০২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিমানবন্দরের জন্য নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’ মিয়ানমারের কালোবাজারি যুদ্ধ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করছে ফেড সুদের হার কমাল, আরও কমানোর ইঙ্গিত; নতুন গভর্নর মিরানের ভিন্ন মত এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনা: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মামলা বোয়িং ও হানিওয়েলের বিরুদ্ধে “ভারতের আরবান কোম্পানির শেয়ার বাজারে অভিষেক: প্রথম দিনেই ৭৪% উল্লম্ফন, বাজারমূল্য ছুঁল ৩ বিলিয়ন ডলার” ভারতের চালের মজুত সর্বকালের সর্বোচ্চ, গমেও চার বছরের রেকর্ড ব্রিটেনের সিদ্ধান্ত: এই সপ্তাহান্তে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি জাপান ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে না যে সাক্ষাৎকারটি নেয়নি মোদির উত্তরসূরি নিয়ে জল্পনা সত্ত্বেও ক্ষমতায় দৃঢ় অবস্থান

ভোটের মাঠে জোটের আলাপ

সমকালের একটি শিরোনাম “জামায়াতের আন্দোলনের পাল্টা বিএনপির নির্বাচনী আবহ”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচনের দাবিতে কয়েকটি দল সঙ্গে নিয়ে জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলনের বিপরীতে কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি। পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে সারাদেশে নির্বাচনী আবহ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এ জন্য সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাই, দলীয় ৩১ দফা ও ইতিবাচক কাজ প্রচার, ভোটারের মন জয়ে বাড়ি বাড়ি যাওয়া, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করবেন নেতারা।

গত সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলীয় সূত্রগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী এই দলগুলো আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথে মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাচ্ছে। যদিও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সব দলকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দূরত্ব কমিয়ে আনার তাগিদ দেওয়া হয়েছিল।

বিএনপি মনে করছে, জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলনের উদ্দেশ্য নির্বাচনের আগে মাঠের কর্তৃত্ব নিজেদের দখলে রাখা এবং নেতকর্মীদের চাঙ্গা রাখা। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি নিজ দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনমুখী করার কৌশল নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে জনসম্পৃক্তিমূলক কাজ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, জুলাই সনদের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ কয়েকটি অভিন্ন দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে নামছে জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ একাধিক সমমনা দল। প্রাথমিকভাবে এই দলগুলো ঢাকাসহ দেশব্যাপী তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ধারাবাহিকভাবে আরও কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বিএনপি মনে করছে, সরকার ও বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবেই এ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই এর বিকল্প হিসেবে নিজ দলের নেতাকর্মীদের মাঠে নামানোর কৌশলকেই উত্তম বলে মনে করছেন তারা।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “ভোটের মাঠে জোটের আলাপ”

ঘোষণা অনুযায়ী পাঁচ মাস পর আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। সে হিসাবে ভোটের তফসিল ঘোষণার সময় হাতে আছে আর মাত্র তিন-সাড়ে তিন মাস। কিন্তু জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও ভোটের পদ্ধতিসহ কিছু বিষয় নিয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এখন পরিষ্কার দুই ধারায় বিভক্ত। এ বিষয়ে আলোচনা ও দর-কষাকষির মধ্যে একই দাবি ও কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ তিনটি দল।

ভোটের মাঠে তাই হঠাৎ করে চাঙা হয়েছে জোটের আলাপ। তবে কি দলগুলো সমমনাদের সঙ্গে নিয়ে শক্তি বাড়াতে চাইছে? ভোট সামনে রেখে দলগুলো কি জোট গড়ার চেষ্টায় আছে?

গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে প্রধান দল হয়ে উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মূলত এই তিন দলকেই ভোটের মাঠের প্রধান শক্তি হিসেবে ধরা হচ্ছে, আর নির্বাচনী জোটের আলাপও ঘুরছে তাদের কেন্দ্র করে।

বিগত সরকারের সময় সমমনা দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে ছিল বিএনপি। সেই দলগুলোকে নিয়ে এখনো এক ছাতার নিচেই আছে দলটি। পাশাপাশি অন্য আরও দলকে কীভাবে এই ছাতার নিচে আনা যায়, সে নিয়ে ভেতরে-ভেতরে চেষ্টা চলছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

একইভাবে জামায়াতে ইসলামীও তাদের সমমনাদের সঙ্গে নিয়ে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। তবে নির্বাচন ঘিরে দলগুলোর সম্মিলিত যাত্রা জোট-মোর্চায় গড়াবে নাকি, অন্য কোনো কাঠামোয় রূপ নেবে, তা এখনো ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন দলগুলোর নেতারা।

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে বিভিন্ন সময়ে। এসব আলোচনার ভিত্তিতেই বিএনপি ও সমমনারা একসঙ্গে নির্বাচন করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। তবে জোট হবে, নাকি আসন সমঝোতা হবে—সে নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এক্ষেত্রে অন্তত অর্ধশত আসন ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, জোটের বিষয়ে এখনো বলার সময় আসেনি। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর এ বিষয়টি দৃশ্যমান হবে। তবে সব ধরনের চিন্তা মাথায় রেখে কাজ করতে হয়, বিএনপি তা-ই করছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদে অনুমোদন পেল পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণ প্রস্তাব”

দুর্বল হয়ে পড়া শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংককে একীভূত করে একটি ব্যাংকে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে চলতি সপ্তাহে সবক’টি ব্যাংকে প্রশাসক বসানো হবে। আর সে দায়িত্ব পাবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। প্রশাসককে সহায়তা করতে নিয়োগ দেয়া হবে আরো চারজন কর্মকর্তা। নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসক দলই একীভূতরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবেন। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংক হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ও এক্সিম ব্যাংক পিএলসি। এর প্রথম চারটি ব্যাংকেরই নিয়ন্ত্রণ ছিল এস আলম গ্রুপের হাতে। আর এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্ষদে পাস হওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংক নিয়ে প্রাথমিকভাবে একটি নতুন রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক হবে। এ ব্যাংকের নাম হতে পারে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’। নতুন এ ব্যাংকের জন্য শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংক লাইসেন্স ইস্যু করবে। ব্যাংকটির মূলধন জোগান দেয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা দেয়া হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমানত বীমা ট্রাস্ট তহবিল থেকে ঋণ দেয়া হবে আরো ১৫ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে অন্যান্য উৎস থেকেও মূলধন সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী গঠিত হলে এটি হবে দেশের সর্ববৃহৎ মূলধনের ব্যাংক।

একীভূতকরণের পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়ে নবগঠিত ব্যাংকের একটি পূর্ণাঙ্গ আকার আসতে প্রায় দুই বছর সময় লাগবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে প্রশাসক দল নিয়োগ দেয়া হলেও তারা ব্যাংকের কাউকে প্রতিস্থাপিত করবে না। ব্যাংকগুলোর বর্তমান পর্ষদ ও প্রশাসক দল যৌথভাবে কাজ করবে। প্রশাসক দল কাজ করার সময় ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ধীরে ধীরে নিষ্ক্রীয় হয়ে যাবে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “পদ্মার ইলিশ কাল থেকে কলকাতার বাজারে”

এবার সীমান্তের ওপাড়ের মানুষ বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ পাবেন। প্রথম কয়েকটি ট্রাকভর্তি পদ্মার ইলিশ বুধবার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে এবং বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতার বাজারে ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য টেলিগ্রাফ। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৩৭ জন রপ্তানিকারককে ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দেয়। এর ফলে সোমবার থেকেই প্যাকেজিং করা কমপক্ষে ছয় ট্রাক ইলিশ সারাদিন অনুমতির অপেক্ষায় থাকার পর অবশেষে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নির্দেশনা এলো প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ৮ই সেপ্টেম্বরের সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায়। সেসময় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ১২০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেয়া হয়। ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস বলেন, বুধবার পদ্মার ইলিশ বাংলায় প্রবেশ করবে। দাম নির্ধারণের পর মাছ খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাধারণ মানুষ তাজা ইলিশ পাবেন। আমদানিকারকদের মতে, মাছ সীমান্ত পেরিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় তাদের কাছে পৌঁছালে দাম নির্ধারণ করা হবে। একজন আমদানিকারক জানান, এবার বাংলাদেশ প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি মূল্য ২.৫ ডলার বাড়িয়েছে। এখনকার রফতানি মূল্য কেজি প্রতি ১২.৫০ ডলার, যা গত বছর ছিল ১০ ডলার। এর সঙ্গে শুল্ক, পরিবহন খরচ, আমদানিকারক, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতার মুনাফা যোগ হয়ে বাজারে যাবে।

