০৩:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

কলম্বিয়ার সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ

বামপন্থী এজেন্ডা টিকিয়ে রাখতে সংবিধান পরিবর্তনের চিন্তা

কলম্বিয়ার প্রথম ঘোষিত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর জন্য গত কয়েক বছর খুবই হতাশার হয়েছে। ২০২২ সালে নির্বাচিত হয়ে তিনি পেনশন, স্বাস্থ্যসেবা ও শ্রম আইন সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বৈষম্য কমানোর বড় লক্ষ্য নেন। তিনি সংঘাত-পীড়িত দেশে সব সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করে “মোট শান্তি” আনার অঙ্গীকারও করেছিলেন।

কিন্তু কংগ্রেসে সমর্থন আদায়ে তার আক্রমণাত্মক শাসনশৈলী বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আদালতও তার কয়েকটি সংস্কার পরিকল্পনা আটকে দেয়। এতে বিরক্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট পেত্রো এখন সংবিধান পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে ভাবছেন।

কলম্বিয়ায় বৈষম্য ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা

কলম্বিয়া বিশ্বের অন্যতম বৈষম্যমূলক দেশ। গরিব পরিবারের সন্তানের জন্য মধ্যবিত্তে উঠে আসা খুব কঠিন। ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা যায়, ৭৫টি দেশের মধ্যে কলম্বিয়ার আন্তঃপ্রজন্ম আয়গত গতিশীলতা সবচেয়ে কম।

তবে পেত্রোর পরিকল্পনায় বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার—কলম্বিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ২৭টি বেসরকারি ইন্স্যুরারের মাধ্যমে চলে, যার মধ্যে মাত্র সাতটি যথেষ্ট আর্থিক সক্ষম। তা সত্ত্বেও তিনি পুরো ব্যবস্থাটি ভেঙে ফেলার হুমকি দেন।

গত বছর তিনি একটি বিল আনেন, যাতে সব বেসরকারি ইন্স্যুরার রাষ্ট্রায়ত্ত করার প্রস্তাব ছিল। কংগ্রেসে সেটি আটকে যাওয়ার পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা দুটি বড় ইন্স্যুরারের দখল নেয়। মার্চে নিম্নকক্ষে বিলের একটি দুর্বল সংস্করণ পাশ হয়, তবে সিনেট সম্ভবত সেটি নাকচ করবে।

পেনশন সংস্কারও অনিশ্চয়তার মুখে

পেনশন সংস্কার বিলও ঝুলে আছে। এ বিলে বলা হয়েছে, যারা ন্যূনতম মজুরির ২.৩ গুণ পর্যন্ত (প্রায় ৭৫০ ডলার) আয় করেন, তারা বাধ্যতামূলকভাবে সরকারি তহবিলে অবদান দেবেন। উচ্চ আয়কারীরা বাকি অংশ বেসরকারি তহবিলে রাখতে পারবেন।

বিলটি ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৮ জুন সাংবিধানিক আদালত এটি আবার কংগ্রেসে ফেরত পাঠায়, কারণ বিরোধীরা অভিযোগ করেন যে সরকার যথেষ্ট আলোচনার সময় না দিয়ে বিলটি জোর করে পাস করাতে চেয়েছে।

শ্রম সংস্কার: আংশিক সাফল্য

২০ জুন পেত্রো তার বড় একটি সাফল্য পান—কংগ্রেস শ্রম সংস্কারের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ অনুমোদন করে। এর আগে সিনেট এটি দুইবার নাকচ করেছিল, তবে পেত্রো গণভোটের ঘোষণা দিয়ে (যা পরে তুলে নেন) তাদের চাপে ফেলেন।

নতুন সংস্কারে রবিবার ও ছুটির দিনে ওভারটাইমের মজুরি বর্তমান ৭৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে বাড়ানো হয়েছে। গিগ শ্রমিকদের পেনশন ও স্বাস্থ্যসেবায় কোম্পানিগুলোর অবদান বাড়াতে হবে এবং তাদের সম্পূর্ণ বিমা দিতে হবে।

বামপন্থী কর্মী হুয়ান পাবলো লোপেজ বলেন, এটি “কলম্বিয়ান শ্রমিকদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে”, কারণ বর্তমান শ্রম আইন “সামন্ততান্ত্রিক”।

খরচ বৃদ্ধি ও সমালোচনা

বোগোটাভিত্তিক চিন্তাকেন্দ্র ফেদেসারেওর হিসাব অনুযায়ী, শ্রম সংস্কার কর্মী নিয়োগের খরচ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে ছোট ব্যবসা এবং সিকিউরিটি ও খুচরা খাত, যারা রাতের শিফটে নির্ভর করে, তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তারা কর্মী ছাঁটাই করতে পারে, যা ৬০ শতাংশ শ্রমিক যে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে, তাদের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দেবে। ডেমোক্র্যাটিক সেন্টার দলের গ্যাব্রিয়েল জাইমে ভাল্লেখো বলেন, “যদি উদ্যোক্তাদের নিরুৎসাহিত করা হয়, তবে শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতির কথা বলা যায় না।”

বাজেট ঘাটতি ও অর্থনৈতিক চাপ

অর্থনৈতিক দিক থেকেও সমস্যা বাড়ছে। ১৩ জুন অর্থমন্ত্রী জার্মান আবিলা আগামী তিন বছরের জন্য রাষ্ট্রের ব্যয় ও ঋণের সীমা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন। এতে এ বছরের বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৭ শতাংশের ওপরে যাবে, যা গত বছরের ৬.৭ শতাংশের চেয়ে বেশি।

মোট শান্তি” উদ্যোগের বিপর্যয়

“মোট শান্তি” উদ্যোগও সমস্যায় পড়েছে। ৭ জুন বোগোটায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ঘোষণা করা ডানপন্থী সিনেটর মিগেল উরিবে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর অবস্থায় আছেন। কয়েক দিন পর কালি শহর ও আশেপাশে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি অন্তত সাতজনকে হত্যা করে।

কাতাতুম্বো অঞ্চলের এক স্থানীয় নেতা বলেন, “আমরা পেত্রোকে প্রেসিডেন্ট বানাতে অনেক ত্যাগ করেছি।” এখন তিনি ভাবছেন, তার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। জানুয়ারিতে সংঘাতের কারণে তাকে নিজের বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল।

পেত্রোর নেতৃত্বের সংকট

এই সব সমস্যার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট পেত্রোর অস্থির আচরণ পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। তিনি প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ বার্তা দেন, সমালোচকদের দাস-মালিক বা নাৎসি বলে আখ্যা দেন। ক্ষমতায় আসার পর তিনি চারবার মন্ত্রিসভা রদবদল করেছেন এবং ৫০ জনের বেশি মন্ত্রী নিয়োগ করেছেন।

এপ্রিল মাসে তার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে পেত্রো মাদক নেন (পেত্রো এই অভিযোগ অস্বীকার করে একে অপপ্রচার বলেন)।

সংবিধান পরিবর্তনের বিপজ্জনক পরিকল্পনা

এই সব ব্যর্থতার পর প্রেসিডেন্ট পেত্রো একটি ঝুঁকিপূর্ণ পরিকল্পনা নিয়েছেন। ২০ জুন তিনি ঘোষণা দেন, আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে সংবিধান সভা ডাকতে গণভোট রাখা হবে।

১৯৯১ সালের সংবিধান বহু সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করে। তবে পুরো সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য সভা ডাকতে চাওয়া একটি মৌলিক পরিবর্তন। তার পরিকল্পনা স্পষ্ট নয়, যা উদ্বেগের কারণ।

সমালোচকরা বলছেন, কংগ্রেসে যা পাস করানো যায়নি, পেত্রো সেটি সংবিধানে স্থায়ীভাবে বসিয়ে দিতে চাইছেন। তার জনপ্রিয়তা প্রায় এক-তৃতীয়াংশের মতো, যা কলম্বিয়ার জন্য অস্বাভাবিক নয়। তবে তিনি পুনর্নির্বাচনের যোগ্য নন এবং কোনো উত্তরসূরি নেই। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণই তার বামপন্থী স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখবে।

