০৩:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পুনরায় ডলারের মূল্য পতনের আশঙ্কা

সংক্ষিপ্তসার

  • যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ও আর্থিক ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগে ডলার চাপের মধ্যে
  • ফেডের আক্রমণাত্মক সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ডলারকে দুর্বল করতে পারে
  • বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সম্পদ থেকে ঝুঁকি কমাতে পুনঃবিন্যাসের চিন্তায়

ডলারের সাম্প্রতিক স্থিতি

বছরের প্রথমার্ধে রেকর্ড পতনের পর সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন ডলার কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। তবে মুদ্রা বাজারে অনেকেই মনে করেন, ডলার এখনও দুর্বল প্রবণতায় আছে এবং সামনে নতুন পতনের মুখোমুখি হতে পারে।

ডলার সূচক গত জুন পর্যন্ত ছয় মাসে প্রায় ১১ % কমেছিল, যা ইতিহাসে অন্যতম বড় পতন। সম্প্রতি ফিউচার মার্কেটে ডলারের বিপক্ষে বাজি কিছুটা কমলেও বাজার বিশ্লেষকরা এটিকে মূলত সাময়িক বিরতি হিসেবে দেখছেন।

উদ্বেগের কারণ

অনেক বিনিয়োগকারীর কাছে প্রধান উদ্বেগ হলো—

  • যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত ঘাটতি (বাজেট ও বাণিজ্য ঘাটতি)
  • শ্রমবাজার দুর্বল হলে ফেড আরও দ্রুত সুদের হার কমাতে পারে
  • বৈশ্বিক ফান্ড ম্যানেজাররা ঝুঁকি কমাতে ডলারের উপর নির্ভরতা হ্রাসের পথে যেতে পারেন

ইনসাইট ইনভেস্টমেন্টের মুদ্রা বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সেস্কা ফর্নাসারি বলেন, “ডলারের পতন প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি, আরও নিচে নামার সম্ভাবনা আছে।”

ফেড নীতির প্রভাব

দুর্বল কর্মসংস্থান তথ্য ফেডকে আরও আগ্রাসীভাবে সুদ কমানোর সুযোগ দিচ্ছে। এতে ডলারের সুদজনিত সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আমুন্ডির মুদ্রা কৌশল বিশেষজ্ঞ পারেশ উপাধ্যায় বলেন, “বাজার এখন ভাবছে মার্কিন অর্থনীতি কতটা দুর্বল হবে এবং সেটি ফেড নীতিকে কতটা প্রভাবিত করবে।”

বিশ্লেষকদের ধারণা, ফেড আগামী সপ্তাহ থেকেই আবার সুদ কমাতে শুরু করবে এবং বছরের বাকি সময়ও তা অব্যাহত রাখবে।

বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের চাপ

বহু বছর ধরে মার্কিন অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থান বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের মার্কিন সম্পদের প্রতি অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ করেছে। শুল্ক ও বাণিজ্য অস্থিরতার পর কিছু বিনিয়োগকারী তাদের অবস্থান সমন্বয় শুরু করলেও কাজটি এখনো শেষ হয়নি।

ডয়চে ব্যাংকের মতে, বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের হাতে মার্কিন

পুনরায় ডলারের মূল্য পতনের আশঙ্কা

১১:০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সংক্ষিপ্তসার

  • যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ও আর্থিক ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগে ডলার চাপের মধ্যে
  • ফেডের আক্রমণাত্মক সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ডলারকে দুর্বল করতে পারে
  • বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সম্পদ থেকে ঝুঁকি কমাতে পুনঃবিন্যাসের চিন্তায়

ডলারের সাম্প্রতিক স্থিতি

বছরের প্রথমার্ধে রেকর্ড পতনের পর সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন ডলার কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। তবে মুদ্রা বাজারে অনেকেই মনে করেন, ডলার এখনও দুর্বল প্রবণতায় আছে এবং সামনে নতুন পতনের মুখোমুখি হতে পারে।

ডলার সূচক গত জুন পর্যন্ত ছয় মাসে প্রায় ১১ % কমেছিল, যা ইতিহাসে অন্যতম বড় পতন। সম্প্রতি ফিউচার মার্কেটে ডলারের বিপক্ষে বাজি কিছুটা কমলেও বাজার বিশ্লেষকরা এটিকে মূলত সাময়িক বিরতি হিসেবে দেখছেন।

উদ্বেগের কারণ

অনেক বিনিয়োগকারীর কাছে প্রধান উদ্বেগ হলো—

  • যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত ঘাটতি (বাজেট ও বাণিজ্য ঘাটতি)
  • শ্রমবাজার দুর্বল হলে ফেড আরও দ্রুত সুদের হার কমাতে পারে
  • বৈশ্বিক ফান্ড ম্যানেজাররা ঝুঁকি কমাতে ডলারের উপর নির্ভরতা হ্রাসের পথে যেতে পারেন

ইনসাইট ইনভেস্টমেন্টের মুদ্রা বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সেস্কা ফর্নাসারি বলেন, “ডলারের পতন প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি, আরও নিচে নামার সম্ভাবনা আছে।”

ফেড নীতির প্রভাব

দুর্বল কর্মসংস্থান তথ্য ফেডকে আরও আগ্রাসীভাবে সুদ কমানোর সুযোগ দিচ্ছে। এতে ডলারের সুদজনিত সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আমুন্ডির মুদ্রা কৌশল বিশেষজ্ঞ পারেশ উপাধ্যায় বলেন, “বাজার এখন ভাবছে মার্কিন অর্থনীতি কতটা দুর্বল হবে এবং সেটি ফেড নীতিকে কতটা প্রভাবিত করবে।”

বিশ্লেষকদের ধারণা, ফেড আগামী সপ্তাহ থেকেই আবার সুদ কমাতে শুরু করবে এবং বছরের বাকি সময়ও তা অব্যাহত রাখবে।

বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের চাপ

বহু বছর ধরে মার্কিন অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থান বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের মার্কিন সম্পদের প্রতি অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ করেছে। শুল্ক ও বাণিজ্য অস্থিরতার পর কিছু বিনিয়োগকারী তাদের অবস্থান সমন্বয় শুরু করলেও কাজটি এখনো শেষ হয়নি।

ডয়চে ব্যাংকের মতে, বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের হাতে মার্কিন