গত বছর দুর্গাপূজা মৌসুমে এক কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছিল ১৬০০ থেকে ১৮০০ রুপি দরে। এ বছর দাম আরও বেশি হবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১৬ই সেপ্টেম্বর থেকে ৫ই অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ২০ দিনের জন্য ইলিশ রফতানির অনুমতি থাকবে। প্রতিটি রপ্তানিকারকের জন্য নির্দিষ্ট কোটাও নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো রপ্তানিকারক তার অনুমোদিত সীমার বাইরে ইলিশ রফতানি করতে পারবে না।

কলকাতার আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, ভারতীয় বাঙালিরা অনুমোদিত পরিমাণের অর্ধেক ইলিশও পাবেন কি না। কারণ এ বছর ইলিশ আহরণ কম হয়েছে বলে খবর আছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রথম লটে মাত্র ১২-১৫ টন ইলিশ আসছে। কলকাতার চাহিদার তুলনায় এটি অত্যন্ত কম। এই চালান দিয়ে জেলা পর্যন্ত পৌঁছানোই সম্ভব হবে না।

গত বছর শেখ হাসিনার পতন ও বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রথমে ভারতকে কোনো ইলিশ পাঠানো হয়নি। পরে ভারতীয় আমদানিকারক ও বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের চাপে ২৪০০ টনের অনুমোদন দেয়া হয়। তারপরও মাত্র ৫৭৭ টন ইলিশ ভারতে পৌঁছেছিল স্টক ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে। এ বছর ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, সরবরাহ গত বছরের অর্ধেকেরও কম হতে পারে।

বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলো জানিয়েছে যে, এ বছর ইলিশ আহরণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। একজন ব্যবসায়ী বলেন, প্রথম লটের ইলিশ যথেষ্ট নয়। পরবর্তী চালানগুলোতে ভালো খবর পাওয়ার আশা করি।

বিমানবন্দরের জন্য নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

ভোটের মাঠে জোটের আলাপ

০৯:০০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “জামায়াতের আন্দোলনের পাল্টা বিএনপির নির্বাচনী আবহ”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচনের দাবিতে কয়েকটি দল সঙ্গে নিয়ে জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলনের বিপরীতে কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি। পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে সারাদেশে নির্বাচনী আবহ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এ জন্য সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাই, দলীয় ৩১ দফা ও ইতিবাচক কাজ প্রচার, ভোটারের মন জয়ে বাড়ি বাড়ি যাওয়া, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করবেন নেতারা।

গত সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলীয় সূত্রগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী এই দলগুলো আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথে মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাচ্ছে। যদিও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সব দলকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দূরত্ব কমিয়ে আনার তাগিদ দেওয়া হয়েছিল।

বিএনপি মনে করছে, জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলনের উদ্দেশ্য নির্বাচনের আগে মাঠের কর্তৃত্ব নিজেদের দখলে রাখা এবং নেতকর্মীদের চাঙ্গা রাখা। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি নিজ দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনমুখী করার কৌশল নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে জনসম্পৃক্তিমূলক কাজ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, জুলাই সনদের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ কয়েকটি অভিন্ন দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে নামছে জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ একাধিক সমমনা দল। প্রাথমিকভাবে এই দলগুলো ঢাকাসহ দেশব্যাপী তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ধারাবাহিকভাবে আরও কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বিএনপি মনে করছে, সরকার ও বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবেই এ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই এর বিকল্প হিসেবে নিজ দলের নেতাকর্মীদের মাঠে নামানোর কৌশলকেই উত্তম বলে মনে করছেন তারা।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “ভোটের মাঠে জোটের আলাপ”

