০৩:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

রান্নাঘরে আগুন: পণ্যের দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস ঢাকার মধ্যবিত্তের

মিরপুর ৬ নম্বর বাজারে শুক্রবার সকালে দাঁড়িয়ে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে ক্রেতা রুবিনা আক্তার হাঁপিয়ে উঠেছেন। এক হাতে বরবটি, আরেক হাতে পেঁয়াজ—তুলে তুলেই আবার রেখে দিচ্ছেন। মুখে একটাই বাক্য:
সবকিছুর দাম বেড়েছেকিন্তু আয় তো বাড়েনি। রান্নাঘর চালানো এখন যুদ্ধের মতো।”

ঢাকার বেশিরভাগ কিচেন মার্কেটেই এই চিত্র। শুক্রবার সকাল থেকেই বাজারগুলোতে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা আর বিক্রেতাদের মধ্যে অস্বস্তি স্পষ্ট। চাল, মাছ, মাংস, ডাল, তেল, এমনকি মৌসুমি সবজির দামও আকাশছোঁয়া। ফলে সপ্তাহের শুরুতেই দৈনন্দিন ব্যয় বৃদ্ধির ধাক্কায় পড়ে গেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো।

সবজির বাজারে আগুন: কাঁচামরিচ ২০০ টাকা!

ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোতে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি শোনা গেল, তা হলো—কাঁচা মরিচ এত দাম কেন?”
কারওয়ান বাজার, মিরপুর, খিলগাঁও ও মহাখালীতে গিয়ে দেখা গেছে:

  • কাঁচা মরিচ: ২০০ টাকা/কেজি
  • বরবটি: ৯০–১০০ টাকা/কেজি
  • বেগুন: ৯০–১০০ টাকা/কেজি
  • পেঁপে: ৫০–৬০ টাকা/কেজি

বিক্রেতারা জানান, গরমে উৎপাদন কমেছে, আবার গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মাঠে রোগ দেখা দেওয়ায় সবজির সরবরাহ কমে গেছে। ফলে দাম কমার কোনো সম্ভাবনা এখনই নেই।

চালের বাজারে স্থিতিডালে বিপত্তি

চালের দামে সাম্প্রতিক সময়ে বড় পরিবর্তন না থাকলেও ডালের বাজারে লেগেছে ঝড়।
আজকের দর:

  • মোটা চাল: ৫২–৫৫ টাকা/কেজি
  • মিনিকেট: ৭৪–৭৮ টাকা/কেজি
  • আতপ চাল: ৬২–৬৫ টাকা/কেজি
  • মসুর ডাল: ১১০ টাকা/কেজি
  • মুগ ডাল: ১৩০ টাকা/কেজি

সাধারণত ডাল নির্ভর অনেক নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার এখন বিকল্প খাবার খুঁজতে বাধ্য হচ্ছে।

মাছ-মাংসও ধরা ছোঁয়ার বাইরে: ইলিশপাবদাবেলেসবই এখন বিলাসিতা

মাছ, যেটি একসময়ে মধ্যবিত্তের প্রোটিন চাহিদার অন্যতম প্রধান উৎস ছিল, এখন তা অনেকের কাছে বিলাসবস্তু। বিশেষ করে পদ্মা ও মেঘনার ইলিশ, মিঠাপানির বেলে, পাবদা, আইড়, বোয়াল কিংবা চিংড়ির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন বাজারে (কারওয়ান, মিরপুর, খিলগাঁও, ও মহাখালী) মাছের দর ছিল নিম্নরূপ:

  • রুই মাছ: ২৮০–৩০০ টাকা/কেজি
  • কাতলা মাছ: ৩২০–৩৫০ টাকা/কেজি
  • পাঙ্গাশ (খামারজাত): ২২০–২৪০ টাকা/কেজি
  • ইলিশ (পদ্মা-মেঘনার): ১২০০–১৮০০ টাকা/কেজি
  • বেলে মাছ: ৭০০–৮৫০ টাকা/কেজি

  • পাবদা মাছ: ৬৫০–৮০০ টাকা/কেজি
  • আইড়: ৮৫০–১০০০ টাকা/কেজি
  • বোয়াল: ১০০০–১২০০ টাকা/কেজি
  • শোল/গজার: ৪৫০–৬৫০ টাকা/কেজি
  • টেংরা: ৬৫০–৭৫০ টাকা/কেজি
  • চিংড়ি (মাঝারি): ৭৫০–৯০০ টাকা/কেজি
  • চিংড়ি (বড় সাইজ): ১২০০–১৪০০ টাকা/কেজি
  • লবস্টার: ১৮০০–২২০০ টাকা/কেজি

কারওয়ান বাজারের এক মাছ বিক্রেতা বলেন,
একজন লোক এসে ইলিশ কিনতে চায়দাম শুনেই পিছু হটে যায়। এভাবে তো ব্যবসা করা মুশকিল। আমরা নিজেরাও লস খাই অনেক সময়।

অন্যদিকে, মাছ কিনতে আসা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন,
একটা পাবদা কিনলেই ৩০০৪০০ টাকা চলে যায়। তাও ছোট সাইজ। আগে প্রতি সপ্তাহে ৩৪ প্রকার মাছ কিনতামএখন মাসে একদিন কিনি। মাছ খাওয়াটাও যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে।

ভোজ্যতেল: বোতল থেকে খোলাসবখানেই দাম বেশি

খোলা তেল কিনতে গিয়ে রামপুরার গৃহবধূ তাহমিনা সুলতানা বলেন,
সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা লিটার! তাও ভালো মানের খোলা তেল পাওয়া যায় না সবসময়।”

  • খোলা সয়াবিন তেল: ১৬৫–১৭০ টাকা/লিটার
  • বোতলজাত তেল: ১৮০–১৮৫ টাকা/লিটার
  • পাম তেল: ১৫০–১৫৫ টাকা/লিটার

সরবরাহ সংকটের কথা জানালেও তেলের ডিলারদের অনেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি করতে অনিচুক।

মধ্যবিত্তের নিঃশব্দ কান্না

শুধু পণ্য নয়, বাজারে এখন মধ্যবিত্ত শ্রেণির আতঙ্কও বিক্রি হচ্ছে। ঘরে ফেরার পথে এক প্রৌঢ় শিক্ষক বলেন,
এই মাসেই দুইবার বাজার করে হিসাব কষে চলতে হচ্ছে। আগে মাছ-মাংস মিলিয়ে সপ্তাহে তিনদিন রান্না হতোএখন কেবল শুক্রবারে।”

নিম্নবিত্তদের কথা তো আরও করুণ। রিকশাচালক দেলোয়ার হোসেনের কথায়,
এক কেজি চালআধা কেজি ডালএক কেজি সবজি কিনলেই দুইশ টাকা চলে যায়। বাচ্চাদের দুধ কইওষুধ কইএগুলো তো এখন স্বপ্ন।”

রাষ্ট্রীয় নীরবতা ও মানুষের প্রত্যাশা

বাজারে নেই কোনো তদারকি, নেই কোনো বিকল্প ব্যবস্থাপনা। টিসিবি’র পণ্য সরবরাহ অপ্রতুল, আবার সেসব পেতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়।
বাজার মনিটরিং বাহিনী একপ্রকার অদৃশ্য। অনেকেই বলছেন, সরকার এখনো সংকটকে গুরুত্ব দিয়ে নিচ্ছে না।

বিষয়টি নিয়ে অর্থনীতিবিদ ড. রুহুল আমিন বলেন,
মূল্যস্ফীতি যখন সাধারণ মানুষের খাওয়ার পাতে সরাসরি আঘাত হানেতখন তা আর শুধু অর্থনৈতিক ইস্যু থাকে নাতা রাজনৈতিক ও মানবিক সংকট হয়ে দাঁড়ায়।”

হস্তক্ষেপ দরকার এখনই

বর্তমান বাজার পরিস্থিতি শুধু সাময়িক অস্থিরতা নয়, এটি জীবনযাত্রার গুণগত অবনমন ও নাগরিক নিরাপত্তার প্রশ্ন।
সরকার যদি এখনই কার্যকর বাজার তদারকি, পর্যাপ্ত পণ্যের মজুত ও টিসিবি’র সুশৃঙ্খল নেটওয়ার্ক নিশ্চিত না করে, তবে সামনে ঈদের বাজারেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও তীব্র হতে পারে।

উল্লিখিত ফিচার প্রতিবেদনটির নিচে প্রয়োজনীয় পণ্যের গত সপ্তাহ ও চলতি সপ্তাহের মূল্যতালিকা এবং পরিবর্তনের হারসহ একটি ফ্যাক্টবক্স তৈরি করে উপস্থাপন করা হলো। ফ্যাক্টবক্সে প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে:

  • গত সপ্তাহের দাম
  • চলতি সপ্তাহের দাম
  • টাকার পার্থক্য
  • শতকরা হারে মূল্যবৃদ্ধি

