
এ প্রসঙ্গে শ্রীধরাচার্য বলেছেন-ছেদাংশ বিপর্যাসে হরস্থ্য বিহিতে বিধিঃপূর্ব।
মহাবীরাচার্য বলেছেন-
“অংশীকৃত্যচ্ছেদং প্রমানরাশেতঃ ক্রিয়া গুণবত।
প্রমিতফলেহণ্যহরঙ্গে বিচ্ছিদি বা সফল বচ্চ ভাগ হৃতৌ ॥”
ভগ্নাংশের বর্গ ও বর্গমূলঃ এ সম্পর্কে ভারতীয় গণিতবিদদের অনেকেই আলোচনা করেছেন। তবে ব্রহ্মগুপ্ত ও দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য ব্যাপকভাবে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। ব্রহ্মগুপ্ত বলেছেন:
“সংবর্নিতাংশ বর্গচ্ছেদকৃতি বিভাজিতো ভবতি বর্গঃ।
সংবর্নিতাংশমূলং চ্ছেদপদে নাদ্ধৃতংমূলম্।”
অর্থাৎ “ভগ্নাংশের বর্গ নির্ণয় করিতে হইলে লবের বর্গ করিয়া উহাকে হরের বর্গ দ্বারা ভাগ করিতে হইবে। ভগ্নাশের বর্গমূল নির্ণয় করিতে হইলে লবের বর্গমূলকে হরের বর্গমূল দ্বারা ভাগ করিতে হইবে।” দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য বলেছেন:
“বর্গে কৃতৌ ধনাবিধৌ তুঘনৌ বিষয়ৌ হারাংশয়েরেথ পদে চ পদ প্রসিদ্ধৈ।”
অর্থাৎ বর্গ নির্ণয় করিতে হইলে অথবা ঘন নির্ণয় করিতে হইলে লব এবং হর উভয়ের বর্গ বাহির করিতে হইবে এবং উভয়ের ঘন বাহির করিতে হইবে। এবং বর্গ মূল বাহির করিতে হইলে লব ও হরের উভয়ের বর্গমূল নির্ণয় করিতে হইবে। প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন যে দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এই শ্লোকটি ভগ্নাংশের ঘনমূলের কথাও উল্লেখ
করেছেন। দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এ সম্পর্কে উদাহরণে বলেছেন:
সার্দ্ধত্রয়াণাং কথয়াক্ত বর্গং বর্গাত্ততো বর্গ পদঞ্চ মিত্র।
ঘনঞ্চ মূলঞ্চ ঘনাত্ততোহপি জানাসি চেল্ বর্গঘনৌ বিভিন্নৌ।
(চলবে)
প্রদীপ কুমার মজুমদার 



















