০৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
জাপানে ঝিনুকের সংকট, শীতের প্রিয় খাবার ধরেছে ধাক্কা ইন্দোনেশিয়া–শ্রীলঙ্কা–থাইল্যান্ডে প্রাণঘাতী বন্যা: বিজ্ঞানীদের চোখে জলবায়ু সতর্কবার্তা নোটিফিকেশন জঞ্জাল সামলাতে অ্যান্ড্রয়েড ১৬–তে এআই সারাংশ ও নতুন কনট্রোল ১৯টি অ–ইউরোপীয় দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থগিত, অনিশ্চয়তায় হাজারো পরিবার ঈশ্বরদীতে ৮টি কুকুরছানা পানিতে ডুবিয়ে হত্যা, প্রাণিজ কল্যাণ আইনে গ্রেপ্তার ১ জয়পুরহাটে বাড়িতে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ভাতিজি ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে ট্রাক–পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২ ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বাস–ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩ গাজীপুরের শ্রীপুরে অটোরিকশা গ্যারেজে আগুন, পুড়েছে ১৫ যানবাহন “‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এ ‘টাইটানিক’–ধরনের হৃদয়ভাঙা, বলছেন সমালোচকেরা”

রবীন্দ্র প্রয়াণ: এক মহাশূন্যতার আহ্বান

২২ শ্রাবণ বাঙালির কাছে শুধু একটি তারিখ নয়এটি এক অপূরণীয় শূন্যতার দিন। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে বাংলা সাহিত্যের রবি অস্ত গেলেনরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরযিনি শুধু কবি ছিলেন নাছিলেন এক সভ্যতার পথপ্রদর্শক। তিনি বাংলা ভাষাকে তার সর্বোচ্চ সম্ভাবনায় পৌঁছে দিয়েছিলেনমানুষকে চিনিয়েছিলেন নিজের চোখেআত্মাকে দিয়েছিলেন কণ্ঠস্বর। সেই কণ্ঠ থেমে যাওয়ার দিনটি যেন এক মহাশূন্যতার আহ্বান।

কবি নিজেই লিখে গিয়েছিলেন, ‘মরণ রেতুঁহু মম শ্যাম সমান’—মৃত্যুকে সমকক্ষ করে দেখাআত্মিক সম্পর্কের দৃষ্টিতে চূড়ান্ত প্রস্থানএ কেবল রবীন্দ্রনাথের পক্ষেই সম্ভব ছিল। মৃত্যু কখনোই তাঁকে ভীত করেনিবরং তিনি মৃত্যুর ভেতরেই খুঁজে পেয়েছিলেন শান্তিমুক্তিএমনকি প্রেমের উপাসনা। শেষ লেখায় তিনি লিখেছেন, ‘চলে যাবতবু আজ যতক্ষণ দেহে আছিদাঁড়িয়ে চেয়ে দেখি প্রাণপণে এ ভুবনকে শেষবারের মতন।’ কত সহজেঅথচ কত অসীম গভীরতায় তিনি বিদায় নিয়েছিলেনআতঙ্ক নয়এক আত্মপ্রসার।

মৃত্যুর আগে সেই কবিই লিখেছিলেন—‘শেষ গান গেয়ে গেলেমআমার খেলা শেষ হয়ে এল।’ এমন সরলগভীর এবং দীপ্ত উচ্চারণ বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয়টি নেই। তিনি যে কেবল কবি ছিলেনতা নয়। তাঁর সৃষ্টিকর্মের বিস্তার এতই ব্যাপক যে তাঁকে একক কোনো পরিচয়ে বাঁধা চলে না। তিনি গল্পউপন্যাসনাটক লিখেছেনগান বেঁধেছেনচিত্রাঙ্কনে ডুবেছেনদর্শনে প্রবেশ করেছেনচিঠিতে জাগ্রত করেছেন সময়ের আত্মা। সর্বোপরিবাংলা ভাষার হৃদয়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন এমন এক সত্তাযা আজও প্রতিদিন আমাদের সঙ্গে বেঁচে থাকেকথা বলেমুগ্ধ করে এবং প্রশ্ন তোলে।

