০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
পেলেলিউ: স্বর্গের গুয়ের্নিকা যে আঁকিয়ে ছেলের চোখে যুদ্ধের নগ্ন সত্য মানবস্পর্শে বদলে যাচ্ছে ভবিষ্যতের ট্যাক্সি বহর: ওয়েমোর গাড়িতে শিল্পীদের রঙিন ছোঁয়া জেমস এল ব্রুকসের ‘এলা ম্যাকে’: রাজনীতিকে কেন্দ্র করে ব্যর্থ হাস্যরসের এক ক্লান্তিকর প্রত্যাবর্তন এআই–নির্ভর ভবিষ্যৎ পরিবার: ব্রডওয়েতে ‘মার্জোরি প্রাইম’ মঞ্চে আলোচনার ঝড় নিদা ইয়াসির বিতর্ক: ডেলিভারি রাইডার মন্তব্যে ক্ষমা চাইলেন টিভি উপস্থাপক ৪১৫ হাজার বছর আগেই আগুন তৈরির প্রমাণ: ইংল্যান্ডে নব্য আবিষ্কার বদলে দিচ্ছে মানব বিবর্তনের ইতিহাস জেন জেডের উৎসবপ্রীতি বদলে গেল অভিজ্ঞতায় ঢামেকে সাংবাদিকের ওপর হাদির সমর্থকদের হামলা বাড্ডায় চলন্ত বাসে আগুন পাবনায় বিষাক্ত মদপানে দুই তরুণের মৃত্যু

যৌতুকের শিকার ভারতীয় নারীরা: প্রতিদিন নিভে যাচ্ছে ২০টি প্রাণ

নিষিদ্ধ হলেও যৌতুক প্রথা বহাল

ভারতে যৌতুক প্রথা আইনে নিষিদ্ধ হওয়ার পর কেটে গেছে ৬০ বছরেরও বেশি। তবুও এ প্রথা আজও সমাজে গভীরভাবে প্রোথিত। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ২০ জন নারী যৌতুক-সংক্রান্ত সহিংসতায় মারা যান।

গ্রেটার নয়ডার নৃশংস হত্যাকাণ্ড

উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনায় ২৮ বছর বয়সী নিকি ভাটিকে তার স্বামী আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। তার ছোট্ট ছেলে প্রতিবেশীদের জানিয়েছে, বাবা মাকে দাহ্য পদার্থ ঢেলে মারধর করে আগুন ধরিয়ে দেন। নিকির বোন কঞ্চনা, যিনি একই পরিবারের সদস্যকে বিয়ে করেছেন, মোবাইলে এ দৃশ্য ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন।

নিকি প্রায় এক দশক ধরে গৃহনির্যাতনের শিকার ছিলেন। তার স্বামী বিপিন ভাটি ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নগদ টাকা, গাড়ি ও নানা মূল্যবান সামগ্রী দাবি করত। সর্বশেষ দাবি ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার রুপি নগদ অর্থ, যা তার পরিবার দিতে পারেনি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে নিকির মৃত্যু হয়। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, ষড়যন্ত্র ও আঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

যৌতুককে ‘প্রথা’ হিসেবে দেখার প্রবণতা

নিকির হত্যার ভিডিও আলোচনায় এনে দিয়েছে যৌতুকের ভয়াবহ বাস্তবতা। আইনে নিষিদ্ধ হলেও সমাজ এখনও এটিকে অপরাধ হিসেবে দেখে না। বরং এটি ‘প্রথা’ বা ‘রেওয়াজ’ হিসেবে চালু রয়েছে।

নিকি তার বাবামাকে নির্যাতনের কথা জানালেও তারা পুলিশের কাছে না গিয়ে খাপ পঞ্চায়েতের কাছে যান। এপ্রিল মাসে খাপ পঞ্চায়েত দুই পরিবারের মধ্যে ‘সমঝোতা’ করে দিয়ে নিকিকে আবার শ্বশুরবাড়িতে পাঠায়। পরিবার সামাজিক সম্মান বাঁচাতে এ পথ বেছে নেয়।

আইনের কাঠামো ও বাস্তবতা

১৯৬১ সালে যৌতুক প্রতিরোধ আইন পাস হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারা (বর্তমানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ৮৫ ধারা) অনুযায়ী স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির সদস্য কর্তৃক নারীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণে তিন বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান রয়েছে। এছাড়া যৌতুকের কারণে বিবাহের সাত বছরের মধ্যে মৃত্যু ঘটলে ন্যূনতম সাত বছরের সাজা বাধ্যতামূলক।

তবুও ২০২২ সালের অপরাধ পরিসংখ্যান বলছে, সে বছর যৌতুক-সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬,৪৫০। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার নারী এ কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে সর্বোচ্চ ২,১৩৮টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, এরপরই রয়েছে বিহার ও মধ্যপ্রদেশ।

