সেনাবাহিনীর যে অংশ তাঁর সমর্থক সেই অংশটিকে নিয়ে শক্তিবলে কমিউনিস্ট পার্টি এবং নিজের পার্টির বাম ঘেঁষাদের উপরে প্রচন্ডভাবে ঝাপিয়ে পড়েন।
কিন্তু মৈত্রীজোট মাত্র যখন ‘ওয়ারলর্ড’ বিনাশে নেমেছে সেসময়ে জাতীয়তাবাদী পার্টির সর্বেসর্বা সুন-ইয়াত-সেন ১৯২৫ সালে মারা যান। তাঁর মনোনীত পার্টি-উত্তরাধিকারী চিয়াং কাই শেক পার্টির প্রধান হন।
১৯২৭ সালে চিয়াং কাই শেক দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সুং মেই লিং-কে; (ব্যক্তিগত জীবনে সুং মেই লিং ছিলেন সুন-ইয়াত-সেনের শ্যালিকা এবং চীনের বিত্তশালীতম পরিবারগুলোর এক পরিবারের সদস্য এবং ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী মহিলা। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় তিনি জাতীয়তাবাদী পার্টির ‘চীনের’ পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় সমর্থনপ্রাপ্তি নিশ্চিত করেন। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট সুং মেই লিং তথা মিসেস কাই শেক-কে আমন্ত্রণ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অতিথি হিসেবে তিনি হোয়াইট হাউজে অবস্থান করেন)।
সুন-ইয়াত-সেন আর নেই। চিয়াং কাই শেক এবারে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পদক্ষেপ নেন। ‘ক্যান্টন ক্যু’-র মাধ্যমে তিনি কমিউনিস্ট পার্টি, “হামপোয়া একাডেমির” সোভিয়েত উপদেষ্টাদের এবং জাতীয়তাবাদী পাটির বাম ঘেঁষাদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযানে নামেন, যদিও নির্মাণ এক্সপিডিশন” তখন মাঝপথে রয়েছে। অতঃপর, ১৯২৭ সালের এপ্রিল মাসে চিয়াং ভাই শেক চুক্তি ভঙ্গ করেন এবং সেনাবাহিনীর যে অংশ তাঁর সমর্থক সেই অংশটিকে নিয়ে শক্তিবলে কমিউনিস্ট পার্টি এবং নিজের পার্টির বাম ঘেঁষাদের উপরে প্রচন্ডভাবে ঝাপিয়ে পড়েন।
শাংহাই-তে কমিউনিস্ট পার্টির কম করে তিনশ’জন প্রভাবশালী কমিউনিস্ট নিহত হন। চিয়াং কাই শেকের শুদ্ধি অভিযানের এই অধ্যায়টি “শাংহাই ম্যাসাকার” নামে পরিচিত। এই শুদ্ধি অভিযানের বিশুদ্ধ ফলাফল হলো। প্রথম ইউনাইটেড ফ্রন্টের মৃত্যু ঘটে।
নিজের পার্টির অভ্যন্তরস্থ বিরোধী অংশের উচ্ছেদ ঘটে এবং কমিউনিস পার্টিকে (আপাতত) খোঁড়া করে দেয়াতে- চিয়াং কাই শেকের জন্য সমগ্র চীনের নিয়ন্ত্রণ হস্তগত করার পথ সুগম হয়, যদিও অবশ্য গৃহযুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠে। তা সত্ত্বেও চিয়াং কাই শেক ১৯২৮ সালের মধ্যে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ও বিবিধ ধরনের রাজনৈতিক জোট করে সমগ্র চীন’কে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয়তাবাদী দলের নিয়ন্ত্রণে আনেন।
(চলবে)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭)
নাঈম হক 



















