সালাহউদ্দিনের আজকের বক্তব্য
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ আজ (২৮ মে) বিকাল সাড়ে ৩টায় নয়াপল্টনে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে’ প্রধান বক্তৃতায় বলেন,
“আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছিলাম। পদত্যাগের নাটক দেখতে চাইনি। অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের একমাত্র শত্রু আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা; তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আর কোনও স্বৈরাচারের উৎপত্তি যাতে না হয়, সেই জন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
তিনি আরও আদালতের রায় অনুযায়ী ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে শপথ দেওয়ার দাবিও উত্থাপন করেন।
সমাবেশ ও অংশগ্রহণকারীরা
সমাবেশে ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক অধিকারের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয় এবং আগামী নির্বাচনে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
ইউনুসের করিডোর বিতর্ক ও গুজব
সম্প্রতি ‘রাখাইন করিডোর’ প্রকল্প নিয়ে সেনাপ্রধান প্রকাশ্যে আপত্তি জানান; এরপরই প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস ঘিরে গুজব ছড়াতে শুরু করে যে, ইউনূস পদত্যাগ করবেন।
গুজবটি দ্রুতই রাজনৈতিক খেলায় পরিণত হয়।
ইউনুস প্রশাসনের নির্বাচন বিলম্ব ইচ্ছা
ইউনুস জুন ২০২৬ পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিতের পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন,
“আগামী বছরের সংস্কারগুলো সম্পন্ন না হলে নির্বাচন সম্ভব নয়।”
তবে বিরোধী দল বিএনপি এবং সেনাপ্রধান উভয়েই বলছেন, নির্বাচন অবশ্যই ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে হওয়া উচিত¹। ইউনুসের অবস্থান এবং গুজব-ভিত্তিক পদত্যাগের হুমকি মিলিয়ে অস্থিরতা আরও প্রকট হয়েছে।
সেনাপ্রধানের অবস্থান স্পষ্ট
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকের-উজ-জামান বলেন,
“জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে,”
এতে ক্ষমতার হস্তান্তরতে নির্বাচিত সরকারের প্রাধান্য নিশ্চিত হবে।
আমীর খসরুর পূর্ববর্তী মন্তব্য
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,
“সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে পৌঁছলে প্রয়োজনীয় সংস্কার এক মাসের মধ্যেই সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করানো সম্ভব”³।
সব মিলে নির্বাচনের রাজনীতি এখন আরো সরব। সালাহউদ্দিনের ঐক্যবদ্ধ আহ্বান, ইউনুসের করিডোর বিতর্কে গুজব, সংস্কারে বিলম্ব, সেনাপ্রধানের স্পষ্ট অবস্থান এবং আমীর খসরুর মন্তব্য—সব মিলিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার তাপমাত্রা বাড়ছে। এখন দেখার বিষয়, ডিসেম্বরের নির্বাচনের সময়সীমা রক্ষা করে দেশ ফিরে পায় কি স্বচ্ছতা ও গণতন্ত্রের জ্বলন্ত রোডম্যাপ।