 

রান্নাঘরে আগুন: পণ্যের দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস ঢাকার মধ্যবিত্তের

০৬:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

মিরপুর ৬ নম্বর বাজারে শুক্রবার সকালে দাঁড়িয়ে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে ক্রেতা রুবিনা আক্তার হাঁপিয়ে উঠেছেন। এক হাতে বরবটি, আরেক হাতে পেঁয়াজ—তুলে তুলেই আবার রেখে দিচ্ছেন। মুখে একটাই বাক্য:
সবকিছুর দাম বেড়েছেকিন্তু আয় তো বাড়েনি। রান্নাঘর চালানো এখন যুদ্ধের মতো।”

ঢাকার বেশিরভাগ কিচেন মার্কেটেই এই চিত্র। শুক্রবার সকাল থেকেই বাজারগুলোতে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা আর বিক্রেতাদের মধ্যে অস্বস্তি স্পষ্ট। চাল, মাছ, মাংস, ডাল, তেল, এমনকি মৌসুমি সবজির দামও আকাশছোঁয়া। ফলে সপ্তাহের শুরুতেই দৈনন্দিন ব্যয় বৃদ্ধির ধাক্কায় পড়ে গেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো।

সবজির বাজারে আগুন: কাঁচামরিচ ২০০ টাকা!

ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোতে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি শোনা গেল, তা হলো—কাঁচা মরিচ এত দাম কেন?”
কারওয়ান বাজার, মিরপুর, খিলগাঁও ও মহাখালীতে গিয়ে দেখা গেছে:

  • কাঁচা মরিচ: ২০০ টাকা/কেজি
  • বরবটি: ৯০–১০০ টাকা/কেজি
  • বেগুন: ৯০–১০০ টাকা/কেজি
  • পেঁপে: ৫০–৬০ টাকা/কেজি

বিক্রেতারা জানান, গরমে উৎপাদন কমেছে, আবার গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মাঠে রোগ দেখা দেওয়ায় সবজির সরবরাহ কমে গেছে। ফলে দাম কমার কোনো সম্ভাবনা এখনই নেই।

চালের বাজারে স্থিতিডালে বিপত্তি

চালের দামে সাম্প্রতিক সময়ে বড় পরিবর্তন না থাকলেও ডালের বাজারে লেগেছে ঝড়।
আজকের দর:

  • মোটা চাল: ৫২–৫৫ টাকা/কেজি
  • মিনিকেট: ৭৪–৭৮ টাকা/কেজি
  • আতপ চাল: ৬২–৬৫ টাকা/কেজি
  • মসুর ডাল: ১১০ টাকা/কেজি
  • মুগ ডাল: ১৩০ টাকা/কেজি

সাধারণত ডাল নির্ভর অনেক নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার এখন বিকল্প খাবার খুঁজতে বাধ্য হচ্ছে।

মাছ-মাংসও ধরা ছোঁয়ার বাইরে: ইলিশপাবদাবেলেসবই এখন বিলাসিতা

মাছ, যেটি একসময়ে মধ্যবিত্তের প্রোটিন চাহিদার অন্যতম প্রধান উৎস ছিল, এখন তা অনেকের কাছে বিলাসবস্তু। বিশেষ করে পদ্মা ও মেঘনার ইলিশ, মিঠাপানির বেলে, পাবদা, আইড়, বোয়াল কিংবা চিংড়ির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন বাজারে (কারওয়ান, মিরপুর, খিলগাঁও, ও মহাখালী) মাছের দর ছিল নিম্নরূপ:

  • রুই মাছ: ২৮০–৩০০ টাকা/কেজি
  • কাতলা মাছ: ৩২০–৩৫০ টাকা/কেজি
  • পাঙ্গাশ (খামারজাত): ২২০–২৪০ টাকা/কেজি
  • ইলিশ (পদ্মা-মেঘনার): ১২০০–১৮০০ টাকা/কেজি
  • বেলে মাছ: ৭০০–৮৫০ টাকা/কেজি

  • পাবদা মাছ: ৬৫০–৮০০ টাকা/কেজি
  • আইড়: ৮৫০–১০০০ টাকা/কেজি
  • বোয়াল: ১০০০–১২০০ টাকা/কেজি
  • শোল/গজার: ৪৫০–৬৫০ টাকা/কেজি
  • টেংরা: ৬৫০–৭৫০ টাকা/কেজি
  • চিংড়ি (মাঝারি): ৭৫০–৯০০ টাকা/কেজি
  • চিংড়ি (বড় সাইজ): ১২০০–১৪০০ টাকা/কেজি
  • লবস্টার: ১৮০০–২২০০ টাকা/কেজি

