গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলিতে চীনের শেয়ার লক্ষ্যবস্তু
চীনের বন্দর নেটওয়ার্কের পাল্টা হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক কৌশল শুরু করেছে। ওয়াশিংটন পশ্চিমা কোম্পানিগুলোকে সহায়তা দিয়ে ভূমধ্যসাগর থেকে ক্যারিবিয়ান পর্যন্ত কৌশলগত টার্মিনালে চীনা অংশীদারি কেনার পথ খুঁজছে। আশঙ্কা হচ্ছে—সংকটে বেইজিং বন্দর প্রবেশাধিকারের মাধ্যমে গোয়েন্দা তৎপরতা, লজিস্টিক সহায়তা বা প্রভাব খাটাতে পারে। সময়রেখা স্পষ্ট না হলেও এটি সমুদ্রশক্তি পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দেয়।পিরাইয়ুস ও পানামা নজরদারিতে
চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত গোষ্ঠী, বিশেষ করে COSCO, গ্রিসের পিরাইয়ুসসহ ইউরোপ ও ক্যারিবিয়ানের বড় কিছু বন্দরে অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নজর পিরাইয়ুস, স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া ও বিলবাও, এবং জামাইকার কিংস্টনের ট্রানশিপমেন্ট বন্দরে। জিব্রালটার প্রণালীর মতো আটকে যাওয়ার ঝুঁকিও ওয়াশিংটন পর্যালোচনা করেছে।
নীতিযন্ত্র: জাহাজ নির্মাণ, রেজিস্ট্রি, ফি
কৌশলের অংশ হিসেবে দেশীয় জাহাজ নির্মাণ জাগিয়ে তোলা, ইউএস-নিয়ন্ত্রিত রেজিস্ট্রির প্রণোদনা এবং চীনা নির্মিত/চীনা পতাকাবাহী জাহাজে ফি আরোপ আলোচনায় আছে। উদ্দেশ্য—বিদেশি নৌযানের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে সরবরাহ শৃঙ্খলকে দৃঢ় করা।
বেইজিংয়ের জবাব: ‘জবরদস্তি’ নয়
চীন বলছে, তাদের বিনিয়োগ আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যে এবং যুক্তরাষ্ট্র ‘অর্থনৈতিক জবরদস্তি’ করছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যবাহী রুট নিয়ন্ত্রণে প্রতিযোগিতা তীব্র হবে—যা দক্ষিণ এশিয়ার রপ্তানি, বিশেষত বাংলাদেশের গার্মেন্টস সরবরাহ শৃঙ্খলেও প্রভাব ফেলতে পারে।
চীনের বৈশ্বিক বন্দর প্রভাব কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের বড়সড় সামুদ্রিক উদ্যোগ
-
সারাক্ষণ রিপোর্ট
- ০৪:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- 21
জনপ্রিয় সংবাদ