সমাজ ও পরিবারের ভূমিকা

নারীর ওপর বৈবাহিক সহিংসতাকে এখনও অনেক সময় ‘ব্যক্তিগত ব্যাপার’ হিসেবে দেখা হয়। নিকির বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সামাজিক নিয়মের কারণে তারা যৌতুক দিয়েছেন এবং বারবার মেয়েকে নির্যাতনের পরও শ্বশুরবাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছেন।

ঘটনার পর বিপিন ভাটি দাবি করেছেন, তিনি স্ত্রীকে হত্যা করেননি। তার ভাষায়, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়, এটা খুবই স্বাভাবিক।” যদিও পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

সামাজিক মাধ্যম ও নতুন যুক্তি

নিকি ও তার বোন সৌন্দর্যচর্চার ব্যবসা প্রচারের জন্য ইনস্টাগ্রামে ভিডিও বানাতেন। এ নিয়ে বিপিনের আপত্তি ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, যৌতুকের দাবিই ছিল হত্যার মূল কারণ, তবে সামাজিক মাধ্যম কার্যক্রম তার রাগকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

এদিকে, পুরুষ অধিকার কর্মীরা এ ধরনের ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ দাবি করছেন, নিকি হাসপাতালে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কথা বলেছিলেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, যৌতুক নির্যাতনের শিকার নারীরা প্রায়শই সামাজিক চাপে অপরাধীদের আড়াল করেন।

শিক্ষিত নারীরাও নিরাপদ নন

শিক্ষা ও আর্থিক স্বাধীনতা যৌতুক নির্যাতন ঠেকাতে যথেষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞ এস আনন্দী’র মতে, নারীরা অর্থ উপার্জন করলেও বিবাহে সামাজিক ও ভোগবাদী প্রত্যাশার চাপ তাদের ওপর বেড়েছে।

নিকির মৃত্যুর এক দিন পরই রাজস্থানের যোধপুরে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। স্কুলশিক্ষিকা সঞ্জু বিশ্নোই তার তিন বছরের কন্যাকে নিয়ে আগুনে ঝাঁপ দেন। আত্মহত্যার চিঠিতে তিনি যৌতুক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন। মা ও মেয়ে দুজনেরই মৃত্যু হয়।

যৌতুকের বাজারদর

ভারতের বিয়ের বাজারে বরদের পেশা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে যৌতুকের নির্দিষ্ট হার প্রচলিত। সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে কয়েক কোটি টাকা পর্যন্ত যৌতুক দাবি করা হয়।

গভীর সামাজিক সংকট

যৌতুকজনিত মৃত্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও লিঙ্গ সমতার জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। মেয়েদের বোঝা হিসেবে দেখা এবং দ্রুত বিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হওয়ার প্রবণতা যৌতুক মৃত্যুকে প্রতিদিনের ঘটনায় পরিণত করেছে।

ভারতের গভীর পিতৃতান্ত্রিক সমাজে মেয়েদের স্বাধীনতা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার এখনও অস্বীকৃত।

কবিতা চৌধুরী, স্বতন্ত্র সাংবাদিক। তিনি উন্নয়ন, রাজনীতি, লিঙ্গ ও সংস্কৃতি নিয়ে লেখেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

পেলেলিউ: স্বর্গের গুয়ের্নিকা যে আঁকিয়ে ছেলের চোখে যুদ্ধের নগ্ন সত্য

যৌতুকের শিকার ভারতীয় নারীরা: প্রতিদিন নিভে যাচ্ছে ২০টি প্রাণ

০৫:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিষিদ্ধ হলেও যৌতুক প্রথা বহাল

ভারতে যৌতুক প্রথা আইনে নিষিদ্ধ হওয়ার পর কেটে গেছে ৬০ বছরেরও বেশি। তবুও এ প্রথা আজও সমাজে গভীরভাবে প্রোথিত। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ২০ জন নারী যৌতুক-সংক্রান্ত সহিংসতায় মারা যান।

গ্রেটার নয়ডার নৃশংস হত্যাকাণ্ড

উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনায় ২৮ বছর বয়সী নিকি ভাটিকে তার স্বামী আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। তার ছোট্ট ছেলে প্রতিবেশীদের জানিয়েছে, বাবা মাকে দাহ্য পদার্থ ঢেলে মারধর করে আগুন ধরিয়ে দেন। নিকির বোন কঞ্চনা, যিনি একই পরিবারের সদস্যকে বিয়ে করেছেন, মোবাইলে এ দৃশ্য ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন।

নিকি প্রায় এক দশক ধরে গৃহনির্যাতনের শিকার ছিলেন। তার স্বামী বিপিন ভাটি ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নগদ টাকা, গাড়ি ও নানা মূল্যবান সামগ্রী দাবি করত। সর্বশেষ দাবি ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার রুপি নগদ অর্থ, যা তার পরিবার দিতে পারেনি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে নিকির মৃত্যু হয়। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, ষড়যন্ত্র ও আঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

