০২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
কিউবার পথে সর্বনাশের ছায়া ভেনিজুয়েলার তেলে মার্কিন অবরোধে দ্বীপ রাষ্ট্রে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা সৌদি সম্মানে ভূষিত পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির, দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্কে নতুন বার্তা ভ্যান্সকে ঘিরে ডানপন্থীদের নতুন সমীকরণ, ২০২৮ দৌড়ে আগাম প্রস্তুতি শুরু স্বাস্থ্য উপহারই এবার উৎসবের নতুন ট্রেন্ড চীনা প্রযুক্তিতে মার্কিন বিনিয়োগে কড়াকড়ি, নতুন আইনে নজরদারি ও প্রতিরক্ষা খাতে বড় বাঁক ক্ষমতার সীমা ভাঙার বছর ট্রাম্পের, বিতর্ক আর দ্রুত সিদ্ধান্তে কাঁপল হোয়াইট হাউস শহরের স্পন্দনে কুপ্রা: সিটি গ্যারেজে বদলে যাচ্ছে নগর সংস্কৃতির মানচিত্র ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত, ঋণের চাপ আর সংস্কারের চ্যালেঞ্জ: শ্রীলঙ্কা এক সংকটে আটকে পড়েছে জিএমের বৈশ্বিক দৌড় ফর্মুলা ওয়ানকে হাতিয়ার করে নতুন বাজারে আমেরিকার অটো জায়ান্ট মাদুরো পতনের ছক কি যুদ্ধ ডেকে আনবে ক্যারিবিয়ানে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭)

  • নাঈম হক
  • ০৯:০০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
  • 75

কুমিনটং ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অনেক লিডার “হোয়ামপোয়া”-র সামরিক গ্রাজুয়েট ছিলেন

ইত্যবসরে, ১৯২০-য়ের দশকে চীনাদের মধ্যে চীনা জাতীয়তাবোধ এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মনোভাব দিনকে দিন প্রবৃদ্ধি পেতে থাকে। সেই ১৮৪০ সাল থেকে চীনারা বিদেশি শক্তিগুলোর কাছে পর্যায়ক্রমে সার্বভৌমত্ব হারাতে হারাতে শূন্য সার্বভৌমত্বে এসে পৌঁছেছে তখন।

কিন্তু নির্বাসন ফেরত সুন-ইয়াত-সেন অনুধাবন করেন যে সামরিক দৃষ্টিকোণের বিচারে (ক্যান্টনস্থ) তাঁর সরকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিপক্ষ ওয়ারলর্ডদেরকে উচ্ছেদ করতে সমর্থ নয়। সুন-ইয়াত-সেন তাই পশ্চিমের সাহায্য প্রার্থী হন। কিন্তু কোনো সাড়া পান না তিনি। অবশ্য সাহায্য আসে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত অভাবিত উৎস থেকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।

ক্যান্টন বা গুয়াংজৌ-র খুব কাছেই সামরিক ট্রেনিং প্রদানের জন্য “হোয়ামপোয়া সামরিক একাডেমি” (Whampoa Military Academy) ছিল। সুন-ইয়াত-সেন একাডেমির পরিচালনার দায়িত্ব দেন বিশ্বস্ত সহচর চিয়াং কাই শেক-কে। একাডেমির অর্থায়ন ও নিয়মিত সামরিক গাইডেন্সের দায়িত্বে থাকে সোভিয়েতদের হাতে। কুমিনটং অচিরেই শক্তিশালী ও নিয়মশৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীতে পরিণত হয়। কুমিনটং ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অনেক লিডার “হোয়ামপোয়া”-র সামরিক গ্রাজুয়েট ছিলেন; যেমন: সমাজতন্ত্রী চীনের ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী জৌ এনলাই বা পিপল’স লিবারেশন আর্মির কমান্ডার লিন বিয়াও।

