কে-পপ জগতে, ভিজ্যুয়াল মানেই ক্ষমতা। আর aespa-র উইন্টার আবারও দেখিয়ে দিলেন, কীভাবে একটি ছোট্ট হেয়ারস্টাইল পরিবর্তন অনলাইনজগতকে তোলপাড় করে দিতে পারে। পোলো রালফ লরেনের সাম্প্রতিক এক ফ্যাশন ইভেন্টে তার নতুন হেয়ারস্টাইল সামনে আসতেই, কোরিয়ান সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Pann-এ শুরু হয় আলোচনা—কেউ সমালোচনায় মুখর, কেউ আবার প্রশংসায় মুখরিত।
ভাইরাল স্টাইল, এক পোস্টে লক্ষাধিক ভিউ
উইন্টার এই অনুষ্ঠানে সাদা লেয়ারড পোশাকে হাজির হন—সাদা শার্ট, ট্যাঙ্ক টপ, লম্বা স্কার্ট, সঙ্গে কালো বেল্ট ও বুট। তবে নজর কেড়েছে তার চুলের স্টাইল: নরমভাবে কাটা লেয়ার, সামনের দিকে খোলা ঝোলা ব্যাঙস—যা সাম্প্রতিক জনপ্রিয় ‘উলফকাট’ হেয়ারস্টাইলের ঘরানায় পড়ে।
Pann-এ ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টে কেউ লেখে, “এই স্টাইলটা দেখতে এলোমেলো আর পুনরাবৃত্ত মনে হচ্ছে। ওকে আরও ক্লিন লুকেই বেশি ভালো লাগে।” যদিও পোস্টটি ১ লাখের বেশি ভিউ পায়, মন্তব্যগুলো বেশিরভাগই উইন্টারকে সমর্থন করে।
“আমি করলে এলোমেলো, উইন্টার করলে দেবী!”
“সে নানা স্টাইল এক্সপেরিমেন্ট করছে—আর সত্যি বলতে, এটা ওর ওপর ভালোই মানিয়েছে।”
“চুল বাঁধুক বা খোলা রাখুক, ও যেভাবেই থাকুক, ওকে অসাধারণ দেখায়।”
এই প্রতিক্রিয়া শুধু স্টাইলের প্রতিই নয়, বরং উইন্টারের আত্মবিশ্বাস ও বৈচিত্র্য গ্রহণের ক্ষমতার প্রতি শ্রদ্ধা। যেখানে অনেক কেপপ আইডল এক নির্দিষ্ট ‘সেফ লুক’-এ আটকে থাকেন, সেখানে উইন্টার তার স্টাইলের মাধ্যমে নিয়ম ভেঙে নতুন কিছু তৈরি করছেন।
aespa: স্টাইল আর সাউন্ড—দুটোই শাসন করছে
উইন্টারের হেয়ারস্টাইল ভাইরাল হলেও aespa কেবল স্টাইল দিয়েই নয়, তাদের গান দিয়েও ২০২৫ সালে ঝড় তুলেছে—
- “Supernova”: Armageddon অ্যালবামের এই ট্র্যাকটি কোরিয়ায় “পারফেক্ট অল-কিল” করে এবং MAMA ও Melon-এর মতো বড় অ্যাওয়ার্ড শোগুলিতে ‘Song of the Year’ জেতে।
- “Whiplash”: বিলবোর্ড গ্লোবাল ২০০-তে টপ ১০-এ উঠে আসে এবং সঠিক সময়ে স্টিভ আয়োকির রিমিক্সে নতুন মাত্রা পায়।
- “Dirty Work”: জুন ২০২৫-এ মুক্তি পাওয়া এই গানটি চীনের QQ মিউজিকে ডাবল প্ল্যাটিনাম হয় এবং ফ্লো মিলির রিমিক্স দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনপ্রিয়তা আরও বাড়ে।
কনসার্ট থেকে কনসেপ্ট: প্রতিটি মুহূর্তে ট্রেন্ড
Karina, Winter, Giselle ও Ningning—এই চার সদস্য নিয়ে গঠিত aespa এখন কেপপের চতুর্থ প্রজন্মের এক আইকনিক গ্রুপ। ফিউচারিস্টিক কনসেপ্ট, উচ্চমানের মিউজিক ভিডিও ও প্রডাকশন, এবং একের পর এক হিট ট্র্যাক তাদেরকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
KCON LA 2025-এ তাদের অংশগ্রহণ, টেনসেন্ট মিউজিকের মিড-ইয়ার চার্টে শীর্ষস্থান, এবং চীনের বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা—সবকিছু মিলিয়ে aespa এখন কেবল একটি গার্ল গ্রুপ নয়, বরং একটি গ্লোবাল ফেনোমেনন।
বাংলাদেশি K-pop ভক্তদের জন্য একটি বার্তা
যখন aespa-র মতো গ্রুপগুলো প্রতিটি স্টাইল চেঞ্জ, গান রিলিজ কিংবা ফ্যাশন ইভেন্ট দিয়ে গ্লোবাল ট্রেন্ড তৈরি করে, তখন বাংলাদেশি কেপপ অনুরাগীদেরও সেই স্টাইল ও সাউন্ড থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া নতুন কিছু নয়। উইন্টার দেখিয়ে দিলেন—স্টাইল মানেই সাহস, আর কনফিডেন্স মানেই সৌন্দর্য।