০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

মানুষ বনাম এআই: কঠিন প্রতিযোগিতায় মানুষের জয়, তবে ব্যবধান খুব সামান্য

টোকিওতে অনুষ্ঠিত অ্যাটকোডার ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালে ১০ ঘণ্টার কঠিন কোডিং প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখল করেছেন পোল্যান্ডের প্রোগ্রামার প্রজেমিস্লাভ ডেমবিয়াক, যিনি ‘Psyho’ ছদ্মনামে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তবে এই প্রতিযোগিতাকে অনন্য করেছে একটি বিশেষ বিষয়—এখানে এক প্রতিযোগী ছিল একটি উন্নত এআই মডেল, তৈরি করেছে ওপেনএআই।

এই প্রথমবারের মতো একটি নামকরা কোডিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি মডেল। ‘Humans vs AI’ নামের বিশেষ প্রদর্শনী বিভাগে ‘OpenAIAHC’ নামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এআইটি। এতে ডেমবিয়াকসহ বিশ্বের ১২ জন শীর্ষ প্রোগ্রামার অংশ নেন।

মানব মেধা বনাম যান্ত্রিক নিখুঁততা

ডেমবিয়াক শেষ পর্যন্ত মাত্র ৯ শতাংশ ব্যবধানে এআইকে হারিয়ে শীর্ষে ওঠেন। পরে তিনি জানান, পুরোটা সময় ক্লান্তিতে বিধ্বস্ত থাকলেও এআইয়ের উপস্থিতিই তাকে টিকে থাকতে অনুপ্রাণিত করেছে। “এআই না থাকলে আমার স্কোর অনেক কম হতো,” বলেন তিনি।

উল্লেখযোগ্যভাবে, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে এআই মডেলটি অন্যান্য সব মানব প্রতিযোগীদের হারিয়ে দেয়। এই ফলাফল প্রমাণ করে, সৃজনশীল সমস্যার সমাধানে এবং ওপেন-এন্ড কোডিং চ্যালেঞ্জে এআই এখন অনেকটাই মানুষের সমকক্ষ হয়ে উঠেছে।

আগামী প্রতিযোগিতায় কারা জিতবে?

ডেমবিয়াক নিজেই এক সময়ে ওপেনএআইয়ে কাজ করেছেন। এবার মানুষ জিতলেও ভবিষ্যৎ যে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে চলেছে, তা স্পষ্ট। এআই-এর অগ্রগতি যেভাবে এগোচ্ছে, আগামী বছর এটি আবার সুযোগ পেলে হয়তো চূড়ান্ত বিজয়ী হয়ে উঠবে। প্রশ্ন হলো—তখন মানুষ কতটা টিকে থাকতে পারবে?

মানুষ বনাম এআই: কঠিন প্রতিযোগিতায় মানুষের জয়, তবে ব্যবধান খুব সামান্য

০৬:২৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

টোকিওতে অনুষ্ঠিত অ্যাটকোডার ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালে ১০ ঘণ্টার কঠিন কোডিং প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখল করেছেন পোল্যান্ডের প্রোগ্রামার প্রজেমিস্লাভ ডেমবিয়াক, যিনি ‘Psyho’ ছদ্মনামে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তবে এই প্রতিযোগিতাকে অনন্য করেছে একটি বিশেষ বিষয়—এখানে এক প্রতিযোগী ছিল একটি উন্নত এআই মডেল, তৈরি করেছে ওপেনএআই।

এই প্রথমবারের মতো একটি নামকরা কোডিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি মডেল। ‘Humans vs AI’ নামের বিশেষ প্রদর্শনী বিভাগে ‘OpenAIAHC’ নামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এআইটি। এতে ডেমবিয়াকসহ বিশ্বের ১২ জন শীর্ষ প্রোগ্রামার অংশ নেন।

মানব মেধা বনাম যান্ত্রিক নিখুঁততা

ডেমবিয়াক শেষ পর্যন্ত মাত্র ৯ শতাংশ ব্যবধানে এআইকে হারিয়ে শীর্ষে ওঠেন। পরে তিনি জানান, পুরোটা সময় ক্লান্তিতে বিধ্বস্ত থাকলেও এআইয়ের উপস্থিতিই তাকে টিকে থাকতে অনুপ্রাণিত করেছে। “এআই না থাকলে আমার স্কোর অনেক কম হতো,” বলেন তিনি।

উল্লেখযোগ্যভাবে, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে এআই মডেলটি অন্যান্য সব মানব প্রতিযোগীদের হারিয়ে দেয়। এই ফলাফল প্রমাণ করে, সৃজনশীল সমস্যার সমাধানে এবং ওপেন-এন্ড কোডিং চ্যালেঞ্জে এআই এখন অনেকটাই মানুষের সমকক্ষ হয়ে উঠেছে।

আগামী প্রতিযোগিতায় কারা জিতবে?

ডেমবিয়াক নিজেই এক সময়ে ওপেনএআইয়ে কাজ করেছেন। এবার মানুষ জিতলেও ভবিষ্যৎ যে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে চলেছে, তা স্পষ্ট। এআই-এর অগ্রগতি যেভাবে এগোচ্ছে, আগামী বছর এটি আবার সুযোগ পেলে হয়তো চূড়ান্ত বিজয়ী হয়ে উঠবে। প্রশ্ন হলো—তখন মানুষ কতটা টিকে থাকতে পারবে?