তিনি ছিলেন যুগান্তকারী সংস্কারকযিনি সমাজকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন এবং কখনোই চিরাচরিত ভাবনার কাছে আত্মসমর্পণ করেননি। যখন ব্রিটিশ রাজ আমাদের আত্মমর্যাদা কেড়ে নিচ্ছিলতিনি বলেছিলেন, ‘সভ্যতার সংকট উপস্থিত হয়েছে। মানুষ তার মনুষ্যত্বকে বিস্মৃত হয়েছে।’ এই উপলব্ধিই ছিল তাঁর প্রতিবাদের ভিত্তি। ১৯১৯-এর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পর ব্রিটিশদের বর্বরতার বিরুদ্ধে তিনি নাইট উপাধি ত্যাগ করেনএটি কেবল রাজনৈতিক প্রতিবাদ ছিল নাছিল এক ধরনের নৈতিক জাগরণএক আত্মশক্তির প্রকাশ।

তাঁর গান আমাদের চেতনার নিঃশব্দ অনুরণন হয়ে আছে। ভালোবাসায় যেমন গাওয়া হয় আমার পরান যাহা চায়তুমি তাই’, তেমনই মৃত্যুতে আশ্রয় খোঁজা হয় মরণ রেতুঁহু মম শ্যাম সমান’-এ। তিনি আমাদের শিখিয়েছেনগানের মাধ্যমে গভীরতম জীবনদর্শন কীভাবে ব্যক্ত করা যায়যেখানে প্রেমদর্শন ও জীবনের অনিবার্য অন্তিমতা মিলে একাকার হয়।

তাঁর শিক্ষা-দর্শন ছিল প্রথা ভেঙে নির্মিত এক নতুন স্বপ্ন। শান্তিনিকেতন বা বিশ্বভারতী তাঁর শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়ছিল চিন্তার এক পরম বিস্তৃত মঞ্চযেখানে মানুষ শিখত প্রকৃতিশিল্প ও জিজ্ঞাসার মধ্য দিয়ে। তাঁর ভাষায়, ‘আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধুলার পরে’—এই পঙ্‌ক্তি শুধু ভক্তির নয়ছিল তাঁর আত্মসমর্পণের মন্ত্র। এই মন্ত্রেই তিনি শিক্ষাশিল্পমানবতা ও বিশ্বচেতনার অপূর্ব সেতু নির্মাণ করেছিলেন।

তাঁর রাজনীতি ছিল সাংস্কৃতিক ও নৈতিক রাজনীতি। দলীয় রাজনীতির সক্রিয় খেলোয়াড় না হলেওমানুষের সম্মান ও স্বাধিকার রক্ষায় তিনি ছিলেন নিরন্তর যোদ্ধা। যেখানেই মানুষ অবমানিত হয়েছেসেখানেই তাঁর কলম দাঁড়িয়েছে প্রতিবাদের অস্ত্র হয়ে। মৃত্যুর ছায়াময় দিনেও তাঁর অবস্থান ছিল স্পষ্ট ও দীপ্ত।

তাঁর প্রেম-দর্শন নিছক রোমান্টিক নয়বরং ছিল মহত্তর জীবনচেতনার অন্তঃসার। তোমারে পেয়েছি আমি হৃদয়-মাঝে’—এই একটি চরণেই তিনি দেখিয়েছেনকীভাবে ঈশ্বরপ্রকৃতি ও প্রেম মানুষের হৃদয়ে একাকার হতে পারে।

তিনি চলে যাওয়ার বহু আগেই যেন লিখে রেখেছিলেন নিজের পুনর্জন্মের কথা: আজ হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি কৌতূহল ভরে।’ আজ সেই শতবর্ষ প্রায় পেরিয়ে গেছে। আমরা সেই কৌতূহলী পাঠকপ্রতিদিন তাঁকে আবিষ্কার করিতাঁর গান গাইকবিতা পাঠ করিতাঁর দৃষ্টি খুঁজি আমাদের নিত্য সংকটে।

আজওযখন বাংলা ভাষাভাষী মানুষ কোনো সৃজনমননশুভবোধপ্রেম বা বিদ্রোহের কথা ভাবেতখনই অনুভব করে রবীন্দ্রনাথকে। তিনি সেই নামযাকে উচ্চারণ না করেও আমাদের দিন শুরু হয় নারাত শেষ হয় না।

শেষ বয়সে তাঁর কলমে ছিল নিস্তব্ধ আত্মবোধগভীর সংহতি। শেষ লেখা’ পাঠ করলে মনে হয়কবি জীবনের সব উত্তর পেয়ে গেছেন—‘চেয়ে দেখি প্রাণপণে এ ভুবনকে শেষবারের মতন।’ এই শেষবারের মতন দেখাএই চাওয়াএই দ্রষ্টার গভীর দৃষ্টি আমাদের উত্তরাধিকার হয়ে রয়ে গেছে। যাবার দিনে এই কথাটি বলে যেন যাইযা দেখেছিযা পেয়েছিতুলনা তার নাই’—এটাই ছিল তাঁর অন্তিম আত্মপ্রকাশ। আমরা বলিহ্যাঁ রবীন্দ্রনাথআপনি যা দেখেছেনযা পেয়েছেনযা আমাদের দিয়ে গেছেনতুলনা তার সত্যিই নেই।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিকবিশিষ্ট বিশ্লেষকরাজনীতি ও সমাজনীতি

