‘হান-চীনাদের’ বিশাল অংশ- বিদেশি আক্রমণকারীদের হাত থেকে দেশ রক্ষায় “কিংজ রাজবংশের” অক্ষমতার প্রতি তীব্র বিতৃষ্ণ হয়ে উঠতে থাকে।
“বক্সার প্রটোকল” অনুযায়ি “কিংজ রাজবংশ” ক্ষয়ক্ষতির খেসারত বাবদ চারশ’ পঞ্চাশ মিলিয়ন রূপার “টেলস” (tacis- চীনা পরিমাপ, ৫০ গ্রামঃ। ২০১৮ সালের হিসেব মতে আর্থিক মূল্য দশ বিলিয়ন ডলার) দিতে বাধ্য থাকবে এবং উনচল্লিশ বছর মেয়াদের মধ্যে পরিশোধযোগ্য।
সরকারি কর্মচারিরা যারা বক্সার সমর্থক ছিল- তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে: বেজিং এবং বন্দর ও বন্দর এলাকায় বিদেশি সেনা পাহারাদারিতে মোতায়েন থাকবে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাছাড়াও, হংকং, শাংহাই, ক্যান্টন (গুয়াংজৌ) বন্দরসমূহে বিজয়ীদলকে যে ছাড় দিতে বাধ্য হয় পরাজিত চীন, সেগুলো ছিল “এক্সট্রা-টেরিটোরিয়ালিটি” মেজাজের।
এই “বক্সার প্রটোকল”ই পৌনে তিনশ’ বছর রাজত্বের পরে মাথঞ্জু প্রভাবিত “কিংজ-রাজবংশ কে অত্যন্ত দুর্বল অবস্থানে নিয়ে আসে। বিদেশি আক্রমণকারী দেশগুলোর দাপট ও কর্তৃত্বের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ তীব্রভাবে। জাতীয় পরিচয় ও সার্বভৌমত্ব হারানোর আত্মশ্লাঘা অনুভব করে। সাধারণভাবে চীনারা, বিশেষ করে ‘হান-চীনাদের’ বিশাল অংশ- বিদেশি আক্রমণকারীদের হাত থেকে দেশ রক্ষায় “কিংজ রাজবংশের” অক্ষমতার প্রতি তীব্র বিতৃষ্ণ হয়ে উঠতে থাকে।
ফলে, একাধিক বিদ্রোহ ও গণ-অভ্যুত্থান ঘটে। অবশেষে ১৯১১ সালে বিপ্লবের মাধ্যমে “কিংজ রাজবংশ” অপসারিত হয়। ১৯১২ সালে “ইয়ুয়ান শিকাই” (Yuan shikai) নিজেকে চীনা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন; বিবিধ ঘটনাবলির মধ্য দিয়ে চীনা প্রজাতন্ত্র অগ্রসর হতে থাকে। কিন্তু ১৯১৬ সালে ইয়ুয়ান শিকাই মারা যান, সৃষ্টি হয় ‘ক্ষমতার শূন্যতা’।
(চলবে)
নাঈম হক 



















