জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর অভিভাবক ফোরামের স্মারকলিপি
রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ৮ম শ্রেণি উন্নীত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্যা নিরসনের অভিভাবক ফোরাম জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫-এর চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। এতে ৭২৯টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড প্রদানের দাবি জানানো হয়।
শিক্ষানীতি ও বাস্তবতা
স্মারকলিপিতে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী ২০১৮ সালের মধ্যে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৮ম শ্রেণিতে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ৭২৯টি বিদ্যালয়কে উন্নীত করা হলেও সরকার পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় খরচ ও শিক্ষক নিয়োগে সহযোগিতা দেয়নি। এতে অভিভাবক সমাজকেই অবৈতনিক শিক্ষা চালাতে এগিয়ে আসতে হয়েছে।
ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
অভিভাবক ফোরামের অভিযোগ, প্রাথমিক থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা চালু রাখার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এতে হাজার হাজার শিশু পড়াশোনা ছেড়ে বাল্যবিবাহ, শিশু শ্রম ও অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
শিক্ষকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, উন্নীত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অতিরিক্ত ৩টি শ্রেণি পড়ানো, খাতা দেখা ও অন্যান্য কাজ বিনা পারিশ্রমিকে করে যাচ্ছেন। অথচ অন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা যথাক্রমে ১০ম ও ১১তম গ্রেড পাচ্ছেন।
ফোরামের দাবি
অভিভাবক ফোরাম বলেছে, শিক্ষকদের অমানবিক পরিশ্রমের কথা বিবেচনা করে উন্নীত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দ্রুত কার্যকর করতে হবে।