১২:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চতুর্দশ নির্বাচন থেকে ফিরছে ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞায় সৈয়দপুর থেকে পোশাক রফতানি অর্ধেকে নেমে গেছে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল, জাকারিয়া পিন্টু ও সামিত সোম রামপুরায় বিটিভির সামনে পার্কিং করা বাসে আগুন, কারণ এখনো অজানা হাতীবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় আগুন: মুখোশধারীদের হামলার ভিডিও ভাইরাল পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক গাজীপুরে কলোনিতে দাওয়াল আগুন—মিনিটেই ছাই শতাধিক শ্রমিকঘর হরমোন থেরাপি নিয়ে নতুন নির্দেশনা ও বাড়তে থাকা দ্বিধা আলিবাবা প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা’এর অ্যান্ট গ্রুপ সফর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উদ্যোগ জোরদার এক দিনে সংসদ ও গণভোটের কর্মপরিকল্পনা চায় দলগুলো

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সমঝোতায় গুরুত্ব সরকারের

সমকালের একটি শিরোনাম “জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সমঝোতায় গুরুত্ব সরকারের”

সংবিধান সংস্কারে সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোট নয়, রাজনৈতিক সমঝোতাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সময় দিতে চায় সরকার। এর আগে সনদ বাস্তবায়নের কোনো পদ্ধতি চাপিয়ে দিতে চায় না।

গতকাল রোববার ৩০ রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন বার্তা দিয়েছেন। তিনি কমিশনের সভাপতি।

গতকাল রোববারের সংলাপের মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সমঝোতার জন্য আলোচনা অব্যাহত রাখতে কমিশনের মেয়াদ আবারও বাড়ানো হচ্ছে।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তৃতীয় ধাপের সংলাপে জুলাই সনদের বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যে সমঝোতার রাস্তা শুরু করেছি, তা থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সমঝোতায় আসতেই হবে। জাতি হিসেবে আমাদের নবযাত্রার সুযোগ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দিয়ে গেল, সেটার একমাত্র সমাধান হলো সমঝোতার পথে গিয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা।’

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “ড্রেজিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সাশ্রয় ১৮ কোটি টাকা”

চট্টগ্রাম বন্দরের নাব্যতা বাড়াতে কর্ণফুলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এর ফলে বড় জাহাজ আর লাইটার জাহাজের চলাচল এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। সদরঘাট থেকে বাকলিয়াচর পর্যন্ত নদীর গভীরতা বেড়েছে ৪ মিটার। ফলে জেটিতে বড় জাহাজ ভিড়তে পারছে। নদীতে আরও বেশিসংখ্যক লাইটার জাহাজও স্বাচ্ছন্দ্যে নোঙর করছে।

প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত ব্যয় ছিল ২৯৫ কোটি টাকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২৭৭ কোটি টাকা। এতে বন্দরের সাশ্রয় হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। নদীর নাব্যতা বাড়ানো এবং বন্দরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করাই ছিল এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।

ড্রেজিং প্রকল্পের প্রথম দফা শুরু হয় ২০১১ সালে। মালয়েশিয়ান মেরিটাইম অ্যান্ড ড্রেজিং করপোরেশন (এমএমডিসি) কাজের দায়িত্ব পায়। স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে ছিল প্যাসিফিক মেরিন সার্ভিস। কিন্তু ঠিকাদারের অসফলতার কারণে চুক্তি বাতিল করতে হয়। প্রতিষ্ঠানটি আইনি জটিলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ তোলায় প্রকল্প প্রায় পাঁচ বছরের জন্য স্থবির হয়ে পড়ে।

২০১৮ সালে দ্বিতীয় দফার নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়। দেশীয় প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেকের সহযোগী ই-ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ শুরু করে। সদরঘাট থেকে বাকলিয়াচর পর্যন্ত নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, মাটি উত্তোলন ও খনন কার্যক্রম ছিল প্রধান লক্ষ্য। প্রকল্পে ৬২ লাখ ঘনমিটার মাটি উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের মে পর্যন্ত। কাজ চলাকালে নদীর তলদেশে জমে থাকা পলিথিন, প্লাস্টিক ও গৃহস্থালির বর্জ্য বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “স্থানীয় সরকারের অনুমোদন নিয়ে দেশে গড়ে উঠছে হাজার হাজার কোচিং সেন্টার”

