিসন স্কোর: ৯ (গ্রেড গ্রুপ ৫) – ক্যান্সার দ্রুত ছড়ানোর প্রবণতা নির্দেশ করে।
• ধাপ: স্টেজ ৪ – ক্যান্সার অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
ড. মাইকেল মরিস (মেমোরিয়াল স্লোন কেটারিং): ‘সেরা চিকিৎসা মানে অতি‑কম বা অতিরিক্ত পরীক্ষা নয়।’
ড. হার্বার্ট লেপর (এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন): ‘আজকের আধুনিক স্ক্রিনিং‑সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এত দেরিতে ক্যান্সার ধরা পড়া একটু অস্বাভাবিক।’
সাম্প্রতিক শারীরিক পরীক্ষা
ফেব্রুয়ারি ২০২৪‑এর বার্ষিক স্বাস্থ্য প্রতিবেদনে প্রসিডেন্টের চিকিৎসক ড. কেভিন ও’কনর বাইডেনকে ‘সক্রিয়, সবল ও তাঁর দায়িত্ব পালনে সক্ষম ৮১ বছর বয়স্ক’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেখানে ঘুমকালের অ্যাপনিয়া চিকিৎসা ও গেঁটেবাতজনিত চলার অস্বস্তির কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু প্রস্টেট‑সংক্রান্ত কোনো পরীক্ষা ছিল না।
উন্নত বয়সে প্রস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়লেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বয়স ও ঝুঁকি‑উপকার বিবেচনায় নিয়মিত পিএসএ টেস্ট নাও করা যুক্তিসঙ্গত ছিল। তবে আগ্রাসী ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ায় এখন দ্রুত ও সমন্বিত চিকিৎসা জরুরি।