১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

আজও তালাবদ্ধ ডিএসসিসির নগর ভবন

সমকালের একটি শিরোনাম “আজও তালাবদ্ধ ডিএসসিসির নগর ভবন”

আজও তালাবদ্ধ হয়ে আছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন সমর্থকরা সাম্প্রতিক দিনগুলোর মত আজ রোববারও তালাবদ্ধ করে রেখেছে নগর ভবনের মূল ফটক থেকে শুরু করে ভবনের প্রধান প্রধান ফটকগুলো। তারা নগর ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মঞ্চ বানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। সে সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয়; সেজন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গত ১৫ মে থেকে আন্দোলন নামেন ইশরাক সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনের কারণে ডিএসসিসি নগর ভবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এরপর এ রিট মামলার ওপর কয়েক দফা শুনানির পর তা খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্টের বেঞ্চ।

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন, থাকছে না কালোটাকা সাদা করার সুযোগ”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ রোববার বেলা ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেউদ্দিন আহমেদ।

গত ২ জুন ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট প্রস্তাব সম্প্রচার করা হয়।

এর আগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরের বাজেট টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন।

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা করলো বিএনপি”

বিগত তিন ‘বিতর্কিত’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৩) দায়িত্ব পালন করা সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অজ্ঞাতপরিচয়ের ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করছে বিএনপি। রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করে দলটি। শেরে বাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমাউল হক বিষয়টি মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন।

সাবেক এই তিন সিইসি হলেন ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

এর আগে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খানের (মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আবেদন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যান। এ সময় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যে মো. মিজানুর রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসান ছিলেন।

মামলার আবেদনের কপি নিয়ে একটি প্রতিনিধিদল প্রথমে নির্বাচন কমিশনে জমা দেন। এরপর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলার আবেদন করা হয়।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বিদেশে সম্পদ গড়ে আইনের মারপ্যাঁচে পার পাওয়া যাবে না”

দেশে বিদ্যমান আয়কর আইনে কোনো নিবাসী বাংলাদেশী করদাতার বিদেশে সম্পদ থাকলে তা আয়কর নথিতে প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয় ২০২২ সালের জুলাইয়ে। বিধানটিতে এ ধরনের সম্পদের তথ্য পাওয়া গেলে তা নিয়ে দেশে-বিদেশে অনুসন্ধান পরিচালনা ও সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিদেশে গড়া সম্পদ আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন না করেও ‘নিবাসী’ শব্দের মারপ্যাঁচে পার পেয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশীরা। এমনকি তাদের অনেকেই বাংলাদেশের নাগরিকত্বও ছেড়েছেন। বিদেশে সম্পদ অর্জন করলেও তাদের আয়কর আইনের ২১ ধারার আওতায় আনা যাচ্ছিল না। এজন্য ২ জুন অর্থ অধ্যাদেশে আয়কর আইনের ২১ ধারার সংশোধন আনা হয়।

এনবিআর দাবি করছে, এখন থেকে নিবাসী ও অনিবাসী যে কেউ ২১ ধারায় আইনের আওতায় আসবেন। ধারাটি সংশোধনের মাধ্যমে এস আলম গ্রুপ ও সামিটসহ এ ধরনের করদাতাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগের আইন অনুযায়ী শুধু বাংলাদেশীদের ওপর ২১ ধারার জরিমানা আরোপ করা যেত। কেউ নাগরিকত্ব ত্যাগ করলে বা কোনো বাংলাদেশী বিদেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে তার বিরুদ্ধে এ ধারা প্রয়োগ করা যেত না বা করলেও তা অবৈধ হতো।

২০২৩ সালের ২২ জুনের গেজেটে (অতিরিক্ত) বলা হয়েছে, ‘নিবাসী’ অর্থ কোনো আয়বর্ষে—এইরূপ কোনো ব্যক্তি যিনি নিম্নবর্ণিত সময়ব্যাপী বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন (অ) ধারাবাহিকভাবে অথবা উক্ত বর্ষে সমষ্টিগতভাবে ন্যূনতম ১৮৩ বা ততোধিক দিন বা (আ) উক্ত বর্ষে ধারাবাহিকভাবে বা সমষ্টিগতভাবে সর্বমোট ৯০ দিন বা ততোধিক দিন এবং অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪ বছরের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে অথবা সমষ্টিগতভাবে মোট ৩৬৫ অথবা ততোধিক দিন; (খ) কোনো হিন্দু অবিভক্ত পরিবার, ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘ যাহার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যাদি সম্পূর্ণরূপে উক্ত বর্ষে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সংঘটিত হয়েছে; (গ) কোনো বাংলাদেশী কোম্পানি বা অন্য কোনো কোম্পানি যার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যাদি সম্পূর্ণরূপে উক্ত বর্ষে বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে সংঘটিত হয়েছে এবং (ঘ) কোনো ট্রাস্ট, তহবিল, সত্তা বা আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা, যাদের সৃষ্টি বাংলাদেশে বলবৎ কোনো আইনের অধীন হয়েছে বা যার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যাদি সম্পূর্ণরূপে উক্ত বর্ষে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সংঘটিত হয়েছে।

অর্থ অধ্যাদেশে (২০২৫) বলা হয়েছে, ধারা ২১-এর উপধারায় (১) ‘নিবাসী বাংলাদেশী’র পরিবর্তে ‘করদাতা বা জন্মসূত্রে বাংলাদেশী ছিলেন বা আছেন’ শব্দগুলো সন্নিবেশিত হবে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আয়কর পরিপত্রে ‘করদাতা বা জন্মসূত্রে বাংলাদেশী ছিলেন বা আছেন’ বিষয়ে আরো ব্যাখ্যা থাকবে। সেখানে বিষয়টি আরো স্পষ্ট করা হবে।

