০৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
মিয়ানমারের অসম্পূর্ণ সাধারণ নির্বাচন: জানা দরকার পাঁচটি বিষয় জেলগেট থেকে ফের গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগ নেতা বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় রাষ্ট্রপতির দেশে ও বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে বড় উল্লম্ফন: বাংলাদেশ ব্যাংক আগামীতে ক্ষমতায় এলে মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবো: তারেক রহমান বিশ্বজুড়ে স্ট্রিমিং চাহিদায় কোরিয়ান নাটকের রপ্তানি ঊর্ধ্বমুখী শহরে বাড়ছে শিয়ালের উপস্থিতি, নগর পরিবেশে বন্যপ্রাণীর অভিযোজন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায় উপকূলীয় শহরের নগর পরিকল্পনায় বড় পরিবর্তন এশিয়ায় উন্নত চিপ উৎপাদন বাড়ায় বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহে পরিবর্তন গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অচলাবস্থা, কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৯৫)

নবম পরিচ্ছেদ

‘তোমার বাবার সঙ্গে পরিচয় ছিল,’ ক্যাপটেন বলল। ‘সে অনেক আগেকার কথা, সেই উনিশ শো সাত সালের। ওজেকিতে সামরিক কৌশলের মহড়ার সময় আলাপ হয়েছিল। তুমি তখন একদম বাচ্চা, তখনকার সঙ্গে মুখের সামান্য একটু মিল আছে এখন। আমাকে মনে নেই তোমার?’

‘ঠিক মনে পড়ছে না,’ ক্ষমাপ্রার্থীর ভঙ্গিতে জবাব দিলুম। ‘ওই মহড়ার কথা খুব অল্প-অল্প মনে আছে। আর তাছাড়া তখন ওখানে অনেক অফিসার ছিলেন তো।

ক্যাপুটেনের কথামতো আমার ওই ‘মুখের সামান্য মিল’-টুকু যদি না থাকত আর আমার সম্বন্ধে লোকটির যদি সামান্যতম সন্দেহ হত, তাহলে ও আমাকে মাত্র দুটি সহজ প্রশ্ন করে ঘায়েল করে দিতে পারত একটি আমার বাবা সম্বন্ধে, আরেকটি আমার ফৌজী ইশকুল সম্বন্ধে।

কিন্তু অফিসারটির মনে কোনো সন্দেহ ছিল না। গ্রামের মোড়লের কাছে নিজের পরিচয় না দেয়ার পক্ষে আমি যে যুক্তি দেখিয়েছিলুম তা ওর কাছে বিশ্বাসযোগ্য ঠেকেছিল। তাছাড়া, ওই সময়টায় ফৌজী ইশকুলের শিক্ষার্থীরা দলে দলে দোন-অঞ্চলের দিকে আসছিল বটে।

‘তোমার খুব খিদে পেয়েছে তো? পাখোমভ!’ সামোভার-সামলাতে-ব্যস্ত একজন সেপাইকে চে’চিয়ে ডেকে ক্যাপটেন বলল, ‘খাবার কী আছে?’

‘একটা বাচ্চা মুরগি আচে, হুজুর। সামোভারের জল এখুনি ফুটে উঠবে। পাদ্রির ইস্তিরি ময়দার তালটা বের করে নে’ গ্যাচে, নিমকিগুলো এখুনি ভাজা হয়ে যাবে’খন।’

‘দু-জনের জন্যে মাত্র একটা বাচ্চা মুরগি? উ’হা, খুজে পেতে আরও কিছু বার কর্ দিকি।’

‘খানিকটে শোরের চর্বি আর মুচমুচে মাংস-ভাজা আচে, হুজুর। কালকের ভারেনিকগুলা গরম করে দিতি পারি।’

‘ভারেনিকগুলো দে আর মুরগিটাও দিস, দে। জদি কর, জল্দি!’

এই সময় পাশের ঘরে টেলিফোন বেজে উঠল।

‘ক্যাপটেন শুভাৎ’স আপনাকে ফোনে ডাকছেন, স্যার!’

অফিসারটি ভাৎসকে দৃঢ় অথচ শান্ত, গম্ভীর গলায় নির্দেশগুলো জানিয়ে দিল।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের অসম্পূর্ণ সাধারণ নির্বাচন: জানা দরকার পাঁচটি বিষয়

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৯৫)

০৮:০০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নবম পরিচ্ছেদ

‘তোমার বাবার সঙ্গে পরিচয় ছিল,’ ক্যাপটেন বলল। ‘সে অনেক আগেকার কথা, সেই উনিশ শো সাত সালের। ওজেকিতে সামরিক কৌশলের মহড়ার সময় আলাপ হয়েছিল। তুমি তখন একদম বাচ্চা, তখনকার সঙ্গে মুখের সামান্য একটু মিল আছে এখন। আমাকে মনে নেই তোমার?’

‘ঠিক মনে পড়ছে না,’ ক্ষমাপ্রার্থীর ভঙ্গিতে জবাব দিলুম। ‘ওই মহড়ার কথা খুব অল্প-অল্প মনে আছে। আর তাছাড়া তখন ওখানে অনেক অফিসার ছিলেন তো।

ক্যাপুটেনের কথামতো আমার ওই ‘মুখের সামান্য মিল’-টুকু যদি না থাকত আর আমার সম্বন্ধে লোকটির যদি সামান্যতম সন্দেহ হত, তাহলে ও আমাকে মাত্র দুটি সহজ প্রশ্ন করে ঘায়েল করে দিতে পারত একটি আমার বাবা সম্বন্ধে, আরেকটি আমার ফৌজী ইশকুল সম্বন্ধে।

কিন্তু অফিসারটির মনে কোনো সন্দেহ ছিল না। গ্রামের মোড়লের কাছে নিজের পরিচয় না দেয়ার পক্ষে আমি যে যুক্তি দেখিয়েছিলুম তা ওর কাছে বিশ্বাসযোগ্য ঠেকেছিল। তাছাড়া, ওই সময়টায় ফৌজী ইশকুলের শিক্ষার্থীরা দলে দলে দোন-অঞ্চলের দিকে আসছিল বটে।

‘তোমার খুব খিদে পেয়েছে তো? পাখোমভ!’ সামোভার-সামলাতে-ব্যস্ত একজন সেপাইকে চে’চিয়ে ডেকে ক্যাপটেন বলল, ‘খাবার কী আছে?’

‘একটা বাচ্চা মুরগি আচে, হুজুর। সামোভারের জল এখুনি ফুটে উঠবে। পাদ্রির ইস্তিরি ময়দার তালটা বের করে নে’ গ্যাচে, নিমকিগুলো এখুনি ভাজা হয়ে যাবে’খন।’

‘দু-জনের জন্যে মাত্র একটা বাচ্চা মুরগি? উ’হা, খুজে পেতে আরও কিছু বার কর্ দিকি।’

‘খানিকটে শোরের চর্বি আর মুচমুচে মাংস-ভাজা আচে, হুজুর। কালকের ভারেনিকগুলা গরম করে দিতি পারি।’

‘ভারেনিকগুলো দে আর মুরগিটাও দিস, দে। জদি কর, জল্দি!’

এই সময় পাশের ঘরে টেলিফোন বেজে উঠল।

‘ক্যাপটেন শুভাৎ’স আপনাকে ফোনে ডাকছেন, স্যার!’

অফিসারটি ভাৎসকে দৃঢ় অথচ শান্ত, গম্ভীর গলায় নির্দেশগুলো জানিয়ে দিল।