০২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

এশিয়ায় বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের জন্য বদলে যাওয়া নিয়ম

এশিয়ার ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপটে দ্রুতই পরিবর্তনের ঝড় বইছে। নতুন শুল্ক-বাধা, রাজনৈতিক পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের ঢেউ একত্রে বিশ্বব্যাপী কোম্পানিগুলোর সামনে এক ভিন্ন বাস্তবতা দাঁড় করিয়েছে—এখন লড়াইয়ের নীতি ও কৌশল পুরোটাই বদলে গেছে।

শুল্ক যুদ্ধ ও অস্থির নীতি-পরিবেশ
— যুক্তরাষ্ট্র‑চীন বাণিজ্য উত্তেজনা শুল্ক বাড়িয়ে সরবরাহ চেইন ভেঙে দিচ্ছে, বিনিয়োগে ধীরতা আনছে, খরচ বাড়াচ্ছে।
— অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের জরিপ বলছে, নীতিগত পূর্বাভাসযোগ্যতা মারা গেছে; সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এখন ঘরোয়া রাজনীতি ও অর্থনীতি মিলিয়ে এক ভাঙাচোরা বাস্তবতা।
— যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর থেকে এশিয়ায় সরকারগুলোও ট্রেড নীতি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে দ্বিধাহীন। স্থানীয় ‘চ্যাম্পিয়ন’ কোম্পানিকে অগ্রাধিকার, ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব, শ্রম অধিকার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শাসনসহ নানামুখী নিয়মে ব্যবসায়িক পরিবেশ পাল্টাচ্ছে।

উদ্ভূত সুযোগের ক্ষীণ খোলা দরজা
— কিছু ক্ষেত্রে বাজারে দীর্ঘদিনের প্রবেশ-প্রাচীর হঠাৎ নরম হয়েছে; এশীয় সরকারগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষিতে নমনীয়তা দেখাতে চায়।
— আবার কোথাও নতুন নিয়মের গতি শ্লথ, কারণ শুল্ক‑ঝড়ে বিধ্বস্ত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি চাপ দিতে তারা ইতস্তত করছে।
— প্রস্তুত সংস্থাগুলোর জন্য এগুলো ক্ষুদ্র ফাঁক হলেও আশার পথ খুলে দেয়।

কেন্দ্রীয় ভূমিকায় সরকারি সম্পর্ক বিভাগ
— নীতিগত ঝুঁকি সামলানোর বাইরেও এখন স্থানীয় নীতিনির্ধারকদের কাছে কোম্পানির অবদান তুলে ধরা, রাজনৈতিক ভাষা শোনা‑বোঝা আর অদৃশ্য নিয়মের ভেতর বিশ্বাস গড়াই প্রধান দায়িত্ব।
— শিল্প‑নীতি, লাইসেন্স ও কর‑রাজনীতির উত্থান, দ্রুতগতির ডিজিটাল বিধিবিধান—সব মিলিয়ে বাজারে প্রবেশ নিশ্চয়তা নয়, বরং প্রমাণযোগ্য ব্যাপার। সফল সংযোগ গড়ে উঠবে আগাম প্রস্তুতি, স্থানীয় প্রাসঙ্গিকতা আর তথ্যনির্ভরতা দিয়ে।

অর্থনৈতিক উপযোগী বার্তা
— চাকরি সৃষ্টি, উদ্ভাবন ও জাতীয় অগ্রাধিকারে অবদান—এসবের পরিমাপক তথ্য চাই নীতিনির্ধারকদের।
— তবে শুধু সংখ্যায় নয়; অঞ্চলভিত্তিক, আবেগস্পর্শী, তৃতীয়‑পক্ষের বিশ্লেষণসমেত উপস্থাপনা বাড়ায় বিশ্বাস।

মার্কিন প্রতিষ্ঠানের দ্বিমুখী চাপ
— একদিকে হোয়াইট হাউসের আক্রমণাত্মক ‘আমেরিকা‑প্রথম’ নীতি, অন্যদিকে এশীয় সরকারের কাছে স্থানীয় অবদান প্রমাণের তাগিদ।
— সরবরাহ চেইন থেকে শুরু করে সম্প্রসারণ পরিকল্পনা ও বহিঃসংযোগ—প্রতিটি সিদ্ধান্তই এখন রাজনৈতিক ও ঝুঁকিপূর্ণ।

কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশিকা নেই
পুরোনো নিয়ম প্রতিদিন ভেঙে পড়ছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি সম্পৃক্ততাকে গৌণ ভেবে বসে থাকবে, তারা সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বে। টিকে থাকবে তারাই, যারা নীতি‑অনিশ্চয়তাকে শুধু ঝুঁকি নয়, বরং কৌশলগত বাস্তবতা হিসেবে গ্রহণ করে সক্রিয়ভাবে মোকাবিলা করবে।

এশিয়ায় বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের জন্য বদলে যাওয়া নিয়ম

১০:০০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

এশিয়ার ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপটে দ্রুতই পরিবর্তনের ঝড় বইছে। নতুন শুল্ক-বাধা, রাজনৈতিক পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের ঢেউ একত্রে বিশ্বব্যাপী কোম্পানিগুলোর সামনে এক ভিন্ন বাস্তবতা দাঁড় করিয়েছে—এখন লড়াইয়ের নীতি ও কৌশল পুরোটাই বদলে গেছে।

শুল্ক যুদ্ধ ও অস্থির নীতি-পরিবেশ
— যুক্তরাষ্ট্র‑চীন বাণিজ্য উত্তেজনা শুল্ক বাড়িয়ে সরবরাহ চেইন ভেঙে দিচ্ছে, বিনিয়োগে ধীরতা আনছে, খরচ বাড়াচ্ছে।
— অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের জরিপ বলছে, নীতিগত পূর্বাভাসযোগ্যতা মারা গেছে; সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এখন ঘরোয়া রাজনীতি ও অর্থনীতি মিলিয়ে এক ভাঙাচোরা বাস্তবতা।
— যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর থেকে এশিয়ায় সরকারগুলোও ট্রেড নীতি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে দ্বিধাহীন। স্থানীয় ‘চ্যাম্পিয়ন’ কোম্পানিকে অগ্রাধিকার, ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব, শ্রম অধিকার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শাসনসহ নানামুখী নিয়মে ব্যবসায়িক পরিবেশ পাল্টাচ্ছে।

উদ্ভূত সুযোগের ক্ষীণ খোলা দরজা
— কিছু ক্ষেত্রে বাজারে দীর্ঘদিনের প্রবেশ-প্রাচীর হঠাৎ নরম হয়েছে; এশীয় সরকারগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষিতে নমনীয়তা দেখাতে চায়।
— আবার কোথাও নতুন নিয়মের গতি শ্লথ, কারণ শুল্ক‑ঝড়ে বিধ্বস্ত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি চাপ দিতে তারা ইতস্তত করছে।
— প্রস্তুত সংস্থাগুলোর জন্য এগুলো ক্ষুদ্র ফাঁক হলেও আশার পথ খুলে দেয়।

কেন্দ্রীয় ভূমিকায় সরকারি সম্পর্ক বিভাগ
— নীতিগত ঝুঁকি সামলানোর বাইরেও এখন স্থানীয় নীতিনির্ধারকদের কাছে কোম্পানির অবদান তুলে ধরা, রাজনৈতিক ভাষা শোনা‑বোঝা আর অদৃশ্য নিয়মের ভেতর বিশ্বাস গড়াই প্রধান দায়িত্ব।
— শিল্প‑নীতি, লাইসেন্স ও কর‑রাজনীতির উত্থান, দ্রুতগতির ডিজিটাল বিধিবিধান—সব মিলিয়ে বাজারে প্রবেশ নিশ্চয়তা নয়, বরং প্রমাণযোগ্য ব্যাপার। সফল সংযোগ গড়ে উঠবে আগাম প্রস্তুতি, স্থানীয় প্রাসঙ্গিকতা আর তথ্যনির্ভরতা দিয়ে।

অর্থনৈতিক উপযোগী বার্তা
— চাকরি সৃষ্টি, উদ্ভাবন ও জাতীয় অগ্রাধিকারে অবদান—এসবের পরিমাপক তথ্য চাই নীতিনির্ধারকদের।
— তবে শুধু সংখ্যায় নয়; অঞ্চলভিত্তিক, আবেগস্পর্শী, তৃতীয়‑পক্ষের বিশ্লেষণসমেত উপস্থাপনা বাড়ায় বিশ্বাস।

মার্কিন প্রতিষ্ঠানের দ্বিমুখী চাপ
— একদিকে হোয়াইট হাউসের আক্রমণাত্মক ‘আমেরিকা‑প্রথম’ নীতি, অন্যদিকে এশীয় সরকারের কাছে স্থানীয় অবদান প্রমাণের তাগিদ।
— সরবরাহ চেইন থেকে শুরু করে সম্প্রসারণ পরিকল্পনা ও বহিঃসংযোগ—প্রতিটি সিদ্ধান্তই এখন রাজনৈতিক ও ঝুঁকিপূর্ণ।

কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশিকা নেই
পুরোনো নিয়ম প্রতিদিন ভেঙে পড়ছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি সম্পৃক্ততাকে গৌণ ভেবে বসে থাকবে, তারা সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বে। টিকে থাকবে তারাই, যারা নীতি‑অনিশ্চয়তাকে শুধু ঝুঁকি নয়, বরং কৌশলগত বাস্তবতা হিসেবে গ্রহণ করে সক্রিয়ভাবে মোকাবিলা করবে।