দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য বীজগণিতে সূত্র দেবার পর একটি উদাহরণ দিয়েছেন।
দৃষ্টান্তস্বরূপ ভাস্করাচার্যের বীজগণিত থেকে একটি উদাহরণ তুলে দেওয়া হল।
যাবত্তাবত, কালক-
নীলকবর্ণান্ত্রিপঞ্চসপ্ত ধনম্
দ্বিত্যেকমিতৈঃ ক্ষয়গৈঃ
সহিতা-রহিতাঃ কতি স্থান্তৈঃ।
ন্যাসঃ “যা ৩ কা৫ নী৭। যাং কার্ড নীয়। যোগে জাতং যা ১ কা ২ নী ৬। বিয়োগে জাতং যাও কা৮ নী৮।”
এখানে, এবং এর অর্থ २, -৩ এবং ১, অর্থাৎ উপযুক্ত আলোচনা আধুনিক বীজগণিতে করলে হবে,
বীজগণিতীয় গুণ সম্পর্কে ব্রহ্মগুপ্ত, দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য ব্যাপক আলোচনা করেছেন। দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য বীজগণিতে সূত্র দেবার পর একটি উদাহরণ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন-
যাবত্তাবত, ত্রয়মূণ মুণং কালকৌ নীলকঃ স্বং
রূপেণাহহঢ়্যা দ্বিগুণিতমিতৈ স্তৈ ও তৈরেব নিম্নাঃ।
কিং স্ক্যাসাতেযাং গুণনজফলং গুণ্যভক্তং চ কিং স্যাদ
গুণয়ক্ষাথ প্রকথয় কৃতিং মূলমক্ষাঃ কৃতেশ্চ।
ন্যাস: গুণ্যঃ যা ১ কা১ নী ১ রু ১
গুণক : যা কাঃ নী২ রু ২
“গুণিতে জাতং যাব ১৮ কাব ৮ নীব ২ যাকাভা ২৪ ঘনীভা১২ কানীভা যাসকাট নীওরু২।” আধুনিক বীজগণিতের ভাষায় প্রকাশ করলে দাড়ায়
– 3x – 2y + z + 1
– 6x – 4y + 2z + 2
18x² (=47x 2b)+ 8y ² + 2x ² 2 – 24xy – 12xx – 8yz – 12x – 8y + 8x + 2 .
বীজগণিতে ভাগ, বর্গ, বর্গমূল সম্পর্কে দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য, নারায়ণ জ্ঞানরাজ বেশ ভালভাবেই আলোচনা করেছেন।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৮২)