১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়ার মধ্যেও কেন চীনের রেয়ার আর্থ আধিপত্য অটুট জৈবজ্বালানি বিধিমালা ও ভূরাজনৈতিক ঝাঁকুনিতে পাম ওয়েল বাজার কৃষকের স্ত্রীর পরিচয়ের ঊর্ধ্বে: লিঙ্গভিত্তিক পরিসর উন্মোচন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষিতে ব্যর্থতার অভিযোগ, আলোচকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪২) ট্রাম্পের শুল্ক চিঠি এশিয়াকে ১ আগস্টের মধ্যে চুক্তি করতে চাপ দিচ্ছে ট্রাম্পের নতুন শুল্কে এশীয় মুদ্রার অবনতি, শেয়ারবাজারে মৃদু পরিবর্তন সেনাপ্রধানের সাথে তুরস্কের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর মান্যবর সেক্রেটারি’র সৌজন্য সাক্ষাৎ হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ সংবিধানের কয়েকটি ধারা অবৈধ ঘোষণা ফেনী নদী: দুই শতাব্দীর ইতিহাস, সভ্যতা ও সংস্কৃতির সাক্ষ্য

ট্রাম্পের নতুন শুল্কে এশীয় মুদ্রার অবনতি, শেয়ারবাজারে মৃদু পরিবর্তন

যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রধান মিত্র দেশগুলোকে নতুন শুল্কের চিঠি পাঠানোর পর এশীয় মুদ্রাগুলো মঙ্গলবার ডলারের তুলনায় দৃশ্যমানভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।

মুদ্রার অবস্থা
– ইয়েন ডলারের বিপরীতে ১৪৬-এর নিচের এলাকায় নেমে এসেছে, যা নিউ ইয়র্কে আগের সেশনে দরপতনের প্রায় ১% অতিরিক্ত ক্ষতি বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
– ইউরোর বিপরীতে ইয়েন প্রত্যাহার করে বছরে নিম্নতম পর্যায়ে এর অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৭১.৪০, প্রায় ০.৫% কমেছে।
– দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ন ডলারের তুলনায় প্রাথমিকভাবে প্রায় ১% পিছিয়ে গেলেও পরবর্তীতে কিছুটা স্থিতি ফিরে পায়।

শেয়ারবাজারের প্রতিক্রিয়া
– এশিয়ার শেয়ারবাজার মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল।
• জাপানের নিখেকি সূচক নিখেই স্টক এভারেজ ০.৩% বাড়ে, ৩৯,৬৮৮.৮১ পয়েন্টে বন্ধ হয়।
• টোকিওর বিস্তৃত স্টক প্রাইস ইনডেক্স ০.২% উর্ধ্বগতি দেখায়।
• তবে ভোক্তা খাত—খাদ্য, পানীয় ও খুচরা—এবং রিয়েল এস্টেট বিকাশকারীদের শেয়ার দাম কমেছে।
• সিঙ্গাপুর শেয়ার ০.৫% বৃদ্ধি পেল, মালয়েশিয়ান শেয়ার ০.৬% খসেছে।
• দক্ষিণ কোরিয়ার কসপিআই অঞ্চলের মধ্যে সর্বাধিক ওঠানামা দেখিয়ে ১.৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা
অস্ট্রেলিয়ার মার্কেট বিশ্লেষক টনি সাইকামোর মন্তব্য, “মার্কেটের জন্য এটি মূল ভূমিকম্পের পর প্রত্যাশিত আফটারশক ।”
নোমুরা সিকিউরিটিজের অর্থনীতিবিদ সোণাল ভার্মা ও তার দল মনে করেন, “সেমিকন্ডাক্টরসহ নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক পণ্যের ওপর চলমান তদন্ত এশিয়ার—বিশেষ করে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কোরিয়ার—অর্থনীতিতে আরও প্রবল প্রভাব ফেলবে।”
এশিয়া সোসাইটি পুলিশি ইনস্টিটিউটের ডেপুটি ট্রেড মনিব ওয়েন্ডি কাটলার বলেন, “জাপান ও কোরিয়ার মতো বড় অটোমোবাইল খাতভিত্তিক শুল্ক সহ অন্যদের জন্যও তা হিমশীতল সংকেত বহন করবে।”

নতুন শুল্কের বিবরণ
– জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মালয়েশিয়ার ওপর “পারস্পরিক” ভিত্তিতে ২৫% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
• জাপানের জন্য নতুন হার এপ্রিলের প্রস্তাবের তুলনায় ১ শতাংশ পয়েন্ট বেশি।
• দক্ষিণ কোরিয়ার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
– এ ছাড়া মায়ানমার ও লাওসে ৪০%, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় ৩৬%, বাংলাদেশে ৩৫%, ইন্দোনেশিয়ায় ৩২% শুল্ক আরোপিত হয়েছে।
– সব শুল্ক বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৫ সালের ১ আগস্ট (যুক্তরাষ্ট্র সময়)।

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রভাব
– অটোমোবাইল ও অংশশুল্ক বাদে, ইলেকট্রনিক্স ও ফার্মাসিউটিক্যালে ছাড় সত্ত্বেও, জাপান থেকে আমদানি ৫৪% ও কোরিয়া থেকে ৪৬% পণ্য নতুন হারে শুল্কের আওতায় পড়বে (ক্যাপিটাল ইকোনমিক্স অনুসারে)।
– জেপি মরগ্যান সিকিউরিটিজের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুল্কের হার ১০% ধারণার চাইতে বেশি থাকায় জাপানের কর্পোরেট আয় সংকুচিত হবে।
– মরগ্যান স্ট্যানলি এমইউএফজি সিকিউরিটিজের প্রধান জাপান অর্থনীতিবিদ তাকেশি ইয়ামাগুচি প্রত্যাশা করেছেন, “যদি হার দীর্ঘস্থায়ী হয়, রপ্তানি ও পুঁজি বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব এড়ানো যাবে না। তবে স্বল্পমেয়াদে অভ্যন্তরীণ চাহিদা এখনও সহনশীল থাকবে।”

ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা
দাইওয়া সিকিউরিটিজের প্রধান মার্কেট অর্থনীতিবিদ তো সুভিরো মনে করছেন, “জাপানের ডিসিসিও সভার আগে কোনও সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে ব্যাংক অফ জাপান যা অর্থনীতিতে সুদের হার বাড়ানোর চক্রে রয়েছে, তাদের জন্য এটি অপ্রত্যাশিত প্রতিবন্ধকতা।”

বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়ার মধ্যেও কেন চীনের রেয়ার আর্থ আধিপত্য অটুট

ট্রাম্পের নতুন শুল্কে এশীয় মুদ্রার অবনতি, শেয়ারবাজারে মৃদু পরিবর্তন

০৮:০০:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রধান মিত্র দেশগুলোকে নতুন শুল্কের চিঠি পাঠানোর পর এশীয় মুদ্রাগুলো মঙ্গলবার ডলারের তুলনায় দৃশ্যমানভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।

মুদ্রার অবস্থা
– ইয়েন ডলারের বিপরীতে ১৪৬-এর নিচের এলাকায় নেমে এসেছে, যা নিউ ইয়র্কে আগের সেশনে দরপতনের প্রায় ১% অতিরিক্ত ক্ষতি বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
– ইউরোর বিপরীতে ইয়েন প্রত্যাহার করে বছরে নিম্নতম পর্যায়ে এর অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৭১.৪০, প্রায় ০.৫% কমেছে।
– দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ন ডলারের তুলনায় প্রাথমিকভাবে প্রায় ১% পিছিয়ে গেলেও পরবর্তীতে কিছুটা স্থিতি ফিরে পায়।

