এই বিবরণে হিউ এনচাঙের উদার মনের পরিচয় পাওয়া যায়।
হিউএনচাঙ সমতট বা দক্ষিণ বাংলার সম্বন্ধে বলেছেন, ‘জমি খুব উর্বরা। রাজধানীর পরিধি চার মাইল। দেশে রীতিমত চাষ হয়-আর প্রচুর শস্য, ফুলফল জন্মে। আবহাওয়া সুখদ, লোকগুলি প্রীতিকর। তারা স্বভাবতই পরিশ্রমী, মাথায় খাটো, রং কালো।
এরা খুব বিদ্যানুরাগী আর বিদ্যাচর্চায় রত। বৌদ্ধ ও বিধর্মী দুইই আছে। গোটা ত্রিশ সঙ্ঘারাম আর দুই হাজার ভিক্ষু আছেন। সকলেই হীনযানী। শতখানেক দেবালয় আছে। সব সম্প্রদায়ের লোকই মিলেমিশে থাকে। নগ্ন নিগ্রন্থী বহু।
একটা সঙ্ঘারামে নীল স্ফটিকে (blue jade) তৈরি আট ফুট উঁচু বুদ্ধমূর্তি আছে। এটা চমৎকারভাবে গড়া আর এর থেকে মধ্যে মধ্যে আধ্যাত্মিক শক্তি প্রকাশিত হয়।’
তাম্রলিপ্তি সম্বন্ধে হিউ এনসাঙ বলেছেন, ‘সমুদ্রের একটা বিস্তীর্ণ উপসাগর এ শহরে প্রবেশ করেছে। জলপথ আর স্থলপথ এখানে একত্র হয়েছে।
সেইজন্যে এখানে বহুমূল্য দুষ্প্রাপ্য জিনিস জমা হয় আর অধিবাসীরা সাধারণতঃ বেশ ধনী।’
(চলবে)