নেতানিয়াহুর বিচার বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের
রয়টার্স,
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি বন্ধ করার বা তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, যেমনভাবে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে, তেমনি নেতানিয়াহুকেও রক্ষা করবে।
২০১৯ সালে ঘুষ, প্রতারণা এবং আস্থাভঙ্গের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হয়, যার সবগুলো তিনি অস্বীকার করেছেন। বিচার শুরু হয় ২০২০ সালে। ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লেখেন, “নেতানিয়াহুর বিচার অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত বা এই মহান বীরকে ক্ষমা দেওয়া উচিত।”
তবে ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ এর কড়া সমালোচনা করেন, বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, তারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না।” তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহুর ওপর গাজা ইস্যুতে চাপ সৃষ্টি করে যুদ্ধ বন্ধ ও বন্দি বিনিময় চুক্তিতে বাধ্য করার লক্ষ্যে।
ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে “যোদ্ধা” বলে প্রশংসা করলেও ইসরায়েলের ইরান-বিরোধী অভিযানের পর তাঁর বিরল সমালোচনাও করেছেন।
গোপন স্থাপনায় পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে উত্তর কোরিয়ার সহায়তা চাইতে পারে ইরান: বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা
মিরর,
চেক প্রজাতন্ত্রের ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস ইনস্টিটিউটের গবেষক আজরিয়েল বারমেন্ট আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি চালিয়ে যেতে উত্তর কোরিয়ার সহায়তা চাইতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নজরের বাইরে থাকা কোনো গোপন স্থাপনায় এ কার্যক্রম হতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেন।
বারমেন্ট জানান, ফোর্দো, নাটাঞ্জ এবং ইসফাহানের মতো স্থাপনাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ইরান সম্ভবত প্রায় ৪০০ কেজির বেশি উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম গোপনে সঞ্চয় করে রেখেছে।
তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়া এমন প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে না বলেই ধারণা করা হয়, তবে উত্তর কোরিয়ার অতীতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে সহায়তার ইতিহাস রয়েছে। তাই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সীমিত সহযোগিতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি, বরং ধীর হয়েছে মাত্র। যদি ইরান পরমাণু অস্ত্রচুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় এবং আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের বহিষ্কার করে, তবে গোপনে কাজ চালানো আরও কঠিন হলেও অসম্ভব হবে না।
কৃষি ও জ্বালানিতে অগ্রগতির লক্ষ্যে নাইজেরিয়া-ব্রাজিল ১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর
গ্রাউন্ড নিউজ,
নাইজেরিয়া এবং ব্রাজিল ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা কৃষি ও জ্বালানি খাতে উন্নয়ন সাধনের জন্য। নাইজেরিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট কাসিম শেট্টিমা জানান, এই চুক্তির আওতায় নাইজেরিয়াজুড়ে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
চুক্তিটি ২০৩০ সালের মধ্যে নাইজেরিয়াকে এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করার পরিকল্পনার অংশ। এতে কৃষি খাতকে সাবসিস্টেন্স কৃষি থেকে বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়া এবং জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণ করাই মূল লক্ষ্য। এটি দেশটির জনসাধারণের অর্থ ব্যবস্থার সংস্কারকেও এগিয়ে নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়েছে: ট্রাম্পের গোয়েন্দা প্রধানদের দাবি
পলিটিকো,
মার্কিন সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ ও জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইরানের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। গ্যাবার্ড এক্স-এ বলেন, “নতুন গোয়েন্দা তথ্য নিশ্চিত করছে প্রেসিডেন্টের বক্তব্য—ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়েছে।”
র্যাটক্লিফও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, “বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ইরানের স্থাপনাগুলোর পুনর্গঠন করতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।”
তবে মার্কিন ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ) এর আগে বলেছিল, আক্রমণে মূল কম্পোনেন্ট ধ্বংস হয়নি—মাত্র কয়েক মাসের জন্য বিলম্ব ঘটেছে। ডিআইএ পরে ব্যাখ্যা করে জানায়, এটি ছিল একটি “প্রাথমিক, নিম্ন-আস্থার” মূল্যায়ন এবং তদন্ত এখনও চলছে।
ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসন এই রিপোর্ট ফাঁস ও মিডিয়া কাভারেজকে “প্রচারণা” বলে আখ্যা দেন। ইসরায়েলও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দাঁড়িয়ে জানিয়েছে, যৌথ হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি “বহু বছরের জন্য পিছিয়ে” গেছে।
বিশ্লেষকরা যদিও ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা মেনে নিচ্ছেন, তারা আরও যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার একটি “গুরুত্বপূর্ণ প্রেস কনফারেন্স” আয়োজন করা হবে, যেখানে ধ্বংসযজ্ঞের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হবে।