গ্রেপ্তারের ঘটনা
লন্ডনে পার্লামেন্ট ভবনের কাছে শনিবার অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিন অ্যাকশন সমর্থন কর্মসূচি থেকে পুলিশ প্রায় ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এটি এখন পর্যন্ত কোনো একক বিক্ষোভ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্রেপ্তার।
নিষিদ্ধ সংগঠন ও সরকারের অবস্থান
ব্রিটিশ সরকার জুলাই মাসে ফিলিস্তিন অ্যাকশনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর আগে ওই সংগঠনের কিছু সদস্য রয়্যাল এয়ার ফোর্স ঘাঁটিতে প্রবেশ করে সামরিক বিমান ক্ষতিগ্রস্ত করে। এছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলাও চালানো হয়।
সরকার বলছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনকে সমর্থন করা আইনের লঙ্ঘন এবং এর শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি বলেন, গাজায় চলমান মানবিক সংকটে মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পারে, কিন্তু সেটিকে ফিলিস্তিন অ্যাকশন সমর্থনের সঙ্গে যুক্ত করা আইনসিদ্ধ নয়।

পুলিশি বক্তব্য
লন্ডন পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ৮৯০ জনের মধ্যে ৮৫৭ জনকে নিষিদ্ধ সংগঠনকে সমর্থন করার অভিযোগে ধরা হয়েছে। এছাড়া ১৭ জনকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, বিক্ষোভটি পরিকল্পিতভাবে সহিংসতায় রূপ দেওয়া হয়েছিল।
ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ক্লেয়ার স্মার্ট বলেন, কিছু গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্তি তৈরি করতে চেয়েছিল এবং এর ফলেই সহিংসতা ছড়ায়।
আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্য
কর্মসূচির আয়োজক সংগঠন “ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস” জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে পুরোহিত, যুদ্ধ-অভিজ্ঞ সেনা, স্বাস্থ্যকর্মী এবং অনেক বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী মানুষ ছিলেন। তারা ঘোষণা করেছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত গণআন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনা
মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করেছে, ফিলিস্তিন অ্যাকশনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত এবং এটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি
অনেক গ্রেপ্তারকৃতকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কতজন এখনও হেফাজতে রয়েছেন তা স্পষ্ট নয়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