শেয়ারবাজারের প্রতিক্রিয়া
– এশিয়ার শেয়ারবাজার মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল।
• জাপানের নিখেকি সূচক নিখেই স্টক এভারেজ ০.৩% বাড়ে, ৩৯,৬৮৮.৮১ পয়েন্টে বন্ধ হয়।
• টোকিওর বিস্তৃত স্টক প্রাইস ইনডেক্স ০.২% উর্ধ্বগতি দেখায়।
• তবে ভোক্তা খাত—খাদ্য, পানীয় ও খুচরা—এবং রিয়েল এস্টেট বিকাশকারীদের শেয়ার দাম কমেছে।
• সিঙ্গাপুর শেয়ার ০.৫% বৃদ্ধি পেল, মালয়েশিয়ান শেয়ার ০.৬% খসেছে।
• দক্ষিণ কোরিয়ার কসপিআই অঞ্চলের মধ্যে সর্বাধিক ওঠানামা দেখিয়ে ১.৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা
অস্ট্রেলিয়ার মার্কেট বিশ্লেষক টনি সাইকামোর মন্তব্য, “মার্কেটের জন্য এটি মূল ভূমিকম্পের পর প্রত্যাশিত আফটারশক ।”
নোমুরা সিকিউরিটিজের অর্থনীতিবিদ সোণাল ভার্মা ও তার দল মনে করেন, “সেমিকন্ডাক্টরসহ নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক পণ্যের ওপর চলমান তদন্ত এশিয়ার—বিশেষ করে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কোরিয়ার—অর্থনীতিতে আরও প্রবল প্রভাব ফেলবে।”
এশিয়া সোসাইটি পুলিশি ইনস্টিটিউটের ডেপুটি ট্রেড মনিব ওয়েন্ডি কাটলার বলেন, “জাপান ও কোরিয়ার মতো বড় অটোমোবাইল খাতভিত্তিক শুল্ক সহ অন্যদের জন্যও তা হিমশীতল সংকেত বহন করবে।”

নতুন শুল্কের বিবরণ
– জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মালয়েশিয়ার ওপর “পারস্পরিক” ভিত্তিতে ২৫% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
• জাপানের জন্য নতুন হার এপ্রিলের প্রস্তাবের তুলনায় ১ শতাংশ পয়েন্ট বেশি।
• দক্ষিণ কোরিয়ার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
– এ ছাড়া মায়ানমার ও লাওসে ৪০%, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় ৩৬%, বাংলাদেশে ৩৫%, ইন্দোনেশিয়ায় ৩২% শুল্ক আরোপিত হয়েছে।
– সব শুল্ক বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৫ সালের ১ আগস্ট (যুক্তরাষ্ট্র সময়)।

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রভাব
– অটোমোবাইল ও অংশশুল্ক বাদে, ইলেকট্রনিক্স ও ফার্মাসিউটিক্যালে ছাড় সত্ত্বেও, জাপান থেকে আমদানি ৫৪% ও কোরিয়া থেকে ৪৬% পণ্য নতুন হারে শুল্কের আওতায় পড়বে (ক্যাপিটাল ইকোনমিক্স অনুসারে)।
– জেপি মরগ্যান সিকিউরিটিজের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুল্কের হার ১০% ধারণার চাইতে বেশি থাকায় জাপানের কর্পোরেট আয় সংকুচিত হবে।
– মরগ্যান স্ট্যানলি এমইউএফজি সিকিউরিটিজের প্রধান জাপান অর্থনীতিবিদ তাকেশি ইয়ামাগুচি প্রত্যাশা করেছেন, “যদি হার দীর্ঘস্থায়ী হয়, রপ্তানি ও পুঁজি বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব এড়ানো যাবে না। তবে স্বল্পমেয়াদে অভ্যন্তরীণ চাহিদা এখনও সহনশীল থাকবে।”

ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা
দাইওয়া সিকিউরিটিজের প্রধান মার্কেট অর্থনীতিবিদ তো সুভিরো মনে করছেন, “জাপানের ডিসিসিও সভার আগে কোনও সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে ব্যাংক অফ জাপান যা অর্থনীতিতে সুদের হার বাড়ানোর চক্রে রয়েছে, তাদের জন্য এটি অপ্রত্যাশিত প্রতিবন্ধকতা।”