জনপ্রিয় সংবাদ

জাপানে ঝিনুকের সংকট, শীতের প্রিয় খাবার ধরেছে ধাক্কা

রবীন্দ্র প্রয়াণ: এক মহাশূন্যতার আহ্বান

০৩:৫২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

২২ শ্রাবণ বাঙালির কাছে শুধু একটি তারিখ নয়এটি এক অপূরণীয় শূন্যতার দিন। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে বাংলা সাহিত্যের রবি অস্ত গেলেনরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরযিনি শুধু কবি ছিলেন নাছিলেন এক সভ্যতার পথপ্রদর্শক। তিনি বাংলা ভাষাকে তার সর্বোচ্চ সম্ভাবনায় পৌঁছে দিয়েছিলেনমানুষকে চিনিয়েছিলেন নিজের চোখেআত্মাকে দিয়েছিলেন কণ্ঠস্বর। সেই কণ্ঠ থেমে যাওয়ার দিনটি যেন এক মহাশূন্যতার আহ্বান।

কবি নিজেই লিখে গিয়েছিলেন, ‘মরণ রেতুঁহু মম শ্যাম সমান’—মৃত্যুকে সমকক্ষ করে দেখাআত্মিক সম্পর্কের দৃষ্টিতে চূড়ান্ত প্রস্থানএ কেবল রবীন্দ্রনাথের পক্ষেই সম্ভব ছিল। মৃত্যু কখনোই তাঁকে ভীত করেনিবরং তিনি মৃত্যুর ভেতরেই খুঁজে পেয়েছিলেন শান্তিমুক্তিএমনকি প্রেমের উপাসনা। শেষ লেখায় তিনি লিখেছেন, ‘চলে যাবতবু আজ যতক্ষণ দেহে আছিদাঁড়িয়ে চেয়ে দেখি প্রাণপণে এ ভুবনকে শেষবারের মতন।’ কত সহজেঅথচ কত অসীম গভীরতায় তিনি বিদায় নিয়েছিলেনআতঙ্ক নয়এক আত্মপ্রসার।

মৃত্যুর আগে সেই কবিই লিখেছিলেন—‘শেষ গান গেয়ে গেলেমআমার খেলা শেষ হয়ে এল।’ এমন সরলগভীর এবং দীপ্ত উচ্চারণ বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয়টি নেই। তিনি যে কেবল কবি ছিলেনতা নয়। তাঁর সৃষ্টিকর্মের বিস্তার এতই ব্যাপক যে তাঁকে একক কোনো পরিচয়ে বাঁধা চলে না। তিনি গল্পউপন্যাসনাটক লিখেছেনগান বেঁধেছেনচিত্রাঙ্কনে ডুবেছেনদর্শনে প্রবেশ করেছেনচিঠিতে জাগ্রত করেছেন সময়ের আত্মা। সর্বোপরিবাংলা ভাষার হৃদয়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন এমন এক সত্তাযা আজও প্রতিদিন আমাদের সঙ্গে বেঁচে থাকেকথা বলেমুগ্ধ করে এবং প্রশ্ন তোলে।

তিনি ছিলেন যুগান্তকারী সংস্কারকযিনি সমাজকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন এবং কখনোই চিরাচরিত ভাবনার কাছে আত্মসমর্পণ করেননি। যখন ব্রিটিশ রাজ আমাদের আত্মমর্যাদা কেড়ে নিচ্ছিলতিনি বলেছিলেন, ‘সভ্যতার সংকট উপস্থিত হয়েছে। মানুষ তার মনুষ্যত্বকে বিস্মৃত হয়েছে।’ এই উপলব্ধিই ছিল তাঁর প্রতিবাদের ভিত্তি। ১৯১৯-এর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পর ব্রিটিশদের বর্বরতার বিরুদ্ধে তিনি নাইট উপাধি ত্যাগ করেনএটি কেবল রাজনৈতিক প্রতিবাদ ছিল নাছিল এক ধরনের নৈতিক জাগরণএক আত্মশক্তির প্রকাশ।

