১২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও: পরিবর্তনের ভেতর টিকে থাকার অভিনয়শিল্পী কেপপ ডেমন হান্টার্স: আবেগ থেকে বৈশ্বিক উন্মাদনা, এক অ্যানিমেশনের অসম্ভব জয়যাত্রা ভেনিজুয়েলা প্রশ্নে ট্রাম্পে আস্থা, মাদুরো হটাতে পারলেই সব ক্ষমা ডোরালের নির্বাসিতদের কণ্ঠ যুদ্ধবিরতি ছাড়াই শেষ আসিয়ান বৈঠক, আবার আলোচনায় বসছে থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডেটা সেন্টারে বড় ঝাঁপ আদানির, পারমাণবিক বিদ্যুৎ নিয়েও ভাবনা হাদি হত্যায় তিন শ’ আসনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা শঙ্কা: জামায়াত চীনের নববর্ষে পর্যটনে উল্লম্ফন, ঘরোয়া ভোগ ব্যয়ে নতুন গতি শিশু যত্নসেবায় নতুন দিগন্ত: জাতীয় আইন আনছে চীন রাশিয়ার রাজধানীতে গাড়িবোমা হামলা, শীর্ষ সেনা জেনারেল নিহত চিংহাই-তিব্বত মালভূমিতে চার হাজার তিনশো মিটার উচ্চতায় প্রাগৈতিহাসিক মানুষের চিহ্ন, ইতিহাসে নতুন দিগন্ত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬)

  • নাঈম হক
  • ০৯:০০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • 83

ক্যান্টনের জাতীয়তাবাদী সরকার প্রধান বা ওয়ারলর্ড সুন-ইয়াত-সেন বেইইয়াং সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেন।

অনিবার্যভাবেই গুণে হয় ক্ষমতার স্বন্দ্ব। শিকাই ইয়ুয়ানের “বেইইয়াং সামরিক বাহিনী (Betiyang Army) প্রাক্তন ‘সামরিক ফ্রীক’ ও আঞ্চলিক গোরি যার যার তার তার চৌহদ্দির মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক বহু গড়ে খচিত চীন এক একজন ওয়ারলর্ডের আওতাধীন হয়। অর্থাৎ সমগ্র প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতায় নামে। সৃষ্টি হয় “ওয়ারলর্ড” সিস্টেমের। চীনকে জাতীয় ভিত্তিতে সংহত রেখে শাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ছিল না।

এই ওয়ারলর্ড গ্রুপের একজন ছিলেন সুন (সান) ইয়াত সেন; তবে তাঁর দল ব্যাপকভাবে ন্যাশনালিস্ট পার্টি নামে পরিচিত। সুন ইয়াত সেনের জাতীয়তাবাদী কুমিনটং সরকার ছিল ক্যান্টনে (গুয়াংজৌ)। ইয়ুয়ান শিকাই, যের মৃত্যুর পরে, পিকিং (বেজিং)-য়ের বেইইয়াং সরকার নিজেকে চীনের একমাত্র বৈধ সরকার হিসেবে দাবি করে। কিন্তু ক্যান্টনের জাতীয়তাবাদী সরকার প্রধান বা ওয়ারলর্ড সুন-ইয়াত-সেন বেইইয়াং সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেন।

সুন-ইয়াত-সেনের সঙ্গে তরুণ চিয়াং কাই শেকের প্রথম দেখা হয় জাপানে। সেসময়ে সুন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আইনবলে আশ্রয়চ্যুত হয়ে জাপানে নির্বাসন জীবনে ছিলেন এবং চিয়াং কাই শেক ছিলেন ১৯০৬ থেকে ১৯০৯ সাল স্থায়ী জাপানের সামরিক স্কুলের ছাত্র এবং ছাত্রজীবন শেষে জাপানের রাজকীয় সামরিক বাহিনীতে আরো দুই বছর (১৯১১) চাকরি করেন। তরুণ সপ্রতিভ চিয়াং কাই শেক-কে সুন-য়ের খুব পছন্দ হয়ে যায়।

১৯১৭ সালে সুন চীনে ফিরে আসেন; জাতীয়তাবাদী পার্টি বা কুমিনটং-য়ের নাম বদলে করেন “চীনের কুমিনটং বা কুমিনটং অব চায়না”; সুনের পরিকল্পনা ছিল- উত্তর চীনের ওয়ারলর্ডদের এবং পিকিং-য়ের বেইইয়াং সরকারকে পরাভূত করে প্রথমে পুরো চীনকে কুমিনটং-য়ের আওতায় আনা হবে এবং অতঃপর সারা চীনে গণতন্ত্রায়ণ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। সুন-য়ের বিবেচনায় চীন ধনি’র দেশও হবে না, নির্ধনের দেশও হবে না; চীন হবে ধনহীন, দরিদ্র সাধারণের দেশ। কুমিনটং-য়ের গাইডলাইন ছিল “জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র এবং সাধারণ মানুষের জীবিকা/অর্থোপার্জন।”

১৯১৮ সালে চিয়াং কাই শেক সুন-য়ের জাতীয়তাবাদী পার্টিতে যোগদান করেন।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫)

জনপ্রিয় সংবাদ

লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও: পরিবর্তনের ভেতর টিকে থাকার অভিনয়শিল্পী

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৬)

০৯:০০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

ক্যান্টনের জাতীয়তাবাদী সরকার প্রধান বা ওয়ারলর্ড সুন-ইয়াত-সেন বেইইয়াং সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেন।

অনিবার্যভাবেই গুণে হয় ক্ষমতার স্বন্দ্ব। শিকাই ইয়ুয়ানের “বেইইয়াং সামরিক বাহিনী (Betiyang Army) প্রাক্তন ‘সামরিক ফ্রীক’ ও আঞ্চলিক গোরি যার যার তার তার চৌহদ্দির মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক বহু গড়ে খচিত চীন এক একজন ওয়ারলর্ডের আওতাধীন হয়। অর্থাৎ সমগ্র প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতায় নামে। সৃষ্টি হয় “ওয়ারলর্ড” সিস্টেমের। চীনকে জাতীয় ভিত্তিতে সংহত রেখে শাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ছিল না।

এই ওয়ারলর্ড গ্রুপের একজন ছিলেন সুন (সান) ইয়াত সেন; তবে তাঁর দল ব্যাপকভাবে ন্যাশনালিস্ট পার্টি নামে পরিচিত। সুন ইয়াত সেনের জাতীয়তাবাদী কুমিনটং সরকার ছিল ক্যান্টনে (গুয়াংজৌ)। ইয়ুয়ান শিকাই, যের মৃত্যুর পরে, পিকিং (বেজিং)-য়ের বেইইয়াং সরকার নিজেকে চীনের একমাত্র বৈধ সরকার হিসেবে দাবি করে। কিন্তু ক্যান্টনের জাতীয়তাবাদী সরকার প্রধান বা ওয়ারলর্ড সুন-ইয়াত-সেন বেইইয়াং সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেন।

সুন-ইয়াত-সেনের সঙ্গে তরুণ চিয়াং কাই শেকের প্রথম দেখা হয় জাপানে। সেসময়ে সুন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আইনবলে আশ্রয়চ্যুত হয়ে জাপানে নির্বাসন জীবনে ছিলেন এবং চিয়াং কাই শেক ছিলেন ১৯০৬ থেকে ১৯০৯ সাল স্থায়ী জাপানের সামরিক স্কুলের ছাত্র এবং ছাত্রজীবন শেষে জাপানের রাজকীয় সামরিক বাহিনীতে আরো দুই বছর (১৯১১) চাকরি করেন। তরুণ সপ্রতিভ চিয়াং কাই শেক-কে সুন-য়ের খুব পছন্দ হয়ে যায়।

১৯১৭ সালে সুন চীনে ফিরে আসেন; জাতীয়তাবাদী পার্টি বা কুমিনটং-য়ের নাম বদলে করেন “চীনের কুমিনটং বা কুমিনটং অব চায়না”; সুনের পরিকল্পনা ছিল- উত্তর চীনের ওয়ারলর্ডদের এবং পিকিং-য়ের বেইইয়াং সরকারকে পরাভূত করে প্রথমে পুরো চীনকে কুমিনটং-য়ের আওতায় আনা হবে এবং অতঃপর সারা চীনে গণতন্ত্রায়ণ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। সুন-য়ের বিবেচনায় চীন ধনি’র দেশও হবে না, নির্ধনের দেশও হবে না; চীন হবে ধনহীন, দরিদ্র সাধারণের দেশ। কুমিনটং-য়ের গাইডলাইন ছিল “জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র এবং সাধারণ মানুষের জীবিকা/অর্থোপার্জন।”

১৯১৮ সালে চিয়াং কাই শেক সুন-য়ের জাতীয়তাবাদী পার্টিতে যোগদান করেন।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫)