কুমিনটং ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অনেক লিডার “হোয়ামপোয়া”-র সামরিক গ্রাজুয়েট ছিলেন
ইত্যবসরে, ১৯২০-য়ের দশকে চীনাদের মধ্যে চীনা জাতীয়তাবোধ এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মনোভাব দিনকে দিন প্রবৃদ্ধি পেতে থাকে। সেই ১৮৪০ সাল থেকে চীনারা বিদেশি শক্তিগুলোর কাছে পর্যায়ক্রমে সার্বভৌমত্ব হারাতে হারাতে শূন্য সার্বভৌমত্বে এসে পৌঁছেছে তখন।
কিন্তু নির্বাসন ফেরত সুন-ইয়াত-সেন অনুধাবন করেন যে সামরিক দৃষ্টিকোণের বিচারে (ক্যান্টনস্থ) তাঁর সরকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিপক্ষ ওয়ারলর্ডদেরকে উচ্ছেদ করতে সমর্থ নয়। সুন-ইয়াত-সেন তাই পশ্চিমের সাহায্য প্রার্থী হন। কিন্তু কোনো সাড়া পান না তিনি। অবশ্য সাহায্য আসে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত অভাবিত উৎস থেকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
ক্যান্টন বা গুয়াংজৌ-র খুব কাছেই সামরিক ট্রেনিং প্রদানের জন্য “হোয়ামপোয়া সামরিক একাডেমি” (Whampoa Military Academy) ছিল। সুন-ইয়াত-সেন একাডেমির পরিচালনার দায়িত্ব দেন বিশ্বস্ত সহচর চিয়াং কাই শেক-কে। একাডেমির অর্থায়ন ও নিয়মিত সামরিক গাইডেন্সের দায়িত্বে থাকে সোভিয়েতদের হাতে। কুমিনটং অচিরেই শক্তিশালী ও নিয়মশৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীতে পরিণত হয়। কুমিনটং ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অনেক লিডার “হোয়ামপোয়া”-র সামরিক গ্রাজুয়েট ছিলেন; যেমন: সমাজতন্ত্রী চীনের ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী জৌ এনলাই বা পিপল’স লিবারেশন আর্মির কমান্ডার লিন বিয়াও।
চীনে, অবশেষে ওয়ারলর্ডিজম-কে নির্মূল করার লক্ষ্যে ১৯২৪ সালে কুমিনটং ও কমিউনিস্ট পার্টি মৈত্রীজোটে আবদ্ধ হয়। এই জোট “প্রথম ইউনাইটেড ফ্রন্ট” (Lian E lian Gong) নামে পরিচিত। তাছাড়াও, এই জোটের দুই শরিকের অপ্রকাশিত অভ্যন্তরীর স্বার্থ ছিল এরকম: কমিউনিস্ট পার্টি কুমিনটং-য়ের সদস্য/ সমর্থকদের মধ্যে কমিউনিজম প্রচারে সক্ষম হবে এবং চিয়াং কাই শেক ভেবেছেন যে জোটের ভেতর থেকে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।
(চলবে)
নাঈম হক 



















