শ্যামলীতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা
রাজধানীর শ্যামলীতে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ মিছিল থেকে আটক কয়েকজনকে ককটেল ফাটিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শিশু মেলার মোড় থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আগারগাঁওয়ের দিকে মিছিল নিয়ে গেলে পুলিশ ৫-৬ জনকে আটক করে।
কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে মোটরসাইকেলে আসা আরেকটি দল ২৫-৩০টি বাইক নিয়ে উপস্থিত হয়। তারা কয়েকটি ককটেল ফাটায় এবং পুলিশের কাছ থেকে আটক ব্যক্তিদের ধস্তাধস্তির মাধ্যমে টেনে হিঁচড়ে ছাড়িয়ে নেয়।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মো. ইমাউল হক বলেন, ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা প্রথমে কয়েকজনকে আটক করেন। এরপর ব্যাকআপ টিম হিসেবে আসা মোটরসাইকেল আরোহীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করে এবং আটককৃতদের ছিনিয়ে নেয়।
তবে ওই সময় পুলিশ একটি মোটরসাইকেলসহ ছয়জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান তিনি।
মতিঝিলে মিছিল ও গ্রেপ্তার
এর আগের দিন সোমবার দুপুরে মতিঝিলের দিলকুশা এলাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে কয়েকজনকে আটক করে স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা এবং পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আবারও মিছিল করে।
স্থানীয় হকার রহমত আলী জানান, সোমবারের ঘটনায় চার-পাঁচজনকে মারধর করে পুলিশের হাতে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে আবার ছাত্রলীগ কর্মীরা মিছিল করেছে।
মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার শাহরিয়ার আলী জানান, শাপলা চত্বর এলাকায় মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তারা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন।
আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও বিচার
জুলাই মাসের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।
তার বিরুদ্ধে শত শত মানুষ হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে।
একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়ার জন্য আইনি কাঠামো তৈরি করেছে। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। ফলে আপাতত তারা কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















