২০২৫ সালেও বাংলাদেশে শিশুদের সম্পূর্ণ টিকাদান নিশ্চিত করতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। বিশেষ করে নগর বস্তি, সীমান্ত অঞ্চল ও চা-বাগান এলাকায় এই সমস্যা আরও প্রকট। ২০২৩ সালে জাতীয় ‘এক্সপ্যান্ডেড প্রোগ্রাম অন ইমিউনাইজেশন (EPI)’ প্রায় ৮১.৬% শিশুদের টিকাদান নিশ্চিত করলেও, এখনও প্রায় ৪.৫ লক্ষ শিশু পুরোপুরি টিকা পায়নি, আর প্রায় ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায়নি।
নগর এলাকায় টিকাদানে পিছিয়ে পড়া
গ্রামীণ অঞ্চলে তুলনামূলক ভালো অগ্রগতি হলেও নগর এলাকায় টিকাদানের হার কম, যেখানে মাত্র ৭৯% শিশুরাই সম্পূর্ণ টিকা পেয়েছে। নগর বস্তিগুলোতে টিকা না পাওয়া শিশুদের হার ২.৪% এবং আংশিক টিকা পাওয়া শিশুদের হার প্রায় ১০%—যা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে গভীর উদ্বেগের কারণ।
‘জিরো-ডোজ’ শিশুদের অগ্রাধিকার
যেসব শিশু একটি টিকাও পায়নি, তাদের ‘জিরো-ডোজ’ শিশু বলা হয়। এই শিশুদের খুঁজে বের করতে ও টিকা দেওয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের ৩৪টি পিছিয়ে থাকা পৌরসভা ও ২৭টি জেলায় ২,০০০-এর বেশি সাব-ব্লকে ঘরে ঘরে গিয়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। আটটি প্রধান সিটি কর্পোরেশনেও টার্গেটেড কার্যক্রম চলছে।
আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সহায়তা
২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড ইমিউনাইজেশন উইক উপলক্ষে ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও গাভি (Gavi) বাংলাদেশকে টিকাদান কার্যক্রমে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। তারা টিকা সংরক্ষণের জন্য কোল্ড চেইন ব্যবস্থা উন্নয়ন, ডিজিটাল মনিটরিং টুল এবং জনসচেতনতামূলক প্রচারণায় সহায়তা দিচ্ছে।