কলম্বিয়ার সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ

০৮:১৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

বামপন্থী এজেন্ডা টিকিয়ে রাখতে সংবিধান পরিবর্তনের চিন্তা

কলম্বিয়ার প্রথম ঘোষিত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর জন্য গত কয়েক বছর খুবই হতাশার হয়েছে। ২০২২ সালে নির্বাচিত হয়ে তিনি পেনশন, স্বাস্থ্যসেবা ও শ্রম আইন সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বৈষম্য কমানোর বড় লক্ষ্য নেন। তিনি সংঘাত-পীড়িত দেশে সব সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করে “মোট শান্তি” আনার অঙ্গীকারও করেছিলেন।

কিন্তু কংগ্রেসে সমর্থন আদায়ে তার আক্রমণাত্মক শাসনশৈলী বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আদালতও তার কয়েকটি সংস্কার পরিকল্পনা আটকে দেয়। এতে বিরক্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট পেত্রো এখন সংবিধান পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে ভাবছেন।

কলম্বিয়ায় বৈষম্য ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা

কলম্বিয়া বিশ্বের অন্যতম বৈষম্যমূলক দেশ। গরিব পরিবারের সন্তানের জন্য মধ্যবিত্তে উঠে আসা খুব কঠিন। ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা যায়, ৭৫টি দেশের মধ্যে কলম্বিয়ার আন্তঃপ্রজন্ম আয়গত গতিশীলতা সবচেয়ে কম।

তবে পেত্রোর পরিকল্পনায় বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার—কলম্বিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ২৭টি বেসরকারি ইন্স্যুরারের মাধ্যমে চলে, যার মধ্যে মাত্র সাতটি যথেষ্ট আর্থিক সক্ষম। তা সত্ত্বেও তিনি পুরো ব্যবস্থাটি ভেঙে ফেলার হুমকি দেন।

গত বছর তিনি একটি বিল আনেন, যাতে সব বেসরকারি ইন্স্যুরার রাষ্ট্রায়ত্ত করার প্রস্তাব ছিল। কংগ্রেসে সেটি আটকে যাওয়ার পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা দুটি বড় ইন্স্যুরারের দখল নেয়। মার্চে নিম্নকক্ষে বিলের একটি দুর্বল সংস্করণ পাশ হয়, তবে সিনেট সম্ভবত সেটি নাকচ করবে।

পেনশন সংস্কারও অনিশ্চয়তার মুখে

পেনশন সংস্কার বিলও ঝুলে আছে। এ বিলে বলা হয়েছে, যারা ন্যূনতম মজুরির ২.৩ গুণ পর্যন্ত (প্রায় ৭৫০ ডলার) আয় করেন, তারা বাধ্যতামূলকভাবে সরকারি তহবিলে অবদান দেবেন। উচ্চ আয়কারীরা বাকি অংশ বেসরকারি তহবিলে রাখতে পারবেন।

বিলটি ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৮ জুন সাংবিধানিক আদালত এটি আবার কংগ্রেসে ফেরত পাঠায়, কারণ বিরোধীরা অভিযোগ করেন যে সরকার যথেষ্ট আলোচনার সময় না দিয়ে বিলটি জোর করে পাস করাতে চেয়েছে।

শ্রম সংস্কার: আংশিক সাফল্য

২০ জুন পেত্রো তার বড় একটি সাফল্য পান—কংগ্রেস শ্রম সংস্কারের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ অনুমোদন করে। এর আগে সিনেট এটি দুইবার নাকচ করেছিল, তবে পেত্রো গণভোটের ঘোষণা দিয়ে (যা পরে তুলে নেন) তাদের চাপে ফেলেন।

নতুন সংস্কারে রবিবার ও ছুটির দিনে ওভারটাইমের মজুরি বর্তমান ৭৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে বাড়ানো হয়েছে। গিগ শ্রমিকদের পেনশন ও স্বাস্থ্যসেবায় কোম্পানিগুলোর অবদান বাড়াতে হবে এবং তাদের সম্পূর্ণ বিমা দিতে হবে।