দেশে নিবন্ধিত কোচিং সেন্টারের সংখ্যা ৬ হাজার ৫৮৭। এর মধ্যে একাডেমিক ৬ হাজার ৩১২টি ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি বা চাকরিসংক্রান্ত কোচিং সেন্টার রয়েছে আরো ২৭৫টি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জরিপ ২০২৪’-এ উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য। শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা যদিও বলছেন, নিবন্ধনহীন কোচিং সেন্টারের সংখ্যা আরো কয়েক গুণ। রাজধানীর পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে স্কুল-কলেজের আশপাশে দেখা মিলছে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের। এসব কোচিং সেন্টার শিক্ষাসংশ্লিষ্ট হলেও নিবন্ধন বা অনুমোদন দেয়া হচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান—সিটি করপোরেশ, পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কোনো তদারকি নেই বললেই চলে।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর ১১১ নং ধারা, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯-এর ৭৯ নং ধারা এবং স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৮২ নং ধারায় এসব প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেয়ার বিধান রয়েছে। এর সুযোগ নিয়েই কোচিং সেন্টারগুলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মতো নিবন্ধন নিচ্ছে এবং নিজেদের কার্যক্রমকে বৈধ দাবি করছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান কীভাবে চলবে, শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক কত হবে, সে বিষয়ে কোনো নীতিমালা নেই।

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ.ন.ম. মোফাখখারুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে বোর্ডের মাধ্যমে নিবন্ধন নিয়ে থাকে। বোর্ডের পক্ষ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের মান বজায় রাখার জন্য পরিদর্শনেরও নিয়ম রয়েছে। তবে কোচিং সেন্টারগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আওতায় না থাকায় এগুলোয় তেমন কোনো পরিদর্শন হয় না।’

তিনি আরো বলেন, ‘কোচিং সেন্টারগুলো যে এভাবে অবাধে চলছে তার পেছনে নানামুখী কারণ রয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিসহ অনেকেই এসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ কারণে কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে কিংবা নীতিমালার আওতায় আনতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি, অন্যথায় এগুলোর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে”

দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে একযোগে কাজ করে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণতন্ত্র হলো একটি সর্বজনীন মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক পদ্ধতি, জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিসর নির্ধারণে স্বাধীনভাবে প্রকাশিত ইচ্ছা এবং জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাদের পূর্ণ অংশগ্রহণের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার এক নজীরবিহীন গণঅভ্যুত্থানে ৫ই আগস্ট ইতিহাসে এক ভয়ঙ্কর স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। এখন তাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমাদের একযোগে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সকল মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ।

তারেক রহমান বলেন, ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫ই সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালিত হয়ে আসছে। গণতন্ত্রের সারবত্তা ও এর অন্তর্নিহিত শক্তি সম্পর্কে বিশ্ব সমপ্রদায়ের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যেই এই দিবসটি পালিত হয়। ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে গণতন্ত্র চর্চার লক্ষ্যে প্রচলিত একটি বিশেষ দিন। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, আহতদের সমবেদনা জানাচ্ছি। সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন একদলীয় বাকশালের আগ্রাসী থাবা থেকে। তার কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মর্মমূলে ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র। আর প্রকৃত গণতন্ত্রের ভিত্তিই হচ্ছে- মানবিক মর্যাদা, ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্য। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অগ্রগামী করেছিলেন শহীদ জিয়ার চিন্তা ও দর্শনকে। আর এজন্য তাকে সহ্য করতে হয়েছে বিভিন্ন সময়ের স্বৈরতন্ত্রের হিংস্র আক্রমণ।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকেই বারবার স্বৈরতন্ত্র হানা দিয়েছে। রাজনৈতিক দল ও সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা, ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা ইত্যাদি অনাচার করা হয়েছে রাষ্ট্রশক্তিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে। একটি ভীতিকর ও কর্তৃত্ববাদী পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছিল ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে ধরে রাখার স্বপ্নে বিভোর হয়ে। গত দেড় দশক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আত্মপ্রকাশে গণতন্ত্র ছিল অবরুদ্ধ, বন্দি রাখা হয়েছিল সারা জাতিকে। গণতন্ত্রের নীতিমালা প্রচার ও সমুন্নত রাখার যেকোনো প্রচেষ্টাকেই পতিত আওয়ামী সরকার নির্দয়ভাবে প্রতিহত করেছে।