 

আজও তালাবদ্ধ ডিএসসিসির নগর ভবন

০৩:০২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “আজও তালাবদ্ধ ডিএসসিসির নগর ভবন”

আজও তালাবদ্ধ হয়ে আছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন সমর্থকরা সাম্প্রতিক দিনগুলোর মত আজ রোববারও তালাবদ্ধ করে রেখেছে নগর ভবনের মূল ফটক থেকে শুরু করে ভবনের প্রধান প্রধান ফটকগুলো। তারা নগর ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মঞ্চ বানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। সে সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয়; সেজন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গত ১৫ মে থেকে আন্দোলন নামেন ইশরাক সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনের কারণে ডিএসসিসি নগর ভবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এরপর এ রিট মামলার ওপর কয়েক দফা শুনানির পর তা খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্টের বেঞ্চ।

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন, থাকছে না কালোটাকা সাদা করার সুযোগ”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ রোববার বেলা ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেউদ্দিন আহমেদ।

গত ২ জুন ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট প্রস্তাব সম্প্রচার করা হয়।

এর আগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরের বাজেট টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন।

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা করলো বিএনপি”

বিগত তিন ‘বিতর্কিত’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৩) দায়িত্ব পালন করা সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অজ্ঞাতপরিচয়ের ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করছে বিএনপি। রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করে দলটি। শেরে বাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমাউল হক বিষয়টি মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন।

সাবেক এই তিন সিইসি হলেন ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

এর আগে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খানের (মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আবেদন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যান। এ সময় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যে মো. মিজানুর রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসান ছিলেন।

মামলার আবেদনের কপি নিয়ে একটি প্রতিনিধিদল প্রথমে নির্বাচন কমিশনে জমা দেন। এরপর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলার আবেদন করা হয়।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বিদেশে সম্পদ গড়ে আইনের মারপ্যাঁচে পার পাওয়া যাবে না”

দেশে বিদ্যমান আয়কর আইনে কোনো নিবাসী বাংলাদেশী করদাতার বিদেশে সম্পদ থাকলে তা আয়কর নথিতে প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয় ২০২২ সালের জুলাইয়ে। বিধানটিতে এ ধরনের সম্পদের তথ্য পাওয়া গেলে তা নিয়ে দেশে-বিদেশে অনুসন্ধান পরিচালনা ও সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিদেশে গড়া সম্পদ আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন না করেও ‘নিবাসী’ শব্দের মারপ্যাঁচে পার পেয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশীরা। এমনকি তাদের অনেকেই বাংলাদেশের নাগরিকত্বও ছেড়েছেন। বিদেশে সম্পদ অর্জন করলেও তাদের আয়কর আইনের ২১ ধারার আওতায় আনা যাচ্ছিল না। এজন্য ২ জুন অর্থ অধ্যাদেশে আয়কর আইনের ২১ ধারার সংশোধন আনা হয়।

এনবিআর দাবি করছে, এখন থেকে নিবাসী ও অনিবাসী যে কেউ ২১ ধারায় আইনের আওতায় আসবেন। ধারাটি সংশোধনের মাধ্যমে এস আলম গ্রুপ ও সামিটসহ এ ধরনের করদাতাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগের আইন অনুযায়ী শুধু বাংলাদেশীদের ওপর ২১ ধারার জরিমানা আরোপ করা যেত। কেউ নাগরিকত্ব ত্যাগ করলে বা কোনো বাংলাদেশী বিদেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে তার বিরুদ্ধে এ ধারা প্রয়োগ করা যেত না বা করলেও তা অবৈধ হতো।

২০২৩ সালের ২২ জুনের গেজেটে (অতিরিক্ত) বলা হয়েছে, ‘নিবাসী’ অর্থ কোনো আয়বর্ষে—এইরূপ কোনো ব্যক্তি যিনি নিম্নবর্ণিত সময়ব্যাপী বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন (অ) ধারাবাহিকভাবে অথবা উক্ত বর্ষে সমষ্টিগতভাবে ন্যূনতম ১৮৩ বা ততোধিক দিন বা (আ) উক্ত বর্ষে ধারাবাহিকভাবে বা সমষ্টিগতভাবে সর্বমোট ৯০ দিন বা ততোধিক দিন এবং অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪ বছরের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে অথবা সমষ্টিগতভাবে মোট ৩৬৫ অথবা ততোধিক দিন; (খ) কোনো হিন্দু অবিভক্ত পরিবার, ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘ যাহার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যাদি সম্পূর্ণরূপে উক্ত বর্ষে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সংঘটিত হয়েছে; (গ) কোনো বাংলাদেশী কোম্পানি বা অন্য কোনো কোম্পানি যার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যাদি সম্পূর্ণরূপে উক্ত বর্ষে বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে সংঘটিত হয়েছে এবং (ঘ) কোনো ট্রাস্ট, তহবিল, সত্তা বা আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা, যাদের সৃষ্টি বাংলাদেশে বলবৎ কোনো আইনের অধীন হয়েছে বা যার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যাদি সম্পূর্ণরূপে উক্ত বর্ষে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সংঘটিত হয়েছে।

অর্থ অধ্যাদেশে (২০২৫) বলা হয়েছে, ধারা ২১-এর উপধারায় (১) ‘নিবাসী বাংলাদেশী’র পরিবর্তে ‘করদাতা বা জন্মসূত্রে বাংলাদেশী ছিলেন বা আছেন’ শব্দগুলো সন্নিবেশিত হবে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আয়কর পরিপত্রে ‘করদাতা বা জন্মসূত্রে বাংলাদেশী ছিলেন বা আছেন’ বিষয়ে আরো ব্যাখ্যা থাকবে। সেখানে বিষয়টি আরো স্পষ্ট করা হবে।