বামপন্থী কর্মী হুয়ান পাবলো লোপেজ বলেন, এটি “কলম্বিয়ান শ্রমিকদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে”, কারণ বর্তমান শ্রম আইন “সামন্ততান্ত্রিক”।

খরচ বৃদ্ধি ও সমালোচনা

বোগোটাভিত্তিক চিন্তাকেন্দ্র ফেদেসারেওর হিসাব অনুযায়ী, শ্রম সংস্কার কর্মী নিয়োগের খরচ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে ছোট ব্যবসা এবং সিকিউরিটি ও খুচরা খাত, যারা রাতের শিফটে নির্ভর করে, তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তারা কর্মী ছাঁটাই করতে পারে, যা ৬০ শতাংশ শ্রমিক যে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে, তাদের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দেবে। ডেমোক্র্যাটিক সেন্টার দলের গ্যাব্রিয়েল জাইমে ভাল্লেখো বলেন, “যদি উদ্যোক্তাদের নিরুৎসাহিত করা হয়, তবে শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতির কথা বলা যায় না।”

বাজেট ঘাটতি ও অর্থনৈতিক চাপ

অর্থনৈতিক দিক থেকেও সমস্যা বাড়ছে। ১৩ জুন অর্থমন্ত্রী জার্মান আবিলা আগামী তিন বছরের জন্য রাষ্ট্রের ব্যয় ও ঋণের সীমা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন। এতে এ বছরের বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৭ শতাংশের ওপরে যাবে, যা গত বছরের ৬.৭ শতাংশের চেয়ে বেশি।

মোট শান্তি” উদ্যোগের বিপর্যয়

“মোট শান্তি” উদ্যোগও সমস্যায় পড়েছে। ৭ জুন বোগোটায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ঘোষণা করা ডানপন্থী সিনেটর মিগেল উরিবে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর অবস্থায় আছেন। কয়েক দিন পর কালি শহর ও আশেপাশে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি অন্তত সাতজনকে হত্যা করে।

কাতাতুম্বো অঞ্চলের এক স্থানীয় নেতা বলেন, “আমরা পেত্রোকে প্রেসিডেন্ট বানাতে অনেক ত্যাগ করেছি।” এখন তিনি ভাবছেন, তার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। জানুয়ারিতে সংঘাতের কারণে তাকে নিজের বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল।

পেত্রোর নেতৃত্বের সংকট

এই সব সমস্যার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট পেত্রোর অস্থির আচরণ পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। তিনি প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ বার্তা দেন, সমালোচকদের দাস-মালিক বা নাৎসি বলে আখ্যা দেন। ক্ষমতায় আসার পর তিনি চারবার মন্ত্রিসভা রদবদল করেছেন এবং ৫০ জনের বেশি মন্ত্রী নিয়োগ করেছেন।

এপ্রিল মাসে তার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে পেত্রো মাদক নেন (পেত্রো এই অভিযোগ অস্বীকার করে একে অপপ্রচার বলেন)।

সংবিধান পরিবর্তনের বিপজ্জনক পরিকল্পনা

এই সব ব্যর্থতার পর প্রেসিডেন্ট পেত্রো একটি ঝুঁকিপূর্ণ পরিকল্পনা নিয়েছেন। ২০ জুন তিনি ঘোষণা দেন, আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে সংবিধান সভা ডাকতে গণভোট রাখা হবে।

১৯৯১ সালের সংবিধান বহু সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করে। তবে পুরো সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য সভা ডাকতে চাওয়া একটি মৌলিক পরিবর্তন। তার পরিকল্পনা স্পষ্ট নয়, যা উদ্বেগের কারণ।

সমালোচকরা বলছেন, কংগ্রেসে যা পাস করানো যায়নি, পেত্রো সেটি সংবিধানে স্থায়ীভাবে বসিয়ে দিতে চাইছেন। তার জনপ্রিয়তা প্রায় এক-তৃতীয়াংশের মতো, যা কলম্বিয়ার জন্য অস্বাভাবিক নয়। তবে তিনি পুনর্নির্বাচনের যোগ্য নন এবং কোনো উত্তরসূরি নেই। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণই তার বামপন্থী স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখবে।