০৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ইশতেহারে শিশু নিরাপত্তা জোরদারের প্রতিশ্রুতি ভারতের স্পষ্ট বার্তা: যেখানেই হোক, সন্ত্রাস দমনে অভিযান চালানোর পূর্ণ অধিকার আছে ইভি আর স্মার্ট গ্যাজেটের জোরে দ্বিগুণের বেশি মুনাফা দেখাল শাওমি ভারতের রেড ফোর্ট হামলার উদ্ধার হওয়া ভিডিও: আত্মঘাতী হামলার সাফাই দিচ্ছিলেন উমর উন-নবী ইন্দোনেশিয়ার শিশুদের ভিডিও গেমে জঙ্গি প্রভাব: পুলিশ গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুনঃ আশে পাশের মানুষ সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনায় এখন শুধু ‘ট্যাকটিক্যাল বিরতি’,সতর্ক করল সিঙ্গাপুর গানপাউডার–পেট্রোল দিয়ে ময়মনসিংহে ট্রেন বগিতে আগুন ধামরাইয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ শীতেও কমছে না দাম: খুলনার কাঁচা বাজারে নতুন করে দাম বেড়েছে

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: আপিল শুনানির বর্তমান অবস্থা

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ


২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ ঘটনায় আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

হামলার পরদিন মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের হয়। প্রথম পর্যায়ের তদন্ত শেষে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিলে আসামির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ জনে।

বিচার প্রক্রিয়ার ধাপ


২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

বিএনপি নেতা তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অন্য ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়।

ওই বছরের নভেম্বরে মামলাটি হাইকোর্টে পৌঁছায়।

২০২২ সালে হাইকোর্টে শুনানি শুরু হলেও পরে বেঞ্চ পুনর্গঠন হওয়ায় পুনরায় শুনানি শুরু হয়।

হাইকোর্টের রায়


২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ এই রায় দেন। চার দিনের শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করা হয়।

আপিল বিভাগের কার্যক্রম


রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে মামলাটি আপিল বিভাগে ওঠে। ২০ আগস্ট পর্যন্ত চার দিনের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। অপরদিকে আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, জয়নুল আবেদীন, কায়সার কামাল ও শিশির মনিরসহ অন্য আইনজীবীরা।

শুনানিতে প্রধান প্রশ্ন


আপিল বিভাগে এক দিনে একই ম্যাজিস্ট্রেটের সাড়ে ৫ ঘণ্টার মধ্যে তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

এত অল্প সময়ে দীর্ঘ জবানবন্দি রেকর্ড করা সম্ভব কি না

একই সময়ে একজন পিয়নের উপস্থিতিতে তিন আসামিকে পর্যবেক্ষণ করার বিষয়টি কতটা যুক্তিযুক্ত
এ ছাড়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য হুবহু বিস্ফোরক মামলায় ব্যবহার নিয়েও আপত্তি তোলে আসামিপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, আসামিদের ১২টি জবানবন্দি স্বেচ্ছায় দেওয়া এবং আইন মেনেই রেকর্ড করা হয়েছে। কোনও নথিতেই নির্যাতনের উল্লেখ নেই।

পরবর্তী পদক্ষেপ


প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মামলার শুনানি আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ফের শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। আইনজীবীদের আশা, চলতি মাসের মধ্যেই শুনানি শেষ হবে এবং আপিল বিভাগের রায় ঘোষণা করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ইশতেহারে শিশু নিরাপত্তা জোরদারের প্রতিশ্রুতি

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: আপিল শুনানির বর্তমান অবস্থা

০২:০৮:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ


২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ ঘটনায় আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

হামলার পরদিন মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের হয়। প্রথম পর্যায়ের তদন্ত শেষে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিলে আসামির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ জনে।

বিচার প্রক্রিয়ার ধাপ


২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

বিএনপি নেতা তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অন্য ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়।

ওই বছরের নভেম্বরে মামলাটি হাইকোর্টে পৌঁছায়।

২০২২ সালে হাইকোর্টে শুনানি শুরু হলেও পরে বেঞ্চ পুনর্গঠন হওয়ায় পুনরায় শুনানি শুরু হয়।

হাইকোর্টের রায়


২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ এই রায় দেন। চার দিনের শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করা হয়।

আপিল বিভাগের কার্যক্রম


রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে মামলাটি আপিল বিভাগে ওঠে। ২০ আগস্ট পর্যন্ত চার দিনের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। অপরদিকে আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, জয়নুল আবেদীন, কায়সার কামাল ও শিশির মনিরসহ অন্য আইনজীবীরা।

শুনানিতে প্রধান প্রশ্ন


আপিল বিভাগে এক দিনে একই ম্যাজিস্ট্রেটের সাড়ে ৫ ঘণ্টার মধ্যে তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

এত অল্প সময়ে দীর্ঘ জবানবন্দি রেকর্ড করা সম্ভব কি না

একই সময়ে একজন পিয়নের উপস্থিতিতে তিন আসামিকে পর্যবেক্ষণ করার বিষয়টি কতটা যুক্তিযুক্ত
এ ছাড়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য হুবহু বিস্ফোরক মামলায় ব্যবহার নিয়েও আপত্তি তোলে আসামিপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, আসামিদের ১২টি জবানবন্দি স্বেচ্ছায় দেওয়া এবং আইন মেনেই রেকর্ড করা হয়েছে। কোনও নথিতেই নির্যাতনের উল্লেখ নেই।

পরবর্তী পদক্ষেপ


প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মামলার শুনানি আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ফের শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। আইনজীবীদের আশা, চলতি মাসের মধ্যেই শুনানি শেষ হবে এবং আপিল বিভাগের রায় ঘোষণা করা হবে।