বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে চলতি বছর অন্যতম বড় সাফল্য এনে দিচ্ছে সুপারম্যান ও জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের নতুন সুপারম্যান সিনেমাটি মুক্তির দুই সপ্তাহেই বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৪০৬ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ২৩৫ মিলিয়ন এসেছে উত্তর আমেরিকা থেকে এবং ১৭১.৮ মিলিয়ন এসেছে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে।
যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রত্যাশার চেয়ে সাড়া কিছুটা কম, তবুও সুপারম্যান সিনেমাটি ডিসি স্টুডিওর নতুন সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সূচনার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগামী ২০২৬ সালে এই ইউনিভার্সে আসছে সুপারগার্ল ও ক্লেফেস, এবং প্রস্তুত হচ্ছে একটি নতুন ওয়ান্ডার উইম্যান চলচ্চিত্রও। তবে সামনে রয়েছে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা, কারণ আগামী সপ্তাহে মুক্তি পাচ্ছে ডিজনি ও মার্ভেলের দ্য ফ্যান্টাস্টিক ফোর।
‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে
ইউনিভার্সালের জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ সিনেমাটি তৃতীয় সপ্তাহে ৮২টি দেশে ৪০.২ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এখন পর্যন্ত এর আন্তর্জাতিক আয় দাঁড়িয়েছে ৩৭১ মিলিয়ন ডলার এবং মোট বিশ্বব্যাপী আয় পৌঁছেছে ৬৪৭ মিলিয়ন ডলারে। স্কারলেট জোহানসন, জোনাথন বেইলি এবং মাহারশালা আলি অভিনীত এই ডাইনোসর কেন্দ্রিক ছবিটি এ বছর মাত্র তিনটি হলিউড চলচ্চিত্রের একটি, যেটি ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। অন্য দুটি হচ্ছে লিলো অ্যান্ড স্টিচ (১.০০৮ বিলিয়ন ডলার) এবং আ মাইনক্রাফট মুভি (৯৫৫ মিলিয়ন ডলার)।
আগের জুরাসিক সিক্যুয়েলগুলোর মতো এক বিলিয়ন ডলার আয় এখনো না হলেও, নতুন এই চলচ্চিত্রটি ইতোমধ্যেই ২০২৫ সালের শীর্ষ আয়ের সিনেমার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
নতুন মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর ফল মিশ্র
প্যারামাউন্টের Smurfs মিউজিক্যাল বিশ্বব্যাপী মাত্র ৩৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। রিহানার কণ্ঠে স্মারফেট চরিত্র এবং জেমস কর্ডেন, নিক অফারম্যান, স্যান্ড্রা ওহ, জন গুডম্যানসহ বিশাল কাস্ট থাকা সত্ত্বেও, ৫৮ মিলিয়ন ডলারের বাজেটের ছবিটি নতুন কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি শুরু করতে পারবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।
সনি পিকচার্সের I Know What You Did Last Summer সিক্যুয়েল মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ২৪.৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। ১৯৯৮ সালের মূল ছবির তারকা ফ্রেডি প্রিন্স জুনিয়র ও জেনিফার লাভ হিউইটের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের নিয়ে তৈরি ছবিটি, ১৮ মিলিয়ন ডলারের বাজেটে নির্মিত হওয়ায় লাভের সম্ভাবনা থাকলেও, দর্শকদের মাঝে নস্টালজিয়া খুব একটা সাড়া ফেলেনি।
এদিকে অ্যাপলের F1: The Movie বিশ্বব্যাপী আয় করে ফেলেছে ৪৬০.৮ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজার থেকেই এসেছে ৩০৭.২ মিলিয়ন ডলার—যা অ্যাপলের আগের সব সিনেমার বিশ্বব্যাপী আয়ের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ব্র্যাড পিট অভিনীত এই ফর্মুলা ওয়ান ভিত্তিক ছবিটি প্রাপ্তবয়স্ক দর্শকদের লক্ষ্য করে তৈরি হওয়া একটি মৌলিক চলচ্চিত্র হিসেবে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে।