০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সরকারের স্বাগত, পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা টাকা-ডলার বিনিময় হারে বাড়ছে ফাঁক, বৈদেশিক প্রতিযোগিতায় ঝুঁকির সতর্কতা

পাকিস্তান ভিত্তিক টিআরএফ-কে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করায় যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে নয়াদিল্লির তাৎক্ষণিক প্রশংসা

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, টিআরএফ-কে (ট্রান্সলিটারেটেড) বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন (এফটিও) ও বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সত্তা (এসডিজিটি) ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সমন্বিত সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার “শক্তিশালী স্বীকৃতি”। তিনি মার্কো রুবিও ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ভূয়সী প্রশংসা করে লেখেন, “সন্ত্রাসবাদে শূন্য সহিষ্ণুতা।”

টিআরএফ ও পাহালগাম হামলার প্রেক্ষাপট

পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যবার (এলইটি) ছদ্ম সংগঠন টিআরএফ গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে পর্যটক-ভর্তি বাসে হামলার দায় স্বীকার করে; এতে ২৬ জন বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারান—২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর ভারতের বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা এটি।

মার্কো রুবিওর কঠোর বার্তা

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (পদাধিকারভিত্তিক) মার্কো রুবিও টিআরএফ-কে এলইটির “প্রক্সি ও সামনে থাকা মুখ” আখ্যা দিয়ে জানান, নতুন তকমা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার সংকল্প এবং পাহালগাম হামলার বিচারের পথ সুগম করবে।

What is Operation Sindoor? A Summary of India's Strike on Terror Camps in  Pakistan

অপারেশন সিন্দুর’: সীমান্ত-পারের জবাব

পাহালগাম হত্যাযজ্ঞের পর ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করে; পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা নয়টি সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে আঘাত হানে। ভারতীয় বাহিনীর হিসাবে, অভিযানে শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়। পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও ভারত সেগুলো প্রতিহত করে এবং ১০ মে ইসলামাবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়।

বৈশ্বিক কূটনৈতিক প্রচার

সীমান্ত অভিযানের পাশাপাশি, নয়াদিল্লি সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে ৩৩টি বিশ্বরাজধানীতে পাকিস্তানের সন্ত্রাস সমর্থনের অভিযোগ তুলে ধরে; ওয়াশিংটন ডিসিতেও প্রচার চালানো হয়। ভারতীয় দূতাবাস টিআরএফ-কে তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্তকে “যুক্তরাষ্ট্র-ভারত দৃঢ় সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার আরেকটি নিদর্শন” বলে অভিহিত করে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে

পাকিস্তান ভিত্তিক টিআরএফ-কে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করায় যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত

১০:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে নয়াদিল্লির তাৎক্ষণিক প্রশংসা

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, টিআরএফ-কে (ট্রান্সলিটারেটেড) বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন (এফটিও) ও বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সত্তা (এসডিজিটি) ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সমন্বিত সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার “শক্তিশালী স্বীকৃতি”। তিনি মার্কো রুবিও ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ভূয়সী প্রশংসা করে লেখেন, “সন্ত্রাসবাদে শূন্য সহিষ্ণুতা।”

টিআরএফ ও পাহালগাম হামলার প্রেক্ষাপট

পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যবার (এলইটি) ছদ্ম সংগঠন টিআরএফ গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে পর্যটক-ভর্তি বাসে হামলার দায় স্বীকার করে; এতে ২৬ জন বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারান—২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর ভারতের বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা এটি।

মার্কো রুবিওর কঠোর বার্তা

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (পদাধিকারভিত্তিক) মার্কো রুবিও টিআরএফ-কে এলইটির “প্রক্সি ও সামনে থাকা মুখ” আখ্যা দিয়ে জানান, নতুন তকমা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার সংকল্প এবং পাহালগাম হামলার বিচারের পথ সুগম করবে।

What is Operation Sindoor? A Summary of India's Strike on Terror Camps in  Pakistan

অপারেশন সিন্দুর’: সীমান্ত-পারের জবাব

পাহালগাম হত্যাযজ্ঞের পর ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করে; পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা নয়টি সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে আঘাত হানে। ভারতীয় বাহিনীর হিসাবে, অভিযানে শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়। পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও ভারত সেগুলো প্রতিহত করে এবং ১০ মে ইসলামাবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়।

বৈশ্বিক কূটনৈতিক প্রচার

সীমান্ত অভিযানের পাশাপাশি, নয়াদিল্লি সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে ৩৩টি বিশ্বরাজধানীতে পাকিস্তানের সন্ত্রাস সমর্থনের অভিযোগ তুলে ধরে; ওয়াশিংটন ডিসিতেও প্রচার চালানো হয়। ভারতীয় দূতাবাস টিআরএফ-কে তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্তকে “যুক্তরাষ্ট্র-ভারত দৃঢ় সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার আরেকটি নিদর্শন” বলে অভিহিত করে।