কারওয়ান বাজারের এক মাছ বিক্রেতা বলেন,
একজন লোক এসে ইলিশ কিনতে চায়দাম শুনেই পিছু হটে যায়। এভাবে তো ব্যবসা করা মুশকিল। আমরা নিজেরাও লস খাই অনেক সময়।

অন্যদিকে, মাছ কিনতে আসা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন,
একটা পাবদা কিনলেই ৩০০৪০০ টাকা চলে যায়। তাও ছোট সাইজ। আগে প্রতি সপ্তাহে ৩৪ প্রকার মাছ কিনতামএখন মাসে একদিন কিনি। মাছ খাওয়াটাও যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে।

ভোজ্যতেল: বোতল থেকে খোলাসবখানেই দাম বেশি

খোলা তেল কিনতে গিয়ে রামপুরার গৃহবধূ তাহমিনা সুলতানা বলেন,
সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা লিটার! তাও ভালো মানের খোলা তেল পাওয়া যায় না সবসময়।”

  • খোলা সয়াবিন তেল: ১৬৫–১৭০ টাকা/লিটার
  • বোতলজাত তেল: ১৮০–১৮৫ টাকা/লিটার
  • পাম তেল: ১৫০–১৫৫ টাকা/লিটার

সরবরাহ সংকটের কথা জানালেও তেলের ডিলারদের অনেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি করতে অনিচুক।

মধ্যবিত্তের নিঃশব্দ কান্না

শুধু পণ্য নয়, বাজারে এখন মধ্যবিত্ত শ্রেণির আতঙ্কও বিক্রি হচ্ছে। ঘরে ফেরার পথে এক প্রৌঢ় শিক্ষক বলেন,
এই মাসেই দুইবার বাজার করে হিসাব কষে চলতে হচ্ছে। আগে মাছ-মাংস মিলিয়ে সপ্তাহে তিনদিন রান্না হতোএখন কেবল শুক্রবারে।”

নিম্নবিত্তদের কথা তো আরও করুণ। রিকশাচালক দেলোয়ার হোসেনের কথায়,
এক কেজি চালআধা কেজি ডালএক কেজি সবজি কিনলেই দুইশ টাকা চলে যায়। বাচ্চাদের দুধ কইওষুধ কইএগুলো তো এখন স্বপ্ন।”

রাষ্ট্রীয় নীরবতা ও মানুষের প্রত্যাশা

বাজারে নেই কোনো তদারকি, নেই কোনো বিকল্প ব্যবস্থাপনা। টিসিবি’র পণ্য সরবরাহ অপ্রতুল, আবার সেসব পেতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়।
বাজার মনিটরিং বাহিনী একপ্রকার অদৃশ্য। অনেকেই বলছেন, সরকার এখনো সংকটকে গুরুত্ব দিয়ে নিচ্ছে না।

বিষয়টি নিয়ে অর্থনীতিবিদ ড. রুহুল আমিন বলেন,
মূল্যস্ফীতি যখন সাধারণ মানুষের খাওয়ার পাতে সরাসরি আঘাত হানেতখন তা আর শুধু অর্থনৈতিক ইস্যু থাকে নাতা রাজনৈতিক ও মানবিক সংকট হয়ে দাঁড়ায়।”

হস্তক্ষেপ দরকার এখনই

বর্তমান বাজার পরিস্থিতি শুধু সাময়িক অস্থিরতা নয়, এটি জীবনযাত্রার গুণগত অবনমন ও নাগরিক নিরাপত্তার প্রশ্ন।
সরকার যদি এখনই কার্যকর বাজার তদারকি, পর্যাপ্ত পণ্যের মজুত ও টিসিবি’র সুশৃঙ্খল নেটওয়ার্ক নিশ্চিত না করে, তবে সামনে ঈদের বাজারেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও তীব্র হতে পারে।

উল্লিখিত ফিচার প্রতিবেদনটির নিচে প্রয়োজনীয় পণ্যের গত সপ্তাহ ও চলতি সপ্তাহের মূল্যতালিকা এবং পরিবর্তনের হারসহ একটি ফ্যাক্টবক্স তৈরি করে উপস্থাপন করা হলো। ফ্যাক্টবক্সে প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে:

  • গত সপ্তাহের দাম
  • চলতি সপ্তাহের দাম
  • টাকার পার্থক্য
  • শতকরা হারে মূল্যবৃদ্ধি