চীনে, অবশেষে ওয়ারলর্ডিজম-কে নির্মূল করার লক্ষ্যে ১৯২৪ সালে কুমিনটং ও কমিউনিস্ট পার্টি মৈত্রীজোটে আবদ্ধ হয়। এই জোট “প্রথম ইউনাইটেড ফ্রন্ট” (Lian E lian Gong) নামে পরিচিত। তাছাড়াও, এই জোটের দুই শরিকের অপ্রকাশিত অভ্যন্তরীর স্বার্থ ছিল এরকম: কমিউনিস্ট পার্টি কুমিনটং-য়ের সদস্য/ সমর্থকদের মধ্যে কমিউনিজম প্রচারে সক্ষম হবে এবং চিয়াং কাই শেক ভেবেছেন যে জোটের ভেতর থেকে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬)

জনপ্রিয় সংবাদ

কিউবার পথে সর্বনাশের ছায়া ভেনিজুয়েলার তেলে মার্কিন অবরোধে দ্বীপ রাষ্ট্রে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭)

০৯:০০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

কুমিনটং ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অনেক লিডার “হোয়ামপোয়া”-র সামরিক গ্রাজুয়েট ছিলেন

ইত্যবসরে, ১৯২০-য়ের দশকে চীনাদের মধ্যে চীনা জাতীয়তাবোধ এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মনোভাব দিনকে দিন প্রবৃদ্ধি পেতে থাকে। সেই ১৮৪০ সাল থেকে চীনারা বিদেশি শক্তিগুলোর কাছে পর্যায়ক্রমে সার্বভৌমত্ব হারাতে হারাতে শূন্য সার্বভৌমত্বে এসে পৌঁছেছে তখন।

কিন্তু নির্বাসন ফেরত সুন-ইয়াত-সেন অনুধাবন করেন যে সামরিক দৃষ্টিকোণের বিচারে (ক্যান্টনস্থ) তাঁর সরকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিপক্ষ ওয়ারলর্ডদেরকে উচ্ছেদ করতে সমর্থ নয়। সুন-ইয়াত-সেন তাই পশ্চিমের সাহায্য প্রার্থী হন। কিন্তু কোনো সাড়া পান না তিনি। অবশ্য সাহায্য আসে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত অভাবিত উৎস থেকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।

ক্যান্টন বা গুয়াংজৌ-র খুব কাছেই সামরিক ট্রেনিং প্রদানের জন্য “হোয়ামপোয়া সামরিক একাডেমি” (Whampoa Military Academy) ছিল। সুন-ইয়াত-সেন একাডেমির পরিচালনার দায়িত্ব দেন বিশ্বস্ত সহচর চিয়াং কাই শেক-কে। একাডেমির অর্থায়ন ও নিয়মিত সামরিক গাইডেন্সের দায়িত্বে থাকে সোভিয়েতদের হাতে। কুমিনটং অচিরেই শক্তিশালী ও নিয়মশৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীতে পরিণত হয়। কুমিনটং ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অনেক লিডার “হোয়ামপোয়া”-র সামরিক গ্রাজুয়েট ছিলেন; যেমন: সমাজতন্ত্রী চীনের ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী জৌ এনলাই বা পিপল’স লিবারেশন আর্মির কমান্ডার লিন বিয়াও।

চীনে, অবশেষে ওয়ারলর্ডিজম-কে নির্মূল করার লক্ষ্যে ১৯২৪ সালে কুমিনটং ও কমিউনিস্ট পার্টি মৈত্রীজোটে আবদ্ধ হয়। এই জোট “প্রথম ইউনাইটেড ফ্রন্ট” (Lian E lian Gong) নামে পরিচিত। তাছাড়াও, এই জোটের দুই শরিকের অপ্রকাশিত অভ্যন্তরীর স্বার্থ ছিল এরকম: কমিউনিস্ট পার্টি কুমিনটং-য়ের সদস্য/ সমর্থকদের মধ্যে কমিউনিজম প্রচারে সক্ষম হবে এবং চিয়াং কাই শেক ভেবেছেন যে জোটের ভেতর থেকে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬)