রাজধানীর ঐতিহাসিক রমনা সেন্ট মেরি ক্যাথেড্রাল গির্জায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ)। সংগঠনটি একে ধর্মীয় সম্প্রীতির ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
রমনা গির্জায় ককটেল হামলায় গভীর উদ্বেগ
বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ঐতিহাসিক সেন্ট মেরি ক্যাথেড্রাল গির্জায় ককটেল হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনটি এই ঘটনাকে “গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয়” বলে অভিহিত করেছে।
শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বিসিএ সভাপতি নির্মল রোজারিও ও সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত আই. করেয়া বলেন, “এই হামলা ধর্মীয় সম্প্রীতির চেতনায় সরাসরি আঘাত।”
হামলার সময় ও ঘটনার বিবরণ
সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত প্রায় ১০টা ৪৫ মিনিটে গির্জার সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আরেকটি বোমা গির্জার ভেতরে নিক্ষেপ করা হয়, যা বিস্ফোরিত হয়নি। পরে পুলিশ সেই অবিস্ফোরিত বোমাটি উদ্ধার করে।

আগের হামলার পুনরাবৃত্তি নিয়ে আশঙ্কা
বিবৃতিতে বিসিএ স্মরণ করিয়ে দেয় যে, গত ৮ অক্টোবর তেজগাঁওয়ের হোলি রোজারি গির্জায়ও একই ধরনের হামলা হয়েছিল। পরপর দুই মাসে দুটি বড় গির্জায় এ ধরনের সহিংস হামলা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে বলে সংগঠনটি জানায়।
বিসিএ নেতারা বলেন, “রমনা ক্যাথেড্রালে এই হামলাকে হালকাভাবে নেওয়া যায় না। এটি ধর্মীয় সহাবস্থান ও শান্তির ওপর আঘাত।”
দ্রুত তদন্ত ও কঠোর ব্যবস্থা দাবি
বিসিএ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে দ্রুত তদন্ত পরিচালনা করে দোষীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সরকার যেন দেশজুড়ে সব গির্জা, মিশনারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়।
#বাংলাদেশ #খ্রিস্টান_সম্প্রদায় #রমনা_গির্জা #ধর্মীয়_সম্প্রীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















