তাম্রলিপ্তি বন্দর থেকে সেকালে পূর্বদ্বীপপুঞ্জ, চীন-জাপান ইত্যাদিতে বহু জাহাজ যাতায়াত করত। যষ্ঠ শতাব্দীতে চৈনিক পরিব্রাজক ফা হিআন্ এই বন্দর থেকেই জাহাজে উঠে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
৬৭৩ খৃস্টাব্দে আর একজন চৈনিক বৌদ্ধ পরিব্রাজক, ই-চিঙ, সুমাত্রা দ্বীপ থেকে ভারতবর্ষে আসতে এই বন্দরেই নেমেছিলেন। হিউএনচাঙ এখানে এসে জাহাজের বাঙালী নাবিকদের কাছে পূবদিকের দেশগুলির বিষয়ে নিশ্চয়ই সংবাদ নিয়েছিলেন, কারণ তাঁর বিবরণে ঐসব দেশের নির্ভুল খবর পাওয়া যায়।
‘সমুদ্রতীর ধরে উত্তর-পূর্ব দিকে যেতে যেতে শ্রীক্ষেত্রে আসা যায় (শ্রীক্ষেত্র ব্রহ্মের এক ভূতপূর্ব রাজধানী প্রোমের প্রাচীন নাম)। তার পরে ঈশানপুর রাজ্য (কম্বোডিয়াতে ‘ওঙ্কারধামে’র আগে এখানেই রাজধানী ছিল)। আরও পূবে ‘মহাচম্পা’ রাজ্য।’
সে সময়ে আধুনিক আনামের উপকূলে সমৃদ্ধিশালী চম্পা রাজ্য ছিল।
(চলবে)
হিউএনচাঙ (পর্ব-১২৮)