০৭:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
পুনর্ভবা নদী: ইতিহাস, সভ্যতা ও দুই বাংলার জলস্রোতের আত্মকথা মঙ্গলবার বাংলাদেশে জাতীয় শোক ঘোষণা উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলটসহ নিহত ১৯, আহত ১৬৪: আইএসপিআর বক্স অফিস মাতাচ্ছে ‘সুপারম্যান’ ও ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এলাকায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত চীনের ধনীদের জন্য বিলাসবহুল ভ্রমণের নতুন সংজ্ঞা দিচ্ছে শাংরি-লার নতুন হোটেল ব্র্যান্ড উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোবিজ তারকাদের শোক মানুষ বনাম এআই: কঠিন প্রতিযোগিতায় মানুষের জয়, তবে ব্যবধান খুব সামান্য নিহতের সংখ্যা ১৯ : ফায়ার সার্ভিস সাইপ্রাস নিয়ে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে এরদোয়ানের পুনরায় সমর্থন

পাকিস্তান ভিত্তিক টিআরএফ-কে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করায় যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে নয়াদিল্লির তাৎক্ষণিক প্রশংসা

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, টিআরএফ-কে (ট্রান্সলিটারেটেড) বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন (এফটিও) ও বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সত্তা (এসডিজিটি) ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সমন্বিত সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার “শক্তিশালী স্বীকৃতি”। তিনি মার্কো রুবিও ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ভূয়সী প্রশংসা করে লেখেন, “সন্ত্রাসবাদে শূন্য সহিষ্ণুতা।”

টিআরএফ ও পাহালগাম হামলার প্রেক্ষাপট

পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যবার (এলইটি) ছদ্ম সংগঠন টিআরএফ গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে পর্যটক-ভর্তি বাসে হামলার দায় স্বীকার করে; এতে ২৬ জন বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারান—২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর ভারতের বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা এটি।

মার্কো রুবিওর কঠোর বার্তা

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (পদাধিকারভিত্তিক) মার্কো রুবিও টিআরএফ-কে এলইটির “প্রক্সি ও সামনে থাকা মুখ” আখ্যা দিয়ে জানান, নতুন তকমা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার সংকল্প এবং পাহালগাম হামলার বিচারের পথ সুগম করবে।

What is Operation Sindoor? A Summary of India's Strike on Terror Camps in  Pakistan

অপারেশন সিন্দুর’: সীমান্ত-পারের জবাব

পাহালগাম হত্যাযজ্ঞের পর ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করে; পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা নয়টি সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে আঘাত হানে। ভারতীয় বাহিনীর হিসাবে, অভিযানে শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়। পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও ভারত সেগুলো প্রতিহত করে এবং ১০ মে ইসলামাবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়।

বৈশ্বিক কূটনৈতিক প্রচার

সীমান্ত অভিযানের পাশাপাশি, নয়াদিল্লি সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে ৩৩টি বিশ্বরাজধানীতে পাকিস্তানের সন্ত্রাস সমর্থনের অভিযোগ তুলে ধরে; ওয়াশিংটন ডিসিতেও প্রচার চালানো হয়। ভারতীয় দূতাবাস টিআরএফ-কে তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্তকে “যুক্তরাষ্ট্র-ভারত দৃঢ় সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার আরেকটি নিদর্শন” বলে অভিহিত করে।

পুনর্ভবা নদী: ইতিহাস, সভ্যতা ও দুই বাংলার জলস্রোতের আত্মকথা

পাকিস্তান ভিত্তিক টিআরএফ-কে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করায় যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত

১০:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে নয়াদিল্লির তাৎক্ষণিক প্রশংসা

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, টিআরএফ-কে (ট্রান্সলিটারেটেড) বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন (এফটিও) ও বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সত্তা (এসডিজিটি) ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সমন্বিত সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার “শক্তিশালী স্বীকৃতি”। তিনি মার্কো রুবিও ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ভূয়সী প্রশংসা করে লেখেন, “সন্ত্রাসবাদে শূন্য সহিষ্ণুতা।”

টিআরএফ ও পাহালগাম হামলার প্রেক্ষাপট

পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যবার (এলইটি) ছদ্ম সংগঠন টিআরএফ গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে পর্যটক-ভর্তি বাসে হামলার দায় স্বীকার করে; এতে ২৬ জন বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারান—২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর ভারতের বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা এটি।

মার্কো রুবিওর কঠোর বার্তা

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (পদাধিকারভিত্তিক) মার্কো রুবিও টিআরএফ-কে এলইটির “প্রক্সি ও সামনে থাকা মুখ” আখ্যা দিয়ে জানান, নতুন তকমা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার সংকল্প এবং পাহালগাম হামলার বিচারের পথ সুগম করবে।

What is Operation Sindoor? A Summary of India's Strike on Terror Camps in  Pakistan

অপারেশন সিন্দুর’: সীমান্ত-পারের জবাব

পাহালগাম হত্যাযজ্ঞের পর ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করে; পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা নয়টি সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে আঘাত হানে। ভারতীয় বাহিনীর হিসাবে, অভিযানে শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়। পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও ভারত সেগুলো প্রতিহত করে এবং ১০ মে ইসলামাবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়।

বৈশ্বিক কূটনৈতিক প্রচার

সীমান্ত অভিযানের পাশাপাশি, নয়াদিল্লি সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে ৩৩টি বিশ্বরাজধানীতে পাকিস্তানের সন্ত্রাস সমর্থনের অভিযোগ তুলে ধরে; ওয়াশিংটন ডিসিতেও প্রচার চালানো হয়। ভারতীয় দূতাবাস টিআরএফ-কে তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্তকে “যুক্তরাষ্ট্র-ভারত দৃঢ় সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার আরেকটি নিদর্শন” বলে অভিহিত করে।