তিনি বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের মূল প্রতিপাদ্য- ‘অ্যাচিভিং জেন্ডার ইকুইলিটি অ্যাকশন বাই অ্যাকশন’ অর্থাৎ পদক্ষেপের পর পদক্ষেপ গ্রহণ করে লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে হবে। গণতন্ত্রে নারী-পুরুষ বা অন্য যেকোনো লিঙ্গের মানুষ লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের সমান সুযোগ ও মর্যাদা লাভ করে। এটি একটি মূল মানবাধিকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র-সমাজে কেউ বঞ্চনার শিকার হলে জোরালো প্রতিবাদের পরিবেশ থাকে, সে কারণে নারী-পুরুষ বা অন্য যেকোনো লিঙ্গের ভেদরেখা তীব্র হতে পারে না এবং ক্রমান্বয়ে সমানাধিকার নিশ্চিত হওয়ার পথে অগ্রসর হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চতুর্দশ নির্বাচন থেকে ফিরছে

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সমঝোতায় গুরুত্ব সরকারের

০৮:৫৫:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সমঝোতায় গুরুত্ব সরকারের”

সংবিধান সংস্কারে সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোট নয়, রাজনৈতিক সমঝোতাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সময় দিতে চায় সরকার। এর আগে সনদ বাস্তবায়নের কোনো পদ্ধতি চাপিয়ে দিতে চায় না।

গতকাল রোববার ৩০ রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন বার্তা দিয়েছেন। তিনি কমিশনের সভাপতি।

গতকাল রোববারের সংলাপের মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সমঝোতার জন্য আলোচনা অব্যাহত রাখতে কমিশনের মেয়াদ আবারও বাড়ানো হচ্ছে।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তৃতীয় ধাপের সংলাপে জুলাই সনদের বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যে সমঝোতার রাস্তা শুরু করেছি, তা থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সমঝোতায় আসতেই হবে। জাতি হিসেবে আমাদের নবযাত্রার সুযোগ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দিয়ে গেল, সেটার একমাত্র সমাধান হলো সমঝোতার পথে গিয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা।’

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “ড্রেজিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সাশ্রয় ১৮ কোটি টাকা”

চট্টগ্রাম বন্দরের নাব্যতা বাড়াতে কর্ণফুলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এর ফলে বড় জাহাজ আর লাইটার জাহাজের চলাচল এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। সদরঘাট থেকে বাকলিয়াচর পর্যন্ত নদীর গভীরতা বেড়েছে ৪ মিটার। ফলে জেটিতে বড় জাহাজ ভিড়তে পারছে। নদীতে আরও বেশিসংখ্যক লাইটার জাহাজও স্বাচ্ছন্দ্যে নোঙর করছে।

প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত ব্যয় ছিল ২৯৫ কোটি টাকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২৭৭ কোটি টাকা। এতে বন্দরের সাশ্রয় হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। নদীর নাব্যতা বাড়ানো এবং বন্দরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করাই ছিল এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।

ড্রেজিং প্রকল্পের প্রথম দফা শুরু হয় ২০১১ সালে। মালয়েশিয়ান মেরিটাইম অ্যান্ড ড্রেজিং করপোরেশন (এমএমডিসি) কাজের দায়িত্ব পায়। স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে ছিল প্যাসিফিক মেরিন সার্ভিস। কিন্তু ঠিকাদারের অসফলতার কারণে চুক্তি বাতিল করতে হয়। প্রতিষ্ঠানটি আইনি জটিলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ তোলায় প্রকল্প প্রায় পাঁচ বছরের জন্য স্থবির হয়ে পড়ে।

২০১৮ সালে দ্বিতীয় দফার নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়। দেশীয় প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেকের সহযোগী ই-ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ শুরু করে। সদরঘাট থেকে বাকলিয়াচর পর্যন্ত নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, মাটি উত্তোলন ও খনন কার্যক্রম ছিল প্রধান লক্ষ্য। প্রকল্পে ৬২ লাখ ঘনমিটার মাটি উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের মে পর্যন্ত। কাজ চলাকালে নদীর তলদেশে জমে থাকা পলিথিন, প্লাস্টিক ও গৃহস্থালির বর্জ্য বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “স্থানীয় সরকারের অনুমোদন নিয়ে দেশে গড়ে উঠছে হাজার হাজার কোচিং সেন্টার”

দেশে নিবন্ধিত কোচিং সেন্টারের সংখ্যা ৬ হাজার ৫৮৭। এর মধ্যে একাডেমিক ৬ হাজার ৩১২টি ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি বা চাকরিসংক্রান্ত কোচিং সেন্টার রয়েছে আরো ২৭৫টি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জরিপ ২০২৪’-এ উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য। শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা যদিও বলছেন, নিবন্ধনহীন কোচিং সেন্টারের সংখ্যা আরো কয়েক গুণ। রাজধানীর পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে স্কুল-কলেজের আশপাশে দেখা মিলছে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের। এসব কোচিং সেন্টার শিক্ষাসংশ্লিষ্ট হলেও নিবন্ধন বা অনুমোদন দেয়া হচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান—সিটি করপোরেশ, পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কোনো তদারকি নেই বললেই চলে।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর ১১১ নং ধারা, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯-এর ৭৯ নং ধারা এবং স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৮২ নং ধারায় এসব প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেয়ার বিধান রয়েছে। এর সুযোগ নিয়েই কোচিং সেন্টারগুলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মতো নিবন্ধন নিচ্ছে এবং নিজেদের কার্যক্রমকে বৈধ দাবি করছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান কীভাবে চলবে, শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক কত হবে, সে বিষয়ে কোনো নীতিমালা নেই।