ঘোষণা অনুযায়ী পাঁচ মাস পর আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। সে হিসাবে ভোটের তফসিল ঘোষণার সময় হাতে আছে আর মাত্র তিন-সাড়ে তিন মাস। কিন্তু জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও ভোটের পদ্ধতিসহ কিছু বিষয় নিয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এখন পরিষ্কার দুই ধারায় বিভক্ত। এ বিষয়ে আলোচনা ও দর-কষাকষির মধ্যে একই দাবি ও কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ তিনটি দল।

ভোটের মাঠে তাই হঠাৎ করে চাঙা হয়েছে জোটের আলাপ। তবে কি দলগুলো সমমনাদের সঙ্গে নিয়ে শক্তি বাড়াতে চাইছে? ভোট সামনে রেখে দলগুলো কি জোট গড়ার চেষ্টায় আছে?

গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে প্রধান দল হয়ে উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মূলত এই তিন দলকেই ভোটের মাঠের প্রধান শক্তি হিসেবে ধরা হচ্ছে, আর নির্বাচনী জোটের আলাপও ঘুরছে তাদের কেন্দ্র করে।

বিগত সরকারের সময় সমমনা দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে ছিল বিএনপি। সেই দলগুলোকে নিয়ে এখনো এক ছাতার নিচেই আছে দলটি। পাশাপাশি অন্য আরও দলকে কীভাবে এই ছাতার নিচে আনা যায়, সে নিয়ে ভেতরে-ভেতরে চেষ্টা চলছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

একইভাবে জামায়াতে ইসলামীও তাদের সমমনাদের সঙ্গে নিয়ে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। তবে নির্বাচন ঘিরে দলগুলোর সম্মিলিত যাত্রা জোট-মোর্চায় গড়াবে নাকি, অন্য কোনো কাঠামোয় রূপ নেবে, তা এখনো ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন দলগুলোর নেতারা।

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে বিভিন্ন সময়ে। এসব আলোচনার ভিত্তিতেই বিএনপি ও সমমনারা একসঙ্গে নির্বাচন করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। তবে জোট হবে, নাকি আসন সমঝোতা হবে—সে নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এক্ষেত্রে অন্তত অর্ধশত আসন ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, জোটের বিষয়ে এখনো বলার সময় আসেনি। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর এ বিষয়টি দৃশ্যমান হবে। তবে সব ধরনের চিন্তা মাথায় রেখে কাজ করতে হয়, বিএনপি তা-ই করছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদে অনুমোদন পেল পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণ প্রস্তাব”

দুর্বল হয়ে পড়া শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংককে একীভূত করে একটি ব্যাংকে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে চলতি সপ্তাহে সবক’টি ব্যাংকে প্রশাসক বসানো হবে। আর সে দায়িত্ব পাবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। প্রশাসককে সহায়তা করতে নিয়োগ দেয়া হবে আরো চারজন কর্মকর্তা। নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসক দলই একীভূতরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবেন। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংক হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ও এক্সিম ব্যাংক পিএলসি। এর প্রথম চারটি ব্যাংকেরই নিয়ন্ত্রণ ছিল এস আলম গ্রুপের হাতে। আর এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্ষদে পাস হওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংক নিয়ে প্রাথমিকভাবে একটি নতুন রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক হবে। এ ব্যাংকের নাম হতে পারে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’। নতুন এ ব্যাংকের জন্য শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংক লাইসেন্স ইস্যু করবে। ব্যাংকটির মূলধন জোগান দেয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা দেয়া হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমানত বীমা ট্রাস্ট তহবিল থেকে ঋণ দেয়া হবে আরো ১৫ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে অন্যান্য উৎস থেকেও মূলধন সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী গঠিত হলে এটি হবে দেশের সর্ববৃহৎ মূলধনের ব্যাংক।

