১০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

দেশে আরো ৫০ লাখ মানুষ দরিদ্র সীমার নীচে চলে যেতে পারে

এক সময়ের সাফল্য আজ ঝুঁকিতে

বাংলাদেশ এক সময় দারিদ্র্য হ্রাসের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। দুই দশকের বেশি সময় গড়ে ৬–৭ শতাংশ হারে জিডিপি বেড়েছে। কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচ থেকে বেরিয়ে এসেছে।

কিন্তু এখন সেই গল্প পাল্টে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB) এবং জাতিসংঘের এশিয়া-প্যাসিফিক কমিশন (UNESCAP) বলছে, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নেমে যেতে পারে মাত্র ৩.৩ শতাংশে।

এটি গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করছেন—এই ধীরগতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মুদ্রাস্ফীতি মিলে দেশের দারিদ্র্য হারের ওপর বড় ধাক্কা আনতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের সতর্কবার্তা

বিশ্বব্যাংক এক স্পষ্ট বার্তায় বলেছে—এই ধীর প্রবৃদ্ধি দরিদ্র এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর উপর অতিমাত্রায় প্রভাব ফেলবে। তারা হিসাব করে দেখিয়েছে, প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়তে পারে।

এখানে চরম দারিদ্র্য মানে দিনে মাত্র দুই ডলারের মতো (প্রায় ২১৫ টাকা) আয়ের নিচে চলে যাওয়া।

বিশ্বব্যাংকের ভাষায়, “ধীর প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি আঘাত করবে গরিব ও দুর্বল জনগোষ্ঠীকে।”

আইএমএফের দৃষ্টি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে—বাংলাদেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বৈদেশিক ঋণসংকট এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি দেশের প্রবৃদ্ধিকে টেনে ধরবে এবং দারিদ্র্য বাড়াবে।

তাদের মতে, রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার ঘাটতি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে মন্থর করে ফেলছে। এর ফলে নতুন চাকরির সুযোগ কমছে, ছোট ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং জনগণের আয় কমছে।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ

ADB-এর রিপোর্ট বলছে—বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের ভর্তুকি কমানো এবং বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা মিলিয়ে দারিদ্র্য হ্রাসের সাফল্য হুমকির মুখে পড়েছে।

ADB সতর্ক করেছে—যদি সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম যথেষ্ট বিস্তৃত না হয়, তবে লাখ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যের ফাঁদে পড়বে।

UNESCAP-এর দৃষ্টি

জাতিসংঘের এশিয়া-প্যাসিফিক কমিশনের রিপোর্ট বলছে—দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে ধীর হতে পারে।তারা আরও বলছে, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, শ্রমবাজারের দুর্বলতা এবং জলবায়ু বিপর্যয়—যেমন বন্যা, নদীভাঙন, লবণাক্ততা—সব মিলিয়ে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন আরও দুর্বিষহ করে তুলবে।

কেন দারিদ্র্য বাড়বে?

প্রথমত, প্রবৃদ্ধি কমে গেলে নতুন কাজের সুযোগ কমে যায়। শিল্প, সেবা ও নির্মাণ খাতে বিনিয়োগ কমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা, যারা দিন আনে দিন খায়।

দ্বিতীয়ত, মুদ্রাস্ফীতি দরিদ্র মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। খাদ্য ও নিত্যপণ্যের দাম প্রায় ৯–১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। IMF হিসাব করেছে, এ কারণে গরিব মানুষের প্রকৃত আয় দুই থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

তৃতীয়ত, রাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করছে। নতুন কারখানা বা প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা পিছিয়ে যাচ্ছে। ফলে নতুন চাকরি নেই, প্রবৃদ্ধি নেই।

চতুর্থত, বৈষম্য বাড়ছে। বিশ্বব্যাংক ও IMF দুই সংস্থাই বলছে—আয় বৈষম্যের সূচক আরও বাড়বে। অর্থাৎ ধনীরা আরও ধনী হবে, গরিবরা আরও গরিব হবে।
পঞ্চমত, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। বন্যা, খরা, লবণাক্ততা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ফসলভিত্তিক আয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

কতজন মানুষ নতুন করে দরিদ্র হবে?

বিশ্বব্যাংকের হিসাব বলছে—প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে চলে যাবে।

চরম দারিদ্র্য মানে দিনে দুই ডলারের (প্রায় ২১৫ টাকা) কম আয়।

একই সঙ্গে, আরও ৪৫–৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের ঝুঁকির মধ্যে চলে যাবে বা মোট দারিদ্র্যের সীমার নিচে নেমে আসবে।

ADB-এর ভাষায়—“বাংলাদেশের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী না হলে, এই লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের ফাঁদ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।”

অর্থনীতিবিদদের মতামত

ঢাকার অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রাইহান বলছেন—

“বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এখন আর দরিদ্রবান্ধব নয়। বৈষম্য ও মুদ্রাস্ফীতি দারিদ্র্য নিরসনের পথে বড় বাধা।”

ADB-এর ঢাকা অফিস জানিয়েছে—
“যদি এখনই বড় পরিসরে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাসের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না।”

এখন কী করা দরকার?

রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দৃঢ় আর্থিক নীতি নেওয়া। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তা বৃদ্ধি করা। নগদ সহায়তা, খাদ্য সহায়তা, কাজের প্রকল্প—সব ধরনের সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানো। রপ্তানি বৈচিত্র্য এবং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। জলবায়ু সহনক্ষম অবকাঠামো ও কৃষি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো।

বাংলাদেশ এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৩.৩ শতাংশে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, বিনিয়োগে স্থবিরতা সব মিলিয়ে অর্থনীতি চাপে।

বিশ্বব্যাংক, IMF, ADB এবং UNESCAP সবাই বলছে—যদি এখনই শক্ত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যে পড়বে এবং প্রায় ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে পড়বে।

এই ঝুঁকি রোধে এখন দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগবান্ধব নীতি এবং দরিদ্রবান্ধব সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার দ্রুত সম্প্রসারণ।

দেশে আরো ৫০ লাখ মানুষ দরিদ্র সীমার নীচে চলে যেতে পারে

০৪:২২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

এক সময়ের সাফল্য আজ ঝুঁকিতে

বাংলাদেশ এক সময় দারিদ্র্য হ্রাসের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। দুই দশকের বেশি সময় গড়ে ৬–৭ শতাংশ হারে জিডিপি বেড়েছে। কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচ থেকে বেরিয়ে এসেছে।

কিন্তু এখন সেই গল্প পাল্টে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB) এবং জাতিসংঘের এশিয়া-প্যাসিফিক কমিশন (UNESCAP) বলছে, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নেমে যেতে পারে মাত্র ৩.৩ শতাংশে।

এটি গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করছেন—এই ধীরগতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মুদ্রাস্ফীতি মিলে দেশের দারিদ্র্য হারের ওপর বড় ধাক্কা আনতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের সতর্কবার্তা

বিশ্বব্যাংক এক স্পষ্ট বার্তায় বলেছে—এই ধীর প্রবৃদ্ধি দরিদ্র এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর উপর অতিমাত্রায় প্রভাব ফেলবে। তারা হিসাব করে দেখিয়েছে, প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়তে পারে।

এখানে চরম দারিদ্র্য মানে দিনে মাত্র দুই ডলারের মতো (প্রায় ২১৫ টাকা) আয়ের নিচে চলে যাওয়া।

বিশ্বব্যাংকের ভাষায়, “ধীর প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি আঘাত করবে গরিব ও দুর্বল জনগোষ্ঠীকে।”

আইএমএফের দৃষ্টি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে—বাংলাদেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বৈদেশিক ঋণসংকট এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি দেশের প্রবৃদ্ধিকে টেনে ধরবে এবং দারিদ্র্য বাড়াবে।

তাদের মতে, রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার ঘাটতি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে মন্থর করে ফেলছে। এর ফলে নতুন চাকরির সুযোগ কমছে, ছোট ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং জনগণের আয় কমছে।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ

ADB-এর রিপোর্ট বলছে—বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের ভর্তুকি কমানো এবং বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা মিলিয়ে দারিদ্র্য হ্রাসের সাফল্য হুমকির মুখে পড়েছে।

ADB সতর্ক করেছে—যদি সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম যথেষ্ট বিস্তৃত না হয়, তবে লাখ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যের ফাঁদে পড়বে।

UNESCAP-এর দৃষ্টি

জাতিসংঘের এশিয়া-প্যাসিফিক কমিশনের রিপোর্ট বলছে—দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে ধীর হতে পারে।তারা আরও বলছে, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, শ্রমবাজারের দুর্বলতা এবং জলবায়ু বিপর্যয়—যেমন বন্যা, নদীভাঙন, লবণাক্ততা—সব মিলিয়ে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন আরও দুর্বিষহ করে তুলবে।

কেন দারিদ্র্য বাড়বে?

প্রথমত, প্রবৃদ্ধি কমে গেলে নতুন কাজের সুযোগ কমে যায়। শিল্প, সেবা ও নির্মাণ খাতে বিনিয়োগ কমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা, যারা দিন আনে দিন খায়।

দ্বিতীয়ত, মুদ্রাস্ফীতি দরিদ্র মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। খাদ্য ও নিত্যপণ্যের দাম প্রায় ৯–১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। IMF হিসাব করেছে, এ কারণে গরিব মানুষের প্রকৃত আয় দুই থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

তৃতীয়ত, রাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করছে। নতুন কারখানা বা প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা পিছিয়ে যাচ্ছে। ফলে নতুন চাকরি নেই, প্রবৃদ্ধি নেই।

চতুর্থত, বৈষম্য বাড়ছে। বিশ্বব্যাংক ও IMF দুই সংস্থাই বলছে—আয় বৈষম্যের সূচক আরও বাড়বে। অর্থাৎ ধনীরা আরও ধনী হবে, গরিবরা আরও গরিব হবে।
পঞ্চমত, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। বন্যা, খরা, লবণাক্ততা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ফসলভিত্তিক আয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

কতজন মানুষ নতুন করে দরিদ্র হবে?

বিশ্বব্যাংকের হিসাব বলছে—প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে চলে যাবে।

চরম দারিদ্র্য মানে দিনে দুই ডলারের (প্রায় ২১৫ টাকা) কম আয়।

একই সঙ্গে, আরও ৪৫–৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের ঝুঁকির মধ্যে চলে যাবে বা মোট দারিদ্র্যের সীমার নিচে নেমে আসবে।

ADB-এর ভাষায়—“বাংলাদেশের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী না হলে, এই লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের ফাঁদ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।”

অর্থনীতিবিদদের মতামত

ঢাকার অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রাইহান বলছেন—

“বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এখন আর দরিদ্রবান্ধব নয়। বৈষম্য ও মুদ্রাস্ফীতি দারিদ্র্য নিরসনের পথে বড় বাধা।”

ADB-এর ঢাকা অফিস জানিয়েছে—
“যদি এখনই বড় পরিসরে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাসের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না।”

এখন কী করা দরকার?

রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দৃঢ় আর্থিক নীতি নেওয়া। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তা বৃদ্ধি করা। নগদ সহায়তা, খাদ্য সহায়তা, কাজের প্রকল্প—সব ধরনের সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানো। রপ্তানি বৈচিত্র্য এবং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। জলবায়ু সহনক্ষম অবকাঠামো ও কৃষি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো।

বাংলাদেশ এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৩.৩ শতাংশে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, বিনিয়োগে স্থবিরতা সব মিলিয়ে অর্থনীতি চাপে।

বিশ্বব্যাংক, IMF, ADB এবং UNESCAP সবাই বলছে—যদি এখনই শক্ত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যে পড়বে এবং প্রায় ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে পড়বে।

এই ঝুঁকি রোধে এখন দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগবান্ধব নীতি এবং দরিদ্রবান্ধব সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার দ্রুত সম্প্রসারণ।