ইসরায়েল গাজা সিটিতে স্থল অভিযানের নতুন ধাপের আগে রিজার্ভ ডাকা শুরু করেছে। সামরিক বাহিনী বলছে, লক্ষ্য ‘নির্দিষ্ট হুমকি নেটওয়ার্ক’ ভেঙে দেওয়া; তবে টানা বোমাবর্ষণ ও প্রবেশ–বেরোনোর সংঘাতে বেসামরিক মৃত্যুহার বাড়ার আশঙ্কা আবারও জোরালো। ক্যাবিনেট ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে কৌশলগত মতপার্থক্যের খবর রাজনীতির চাপও বাড়াচ্ছে। সীমান্ত শহরে সাইরেন ও রকেট প্রতিরক্ষা থাকার খবর আসছে, যা জনমতকে উত্তপ্ত করছে। পরিস্থিতি বদলাচ্ছে।
মাঠের পরিস্থিতি জটিল। টানেল, স্নাইপার পয়েন্ট ও আইইডি–ফাঁদের কারণে স্থল অগ্রগতি ধীর; শহুরে যুদ্ধের ঝুঁকি কমাতে ড্রোন ও সঠিক লক্ষ্যভেদী অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। একই সময়ে গাজায় বিদ্যুৎ, পানীয় জল ও চিকিৎসা সেবার সংকট গভীর হয়েছে—মানবিক করিডর নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি সীমিত। হাসপাতালগুলো জেনারেটরের ওপর নির্ভরশীল; ওষুধ, জ্বালানি ও সার্জিকাল সামগ্রীর স্বল্পতা আছে। মিডিয়া ব্ল্যাকআউটের অভিযোগ আছেও।
আঞ্চলিক কূটনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার সমান্তরাল মধ্যস্থতায় ব্যস্ত। বন্দি বিনিময়, সীমিত যুদ্ধবিরতি ও সহায়তা–স্কিম নিয়ে প্রস্তাব আসছে; কিন্তু মাটির বাস্তবতায় সন্দেহ জেগেছে এগুলো কতটা কার্যকর হবে। লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা ওঠানামা করছে, যা বড় আকার নিলে সংঘর্ষের ভৌগোলিক ক্ষেত্র বিস্তৃত হতে পারে এবং জ্বালানি বাজারেও প্রভাব ফেলতে পারে। ইউরোপীয় দেশগুলোও অস্ত্র রপ্তানি, যুদ্ধাপরাধ তদন্ত ও শরণার্থী ইস্যুতে ভিন্ন অবস্থান নিচ্ছে—সম্মিলিত নীতির অভাব স্পষ্ট।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