যৌতুককে ‘প্রথা’ হিসেবে দেখার প্রবণতা

নিকির হত্যার ভিডিও আলোচনায় এনে দিয়েছে যৌতুকের ভয়াবহ বাস্তবতা। আইনে নিষিদ্ধ হলেও সমাজ এখনও এটিকে অপরাধ হিসেবে দেখে না। বরং এটি ‘প্রথা’ বা ‘রেওয়াজ’ হিসেবে চালু রয়েছে।

নিকি তার বাবামাকে নির্যাতনের কথা জানালেও তারা পুলিশের কাছে না গিয়ে খাপ পঞ্চায়েতের কাছে যান। এপ্রিল মাসে খাপ পঞ্চায়েত দুই পরিবারের মধ্যে ‘সমঝোতা’ করে দিয়ে নিকিকে আবার শ্বশুরবাড়িতে পাঠায়। পরিবার সামাজিক সম্মান বাঁচাতে এ পথ বেছে নেয়।

আইনের কাঠামো ও বাস্তবতা

১৯৬১ সালে যৌতুক প্রতিরোধ আইন পাস হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারা (বর্তমানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ৮৫ ধারা) অনুযায়ী স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির সদস্য কর্তৃক নারীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণে তিন বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান রয়েছে। এছাড়া যৌতুকের কারণে বিবাহের সাত বছরের মধ্যে মৃত্যু ঘটলে ন্যূনতম সাত বছরের সাজা বাধ্যতামূলক।

তবুও ২০২২ সালের অপরাধ পরিসংখ্যান বলছে, সে বছর যৌতুক-সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬,৪৫০। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার নারী এ কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে সর্বোচ্চ ২,১৩৮টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, এরপরই রয়েছে বিহার ও মধ্যপ্রদেশ।

সমাজ ও পরিবারের ভূমিকা

নারীর ওপর বৈবাহিক সহিংসতাকে এখনও অনেক সময় ‘ব্যক্তিগত ব্যাপার’ হিসেবে দেখা হয়। নিকির বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সামাজিক নিয়মের কারণে তারা যৌতুক দিয়েছেন এবং বারবার মেয়েকে নির্যাতনের পরও শ্বশুরবাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছেন।

ঘটনার পর বিপিন ভাটি দাবি করেছেন, তিনি স্ত্রীকে হত্যা করেননি। তার ভাষায়, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়, এটা খুবই স্বাভাবিক।” যদিও পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

সামাজিক মাধ্যম ও নতুন যুক্তি

নিকি ও তার বোন সৌন্দর্যচর্চার ব্যবসা প্রচারের জন্য ইনস্টাগ্রামে ভিডিও বানাতেন। এ নিয়ে বিপিনের আপত্তি ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, যৌতুকের দাবিই ছিল হত্যার মূল কারণ, তবে সামাজিক মাধ্যম কার্যক্রম তার রাগকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

এদিকে, পুরুষ অধিকার কর্মীরা এ ধরনের ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ দাবি করছেন, নিকি হাসপাতালে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কথা বলেছিলেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, যৌতুক নির্যাতনের শিকার নারীরা প্রায়শই সামাজিক চাপে অপরাধীদের আড়াল করেন।

শিক্ষিত নারীরাও নিরাপদ নন

শিক্ষা ও আর্থিক স্বাধীনতা যৌতুক নির্যাতন ঠেকাতে যথেষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞ এস আনন্দী’র মতে, নারীরা অর্থ উপার্জন করলেও বিবাহে সামাজিক ও ভোগবাদী প্রত্যাশার চাপ তাদের ওপর বেড়েছে।

নিকির মৃত্যুর এক দিন পরই রাজস্থানের যোধপুরে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। স্কুলশিক্ষিকা সঞ্জু বিশ্নোই তার তিন বছরের কন্যাকে নিয়ে আগুনে ঝাঁপ দেন। আত্মহত্যার চিঠিতে তিনি যৌতুক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন। মা ও মেয়ে দুজনেরই মৃত্যু হয়।

যৌতুকের বাজারদর

ভারতের বিয়ের বাজারে বরদের পেশা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে যৌতুকের নির্দিষ্ট হার প্রচলিত। সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে কয়েক কোটি টাকা পর্যন্ত যৌতুক দাবি করা হয়।

গভীর সামাজিক সংকট

যৌতুকজনিত মৃত্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও লিঙ্গ সমতার জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। মেয়েদের বোঝা হিসেবে দেখা এবং দ্রুত বিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হওয়ার প্রবণতা যৌতুক মৃত্যুকে প্রতিদিনের ঘটনায় পরিণত করেছে।

ভারতের গভীর পিতৃতান্ত্রিক সমাজে মেয়েদের স্বাধীনতা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার এখনও অস্বীকৃত।

কবিতা চৌধুরী, স্বতন্ত্র সাংবাদিক। তিনি উন্নয়ন, রাজনীতি, লিঙ্গ ও সংস্কৃতি নিয়ে লেখেন।