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ.ন.ম. মোফাখখারুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে বোর্ডের মাধ্যমে নিবন্ধন নিয়ে থাকে। বোর্ডের পক্ষ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের মান বজায় রাখার জন্য পরিদর্শনেরও নিয়ম রয়েছে। তবে কোচিং সেন্টারগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আওতায় না থাকায় এগুলোয় তেমন কোনো পরিদর্শন হয় না।’

তিনি আরো বলেন, ‘কোচিং সেন্টারগুলো যে এভাবে অবাধে চলছে তার পেছনে নানামুখী কারণ রয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিসহ অনেকেই এসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ কারণে কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে কিংবা নীতিমালার আওতায় আনতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি, অন্যথায় এগুলোর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে”

দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে একযোগে কাজ করে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণতন্ত্র হলো একটি সর্বজনীন মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক পদ্ধতি, জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিসর নির্ধারণে স্বাধীনভাবে প্রকাশিত ইচ্ছা এবং জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাদের পূর্ণ অংশগ্রহণের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার এক নজীরবিহীন গণঅভ্যুত্থানে ৫ই আগস্ট ইতিহাসে এক ভয়ঙ্কর স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। এখন তাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমাদের একযোগে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সকল মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ।

তারেক রহমান বলেন, ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫ই সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালিত হয়ে আসছে। গণতন্ত্রের সারবত্তা ও এর অন্তর্নিহিত শক্তি সম্পর্কে বিশ্ব সমপ্রদায়ের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যেই এই দিবসটি পালিত হয়। ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে গণতন্ত্র চর্চার লক্ষ্যে প্রচলিত একটি বিশেষ দিন। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, আহতদের সমবেদনা জানাচ্ছি। সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন একদলীয় বাকশালের আগ্রাসী থাবা থেকে। তার কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মর্মমূলে ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র। আর প্রকৃত গণতন্ত্রের ভিত্তিই হচ্ছে- মানবিক মর্যাদা, ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্য। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অগ্রগামী করেছিলেন শহীদ জিয়ার চিন্তা ও দর্শনকে। আর এজন্য তাকে সহ্য করতে হয়েছে বিভিন্ন সময়ের স্বৈরতন্ত্রের হিংস্র আক্রমণ।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকেই বারবার স্বৈরতন্ত্র হানা দিয়েছে। রাজনৈতিক দল ও সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা, ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা ইত্যাদি অনাচার করা হয়েছে রাষ্ট্রশক্তিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে। একটি ভীতিকর ও কর্তৃত্ববাদী পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছিল ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে ধরে রাখার স্বপ্নে বিভোর হয়ে। গত দেড় দশক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আত্মপ্রকাশে গণতন্ত্র ছিল অবরুদ্ধ, বন্দি রাখা হয়েছিল সারা জাতিকে। গণতন্ত্রের নীতিমালা প্রচার ও সমুন্নত রাখার যেকোনো প্রচেষ্টাকেই পতিত আওয়ামী সরকার নির্দয়ভাবে প্রতিহত করেছে।

তিনি বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের মূল প্রতিপাদ্য- ‘অ্যাচিভিং জেন্ডার ইকুইলিটি অ্যাকশন বাই অ্যাকশন’ অর্থাৎ পদক্ষেপের পর পদক্ষেপ গ্রহণ করে লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে হবে। গণতন্ত্রে নারী-পুরুষ বা অন্য যেকোনো লিঙ্গের মানুষ লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের সমান সুযোগ ও মর্যাদা লাভ করে। এটি একটি মূল মানবাধিকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র-সমাজে কেউ বঞ্চনার শিকার হলে জোরালো প্রতিবাদের পরিবেশ থাকে, সে কারণে নারী-পুরুষ বা অন্য যেকোনো লিঙ্গের ভেদরেখা তীব্র হতে পারে না এবং ক্রমান্বয়ে সমানাধিকার নিশ্চিত হওয়ার পথে অগ্রসর হয়।