০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভারতে স্টিল পাইপ নির্মাতায় হানা—বিড রিগিং তদন্তে তল্লাশি” পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিল অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেননি চেম্বার আদালত জাতিসংঘের উদ্ভাবন সূচকে শীর্ষ-১০—জার্মানিকে সরিয়ে চীন ইইউর ১৯তম রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ স্থগিত—পরিধি নিয়ে মতভেদ অ্যামাজনের হার্ডওয়্যার ইভেন্ট ৩০ সেপ্টেম্বর—ইকো, ফায়ার টিভি, কিন্ডলে চমক টিকটক সমাধানে ‘ফ্রেমওয়ার্ক’—যুক্তরাষ্ট্রে চালু রাখতে অরাকলসহ কনসোর্টিয়াম স্কারবরো শোলে ফিলিপাইনি জাহাজে চীনের ওয়াটার ক্যানন রুশ হামলায় জাপোরিঝিয়ায় একজন নিহত, বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত ফেড সুদ কমাতে পারে—এশিয়া শেয়ারে নতুন উত্থান চীনের বৈশ্বিক বন্দর প্রভাব কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের বড়সড় সামুদ্রিক উদ্যোগ

মেথি পাতা: ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্তরা সপ্তাহে চারদিন খাবেন

মেথি (Fenugreek) একটি বহুল ব্যবহৃত ভেষজ উদ্ভিদ। এর বীজ যেমন ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ, তেমনি এর পাতা (মেথি শাক) স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য অসাধারণ উপকারী। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতীয় উপমহাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে রান্না ও ঔষধি কাজে মেথি পাতা ব্যবহৃত হচ্ছে।

পুষ্টিগুণ

মেথি পাতা ভিটামিন এ, সি, কে, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি শরীরকে প্রয়োজনীয় খনিজ সরবরাহ করে, রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং হাড়ের শক্তি বাড়ায়। মেথি পাতায় থাকা আঁশ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

মেথি পাতায় বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি-র‍্যাডিক্যাল দূর করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে। নিয়মিত মেথি পাতা খেলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে শরীর শক্তিশালী হয়। শীতকালে এটি সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

Top 10 Tips to Control Diabetes

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

মেথি পাতার অন্যতম বড় গুণ হলো রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা। এর আঁশ ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারে আসে। প্রতিদিন সামান্য মেথি পাতা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে সুষম থাকে।

হৃদরোগ প্রতিরোধ

মেথি পাতা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়। এর ফলে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পায়। একই সঙ্গে এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

হজমশক্তি উন্নতকরণ

মেথি পাতার আঁশ ও ভেষজ গুণ হজমে সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্লত্ব ও বদহজম কমাতে এটি কার্যকর। এছাড়া এটি লিভার ও পিত্তথলির কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

Cancer Cell Lines and How CRISPR is Transforming Cancer Research

নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা

মেথি পাতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নারীদের স্বাস্থ্য রক্ষা। এটি মাসিকের সময় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরকে শক্তি জোগায়। অনেক সময় প্রসূতি মায়েদের দুধ বাড়াতে মেথি পাতা ব্যবহার করার প্রথা রয়েছে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ

মেথি পাতায় থাকা ফাইটোকেমিক্যাল ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিহত করতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। বিশেষত স্তন ক্যান্সার ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসে এটি উপকারী হতে পারে।

মেথি পাতা দিয়ে বানাতে পারেন সুস্বাদু ৩ পদ-Gramerkagoj || Daily Newspaper  in Bangladesh

সপ্তাহে কতবার খাবেন?

মেথি পাতা নিয়মিত খাওয়া উপকারী হলেও প্রতিদিন অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। সাধারণভাবে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন রান্নায় মেথি পাতা ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। একদিনে এক মুঠো পরিমাণ (৫০-৭০ গ্রাম রান্না করা) খাওয়া যথেষ্ট।

  • • ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের রোগীরা ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী সপ্তাহে ৪–৫ দিনও খেতে পারেন।
  • • সুস্থ মানুষদের জন্য সপ্তাহে ৩ দিন মেথি পাতা খাওয়া স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য যথেষ্ট।

মেথি পাতা শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, বরং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক। তবে যেকোনো ভেষজের মতোই এটি পরিমিত মাত্রায় খাওয়াই স

ভারতে স্টিল পাইপ নির্মাতায় হানা—বিড রিগিং তদন্তে তল্লাশি”

মেথি পাতা: ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্তরা সপ্তাহে চারদিন খাবেন

০৫:৫৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

মেথি (Fenugreek) একটি বহুল ব্যবহৃত ভেষজ উদ্ভিদ। এর বীজ যেমন ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ, তেমনি এর পাতা (মেথি শাক) স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য অসাধারণ উপকারী। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতীয় উপমহাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে রান্না ও ঔষধি কাজে মেথি পাতা ব্যবহৃত হচ্ছে।

পুষ্টিগুণ

মেথি পাতা ভিটামিন এ, সি, কে, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি শরীরকে প্রয়োজনীয় খনিজ সরবরাহ করে, রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং হাড়ের শক্তি বাড়ায়। মেথি পাতায় থাকা আঁশ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

মেথি পাতায় বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি-র‍্যাডিক্যাল দূর করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে। নিয়মিত মেথি পাতা খেলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে শরীর শক্তিশালী হয়। শীতকালে এটি সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

Top 10 Tips to Control Diabetes

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

মেথি পাতার অন্যতম বড় গুণ হলো রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা। এর আঁশ ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারে আসে। প্রতিদিন সামান্য মেথি পাতা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে সুষম থাকে।

হৃদরোগ প্রতিরোধ

মেথি পাতা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়। এর ফলে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পায়। একই সঙ্গে এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

হজমশক্তি উন্নতকরণ

মেথি পাতার আঁশ ও ভেষজ গুণ হজমে সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্লত্ব ও বদহজম কমাতে এটি কার্যকর। এছাড়া এটি লিভার ও পিত্তথলির কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

Cancer Cell Lines and How CRISPR is Transforming Cancer Research

নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা

মেথি পাতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নারীদের স্বাস্থ্য রক্ষা। এটি মাসিকের সময় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরকে শক্তি জোগায়। অনেক সময় প্রসূতি মায়েদের দুধ বাড়াতে মেথি পাতা ব্যবহার করার প্রথা রয়েছে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ

মেথি পাতায় থাকা ফাইটোকেমিক্যাল ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিহত করতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। বিশেষত স্তন ক্যান্সার ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসে এটি উপকারী হতে পারে।

মেথি পাতা দিয়ে বানাতে পারেন সুস্বাদু ৩ পদ-Gramerkagoj || Daily Newspaper  in Bangladesh

সপ্তাহে কতবার খাবেন?

মেথি পাতা নিয়মিত খাওয়া উপকারী হলেও প্রতিদিন অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। সাধারণভাবে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন রান্নায় মেথি পাতা ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। একদিনে এক মুঠো পরিমাণ (৫০-৭০ গ্রাম রান্না করা) খাওয়া যথেষ্ট।

  • • ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের রোগীরা ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী সপ্তাহে ৪–৫ দিনও খেতে পারেন।
  • • সুস্থ মানুষদের জন্য সপ্তাহে ৩ দিন মেথি পাতা খাওয়া স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য যথেষ্ট।

মেথি পাতা শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, বরং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক। তবে যেকোনো ভেষজের মতোই এটি পরিমিত মাত্রায় খাওয়াই স