তাঁর গান আমাদের চেতনার নিঃশব্দ অনুরণন হয়ে আছে। ভালোবাসায় যেমন গাওয়া হয় আমার পরান যাহা চায়তুমি তাই’, তেমনই মৃত্যুতে আশ্রয় খোঁজা হয় মরণ রেতুঁহু মম শ্যাম সমান’-এ। তিনি আমাদের শিখিয়েছেনগানের মাধ্যমে গভীরতম জীবনদর্শন কীভাবে ব্যক্ত করা যায়যেখানে প্রেমদর্শন ও জীবনের অনিবার্য অন্তিমতা মিলে একাকার হয়।

তাঁর শিক্ষা-দর্শন ছিল প্রথা ভেঙে নির্মিত এক নতুন স্বপ্ন। শান্তিনিকেতন বা বিশ্বভারতী তাঁর শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়ছিল চিন্তার এক পরম বিস্তৃত মঞ্চযেখানে মানুষ শিখত প্রকৃতিশিল্প ও জিজ্ঞাসার মধ্য দিয়ে। তাঁর ভাষায়, ‘আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধুলার পরে’—এই পঙ্‌ক্তি শুধু ভক্তির নয়ছিল তাঁর আত্মসমর্পণের মন্ত্র। এই মন্ত্রেই তিনি শিক্ষাশিল্পমানবতা ও বিশ্বচেতনার অপূর্ব সেতু নির্মাণ করেছিলেন।

তাঁর রাজনীতি ছিল সাংস্কৃতিক ও নৈতিক রাজনীতি। দলীয় রাজনীতির সক্রিয় খেলোয়াড় না হলেওমানুষের সম্মান ও স্বাধিকার রক্ষায় তিনি ছিলেন নিরন্তর যোদ্ধা। যেখানেই মানুষ অবমানিত হয়েছেসেখানেই তাঁর কলম দাঁড়িয়েছে প্রতিবাদের অস্ত্র হয়ে। মৃত্যুর ছায়াময় দিনেও তাঁর অবস্থান ছিল স্পষ্ট ও দীপ্ত।

তাঁর প্রেম-দর্শন নিছক রোমান্টিক নয়বরং ছিল মহত্তর জীবনচেতনার অন্তঃসার। তোমারে পেয়েছি আমি হৃদয়-মাঝে’—এই একটি চরণেই তিনি দেখিয়েছেনকীভাবে ঈশ্বরপ্রকৃতি ও প্রেম মানুষের হৃদয়ে একাকার হতে পারে।

তিনি চলে যাওয়ার বহু আগেই যেন লিখে রেখেছিলেন নিজের পুনর্জন্মের কথা: আজ হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি কৌতূহল ভরে।’ আজ সেই শতবর্ষ প্রায় পেরিয়ে গেছে। আমরা সেই কৌতূহলী পাঠকপ্রতিদিন তাঁকে আবিষ্কার করিতাঁর গান গাইকবিতা পাঠ করিতাঁর দৃষ্টি খুঁজি আমাদের নিত্য সংকটে।

আজওযখন বাংলা ভাষাভাষী মানুষ কোনো সৃজনমননশুভবোধপ্রেম বা বিদ্রোহের কথা ভাবেতখনই অনুভব করে রবীন্দ্রনাথকে। তিনি সেই নামযাকে উচ্চারণ না করেও আমাদের দিন শুরু হয় নারাত শেষ হয় না।

শেষ বয়সে তাঁর কলমে ছিল নিস্তব্ধ আত্মবোধগভীর সংহতি। শেষ লেখা’ পাঠ করলে মনে হয়কবি জীবনের সব উত্তর পেয়ে গেছেন—‘চেয়ে দেখি প্রাণপণে এ ভুবনকে শেষবারের মতন।’ এই শেষবারের মতন দেখাএই চাওয়াএই দ্রষ্টার গভীর দৃষ্টি আমাদের উত্তরাধিকার হয়ে রয়ে গেছে। যাবার দিনে এই কথাটি বলে যেন যাইযা দেখেছিযা পেয়েছিতুলনা তার নাই’—এটাই ছিল তাঁর অন্তিম আত্মপ্রকাশ। আমরা বলিহ্যাঁ রবীন্দ্রনাথআপনি যা দেখেছেনযা পেয়েছেনযা আমাদের দিয়ে গেছেনতুলনা তার সত্যিই নেই।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিকবিশিষ্ট বিশ্লেষকরাজনীতি ও সমাজনীতি