মধ্যস্থতার শহরে বিস্ফোরণ
কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে—যে দেশটি গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এ অভিযানে রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর কথা বলেছে; দোহা এ ঘটনাকে সার্বভৌমত্বের গুরুতর লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে। প্রাথমিক খবরে কয়েকজন হামাস সদস্যের মৃত্যুর কথা জানা গেছে, তবে শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা বেঁচে গেছেন।
আলোচনার পথ সঙ্কুচিত
এই হামলা এমন এক সময়ে আঘাত হেনেছে, যখন মধ্যস্থতাকারীরা বন্দিমুক্তি ও যুদ্ধবিরতির ধাপে ধাপে অগ্রগতি খুঁজছিলেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, ঘটনা উভয় পক্ষের অবস্থান আরও শক্ত করবে, ফলে যে কোনো সমঝোতা—ছাড়, বিরতি ও যাচাইয়ের ক্রম—আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
আঞ্চলিক প্রতিধ্বনি
প্রতিবেশী উপসাগরীয় দেশগুলো নিজেদের নিরাপত্তা, জ্বালানি বাজার ও সহযোগিতার ওপর প্রভাব বিবেচনা করছে। ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয় অংশীদারেরা সংযমের আহ্বান জানিয়েছে, কারণ ভুল হিসাব দ্রুত গাজা ছাড়িয়ে যেতে পারে। মধ্যস্থতাকারী দেশের ভেতরে হামলা কূটনৈতিক ঝুঁকিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
নজরে যা থাকছে
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো ও ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভার বার্তা ঠিক করবে, মধ্যস্থতাকারীরা কোনো পথ উদ্ধার করতে পারেন কি না। বন্দিমুক্তি, নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা স্বীকৃতির মতো শর্তাবলীতে প্রকাশ্য অবস্থান ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।