০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
লেবাননের শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ নিহত, নতুন সহিংসতার আশঙ্কা ‘আমার কোনও দোষ ছিল না, কিন্তু আমাকে সব কিছু হারাতে হয়েছে’ ‘সুইম শেডি’ নাম নিয়ে আইনি লড়াইয়ে এমিনেম দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের উপকূলীয় শহর ওওইতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল শতাধিক ঘর বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুতে এগোচ্ছে জাপান গ্রাহকদের ভোগান্তি কমছে না, এবার রবির বিরুদ্ধে অভিযোগ — জিপি ও বাংলালিংকের আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ইশতেহারে শিশু নিরাপত্তা জোরদারের প্রতিশ্রুতি ভারতের স্পষ্ট বার্তা: যেখানেই হোক, সন্ত্রাস দমনে অভিযান চালানোর পূর্ণ অধিকার আছে ইভি আর স্মার্ট গ্যাজেটের জোরে দ্বিগুণের বেশি মুনাফা দেখাল শাওমি ভারতের রেড ফোর্ট হামলার উদ্ধার হওয়া ভিডিও: আত্মঘাতী হামলার সাফাই দিচ্ছিলেন উমর উন-নবী

দেশি মুরগির প্রজনন বৃদ্ধি কীভাবে সম্ভব

বাংলাদেশে দেশি প্রজাতির মুরগি পালনের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। গ্রামীণ আঙিনায় হাঁস-মুরগি পালন কেবল পুষ্টির চাহিদা পূরণই করে না, বরং পারিবারিক আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবেও কাজ করে। তবে আধুনিক চাহিদা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দেশি মুরগির প্রজনন ও উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। সঠিক পরিকল্পনা, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং আধুনিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করলে এ খাত বহুগুণে সমৃদ্ধ হতে পারে।

সঠিক জাত নির্বাচন

বাংলাদেশে দেশি মুরগি, সোনালি, আসিলসহ বিভিন্ন স্থানীয় জাত রয়েছে। এদের মধ্যে যেসব প্রজাতি দ্রুত ডিম দেয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং স্থানীয় আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম, প্রজননের জন্য সেসব জাত নির্বাচন করা জরুরি।

উন্নত খাদ্য ব্যবস্থাপনা

ডিম ও প্রজনন বাড়াতে খাদ্যে ভারসাম্য থাকা আবশ্যক।

  • শস্য,ডাল, খুদ, ভুষি, মাছের গুঁড়ো, খনিজ ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাদ্য মুরগির প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়।
  • পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি সবসময় সরবরাহ করতে হবে।
  • নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ করলে ডিম উৎপাদনের হারও বাড়ে।

স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ

মুরগির প্রজনন বাড়াতে রোগ প্রতিরোধ জরুরি।

  • নিয়মিত টিকা দেওয়া দরকার (নিউক্যাসল,রানিখেত, গামবোরো)।
  • খাঁচা ও খামার পরিষ্কার রাখা আবশ্যক।
  • তুলসী,রসুন ও আদার মতো ভেষজ উপাদান রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনা

  • খাঁচা এমন হতে হবে যাতে আলো-বাতাস প্রবেশ করে।
  • মৌসুমি আবহাওয়া অনুযায়ী তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
  • প্রতিদিন ডিম সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিক হ্যাচারিতে পাঠানো উচিত।

কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি

বাংলাদেশে এখনও প্রাকৃতিক প্রজনন বেশি প্রচলিত। তবে কৃত্রিম ইনসেমিনেশন পদ্ধতি গ্রহণ করলে দ্রুত প্রজনন বাড়ে এবং মানসম্পন্ন বাচ্চা পাওয়া যায়।

জেনেটিক উন্নয়ন

  • দেশি মুরগির সঙ্গে উন্নত জাত ক্রস করলে ডিম ও মাংসের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
  • একই সঙ্গে দেশি জাতের খাঁটি বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করাও জরুরি।

প্রযুক্তির ব্যবহার

  • হ্যাচারি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প সময়ে অনেক বাচ্চা ফোটানো সম্ভব।
  • সেন্সর ও অ্যাপের মাধ্যমে খাদ্য,পানি ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

খামারিদের প্রশিক্ষণ

প্রজনন ও ডিম উৎপাদন বাড়াতে খামারিদের আধুনিক প্রযুক্তি, খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও টিকা প্রদানের বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষি অফিস ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (BLRI) ইতিমধ্যেই দেশি মুরগির প্রজনন উন্নয়নে কাজ করছে। পাশাপাশি বেসরকারি খামার ও উদ্যোক্তাদের যুক্ত করা গেলে এ খাত আরও গতিশীল হবে।

ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল

প্রজননের পাশাপাশি ডিম উৎপাদনও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

  • পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্য দিতে হবে।
  • রাতে কৃত্রিম আলো ব্যবহার করলে ডিম পাড়ার হার বাড়ে।
  • মুরগিকে চাপমুক্ত রাখলে প্রজনন ও ডিম উৎপাদন দুটোই বাড়ে।
  • দেশি ও উন্নত জাতের সঠিক অনুপাতের ক্রস ডিম উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক।

বিশেষজ্ঞ মতামত

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশি মুরগির সঠিক ব্যবস্থাপনা করা হলে প্রতিটি মুরগি বছরে গড়ে ১৪০ থেকে ১৬০টি ডিম দিতে পারে, যেখানে বর্তমানে অনেক খামারেই এটি ৮০ থেকে ১০০টির বেশি নয়। তাঁদের মতে, আধুনিক খামার প্রযুক্তি, টিকা প্রদান এবং জেনেটিক উন্নয়নের সমন্বয় ঘটাতে পারলে দেশি মুরগি বাংলাদেশের ডিম উৎপাদনের ঘাটতি পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে দেশি মুরগি শুধু আয় বাড়ায় না, বরং জনগণের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

কৃষকের অভিজ্ঞতা ও বাস্তব উদাহরণ

রাজশাহীর পুঠিয়ার কৃষক রফিকুল ইসলাম গত পাঁচ বছর ধরে দেশি মুরগি পালন করছেন। তিনি জানান, আগে মুরগিগুলো বছরে গড়ে ৭০ থেকে ৮০টি ডিম দিত। স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে উন্নত খাদ্য, নিয়মিত টিকা এবং হ্যাচারি মেশিন ব্যবহারের পর এখন প্রতিটি মুরগি বছরে ১৪০টির বেশি ডিম দিচ্ছে। এতে তাঁর মাসিক আয় দ্বিগুণ হয়েছে। একইভাবে কুমিল্লার মুরাদনগরের কৃষাণী রহিমা বেগম বলেন, “আমি আগে বাড়ির আঙিনায় ১০-১২টা দেশি মুরগি পালন করতাম। এখন আধুনিক পদ্ধতি শিখে ৫০টির বেশি মুরগি পালন করছি। এতে শুধু পরিবারের পুষ্টিই নিশ্চিত হচ্ছে না, বরং অতিরিক্ত ডিম বিক্রি করে ভালো আয় হচ্ছে।” এসব বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে, সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা থাকলে দেশি মুরগি বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে নতুন মাত্রা দিতে পারে।

বাংলাদেশি প্রজাতির মুরগি খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য সম্পদ। জাত নির্বাচন, উন্নত খাদ্য-স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং কৃষকের অভিজ্ঞতা বাস্তবায়ন করলে দেশি মুরগির প্রজনন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। এটি কেবল গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে না, বরং কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

লেবাননের শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ নিহত, নতুন সহিংসতার আশঙ্কা

দেশি মুরগির প্রজনন বৃদ্ধি কীভাবে সম্ভব

০৮:৩০:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশে দেশি প্রজাতির মুরগি পালনের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। গ্রামীণ আঙিনায় হাঁস-মুরগি পালন কেবল পুষ্টির চাহিদা পূরণই করে না, বরং পারিবারিক আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবেও কাজ করে। তবে আধুনিক চাহিদা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দেশি মুরগির প্রজনন ও উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। সঠিক পরিকল্পনা, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং আধুনিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করলে এ খাত বহুগুণে সমৃদ্ধ হতে পারে।

সঠিক জাত নির্বাচন

বাংলাদেশে দেশি মুরগি, সোনালি, আসিলসহ বিভিন্ন স্থানীয় জাত রয়েছে। এদের মধ্যে যেসব প্রজাতি দ্রুত ডিম দেয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং স্থানীয় আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম, প্রজননের জন্য সেসব জাত নির্বাচন করা জরুরি।

উন্নত খাদ্য ব্যবস্থাপনা

ডিম ও প্রজনন বাড়াতে খাদ্যে ভারসাম্য থাকা আবশ্যক।

  • শস্য,ডাল, খুদ, ভুষি, মাছের গুঁড়ো, খনিজ ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাদ্য মুরগির প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়।
  • পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি সবসময় সরবরাহ করতে হবে।
  • নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ করলে ডিম উৎপাদনের হারও বাড়ে।

স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ

মুরগির প্রজনন বাড়াতে রোগ প্রতিরোধ জরুরি।

  • নিয়মিত টিকা দেওয়া দরকার (নিউক্যাসল,রানিখেত, গামবোরো)।
  • খাঁচা ও খামার পরিষ্কার রাখা আবশ্যক।
  • তুলসী,রসুন ও আদার মতো ভেষজ উপাদান রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনা

  • খাঁচা এমন হতে হবে যাতে আলো-বাতাস প্রবেশ করে।
  • মৌসুমি আবহাওয়া অনুযায়ী তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
  • প্রতিদিন ডিম সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিক হ্যাচারিতে পাঠানো উচিত।

কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি

বাংলাদেশে এখনও প্রাকৃতিক প্রজনন বেশি প্রচলিত। তবে কৃত্রিম ইনসেমিনেশন পদ্ধতি গ্রহণ করলে দ্রুত প্রজনন বাড়ে এবং মানসম্পন্ন বাচ্চা পাওয়া যায়।

জেনেটিক উন্নয়ন

  • দেশি মুরগির সঙ্গে উন্নত জাত ক্রস করলে ডিম ও মাংসের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
  • একই সঙ্গে দেশি জাতের খাঁটি বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করাও জরুরি।

প্রযুক্তির ব্যবহার

  • হ্যাচারি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প সময়ে অনেক বাচ্চা ফোটানো সম্ভব।
  • সেন্সর ও অ্যাপের মাধ্যমে খাদ্য,পানি ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

খামারিদের প্রশিক্ষণ

প্রজনন ও ডিম উৎপাদন বাড়াতে খামারিদের আধুনিক প্রযুক্তি, খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও টিকা প্রদানের বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষি অফিস ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (BLRI) ইতিমধ্যেই দেশি মুরগির প্রজনন উন্নয়নে কাজ করছে। পাশাপাশি বেসরকারি খামার ও উদ্যোক্তাদের যুক্ত করা গেলে এ খাত আরও গতিশীল হবে।

ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল

প্রজননের পাশাপাশি ডিম উৎপাদনও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

  • পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্য দিতে হবে।
  • রাতে কৃত্রিম আলো ব্যবহার করলে ডিম পাড়ার হার বাড়ে।
  • মুরগিকে চাপমুক্ত রাখলে প্রজনন ও ডিম উৎপাদন দুটোই বাড়ে।
  • দেশি ও উন্নত জাতের সঠিক অনুপাতের ক্রস ডিম উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক।

বিশেষজ্ঞ মতামত

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশি মুরগির সঠিক ব্যবস্থাপনা করা হলে প্রতিটি মুরগি বছরে গড়ে ১৪০ থেকে ১৬০টি ডিম দিতে পারে, যেখানে বর্তমানে অনেক খামারেই এটি ৮০ থেকে ১০০টির বেশি নয়। তাঁদের মতে, আধুনিক খামার প্রযুক্তি, টিকা প্রদান এবং জেনেটিক উন্নয়নের সমন্বয় ঘটাতে পারলে দেশি মুরগি বাংলাদেশের ডিম উৎপাদনের ঘাটতি পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে দেশি মুরগি শুধু আয় বাড়ায় না, বরং জনগণের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

কৃষকের অভিজ্ঞতা ও বাস্তব উদাহরণ

রাজশাহীর পুঠিয়ার কৃষক রফিকুল ইসলাম গত পাঁচ বছর ধরে দেশি মুরগি পালন করছেন। তিনি জানান, আগে মুরগিগুলো বছরে গড়ে ৭০ থেকে ৮০টি ডিম দিত। স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে উন্নত খাদ্য, নিয়মিত টিকা এবং হ্যাচারি মেশিন ব্যবহারের পর এখন প্রতিটি মুরগি বছরে ১৪০টির বেশি ডিম দিচ্ছে। এতে তাঁর মাসিক আয় দ্বিগুণ হয়েছে। একইভাবে কুমিল্লার মুরাদনগরের কৃষাণী রহিমা বেগম বলেন, “আমি আগে বাড়ির আঙিনায় ১০-১২টা দেশি মুরগি পালন করতাম। এখন আধুনিক পদ্ধতি শিখে ৫০টির বেশি মুরগি পালন করছি। এতে শুধু পরিবারের পুষ্টিই নিশ্চিত হচ্ছে না, বরং অতিরিক্ত ডিম বিক্রি করে ভালো আয় হচ্ছে।” এসব বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে, সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা থাকলে দেশি মুরগি বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে নতুন মাত্রা দিতে পারে।

বাংলাদেশি প্রজাতির মুরগি খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য সম্পদ। জাত নির্বাচন, উন্নত খাদ্য-স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং কৃষকের অভিজ্ঞতা বাস্তবায়ন করলে দেশি মুরগির প্রজনন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। এটি কেবল গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে না, বরং কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।