একীভূতকরণের পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়ে নবগঠিত ব্যাংকের একটি পূর্ণাঙ্গ আকার আসতে প্রায় দুই বছর সময় লাগবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে প্রশাসক দল নিয়োগ দেয়া হলেও তারা ব্যাংকের কাউকে প্রতিস্থাপিত করবে না। ব্যাংকগুলোর বর্তমান পর্ষদ ও প্রশাসক দল যৌথভাবে কাজ করবে। প্রশাসক দল কাজ করার সময় ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ধীরে ধীরে নিষ্ক্রীয় হয়ে যাবে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “পদ্মার ইলিশ কাল থেকে কলকাতার বাজারে”

এবার সীমান্তের ওপাড়ের মানুষ বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ পাবেন। প্রথম কয়েকটি ট্রাকভর্তি পদ্মার ইলিশ বুধবার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে এবং বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতার বাজারে ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য টেলিগ্রাফ। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৩৭ জন রপ্তানিকারককে ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দেয়। এর ফলে সোমবার থেকেই প্যাকেজিং করা কমপক্ষে ছয় ট্রাক ইলিশ সারাদিন অনুমতির অপেক্ষায় থাকার পর অবশেষে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নির্দেশনা এলো প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ৮ই সেপ্টেম্বরের সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায়। সেসময় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ১২০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেয়া হয়। ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস বলেন, বুধবার পদ্মার ইলিশ বাংলায় প্রবেশ করবে। দাম নির্ধারণের পর মাছ খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাধারণ মানুষ তাজা ইলিশ পাবেন। আমদানিকারকদের মতে, মাছ সীমান্ত পেরিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় তাদের কাছে পৌঁছালে দাম নির্ধারণ করা হবে। একজন আমদানিকারক জানান, এবার বাংলাদেশ প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি মূল্য ২.৫ ডলার বাড়িয়েছে। এখনকার রফতানি মূল্য কেজি প্রতি ১২.৫০ ডলার, যা গত বছর ছিল ১০ ডলার। এর সঙ্গে শুল্ক, পরিবহন খরচ, আমদানিকারক, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতার মুনাফা যোগ হয়ে বাজারে যাবে।

গত বছর দুর্গাপূজা মৌসুমে এক কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছিল ১৬০০ থেকে ১৮০০ রুপি দরে। এ বছর দাম আরও বেশি হবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১৬ই সেপ্টেম্বর থেকে ৫ই অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ২০ দিনের জন্য ইলিশ রফতানির অনুমতি থাকবে। প্রতিটি রপ্তানিকারকের জন্য নির্দিষ্ট কোটাও নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো রপ্তানিকারক তার অনুমোদিত সীমার বাইরে ইলিশ রফতানি করতে পারবে না।

কলকাতার আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, ভারতীয় বাঙালিরা অনুমোদিত পরিমাণের অর্ধেক ইলিশও পাবেন কি না। কারণ এ বছর ইলিশ আহরণ কম হয়েছে বলে খবর আছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রথম লটে মাত্র ১২-১৫ টন ইলিশ আসছে। কলকাতার চাহিদার তুলনায় এটি অত্যন্ত কম। এই চালান দিয়ে জেলা পর্যন্ত পৌঁছানোই সম্ভব হবে না।

গত বছর শেখ হাসিনার পতন ও বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রথমে ভারতকে কোনো ইলিশ পাঠানো হয়নি। পরে ভারতীয় আমদানিকারক ও বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের চাপে ২৪০০ টনের অনুমোদন দেয়া হয়। তারপরও মাত্র ৫৭৭ টন ইলিশ ভারতে পৌঁছেছিল স্টক ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে। এ বছর ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, সরবরাহ গত বছরের অর্ধেকেরও কম হতে পারে।

বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলো জানিয়েছে যে, এ বছর ইলিশ আহরণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। একজন ব্যবসায়ী বলেন, প্রথম লটের ইলিশ যথেষ্ট নয়। পরবর্তী চালানগুলোতে ভালো খবর পাওয়ার আশা করি।