চীনের তৈরি উড়ন্ত টারবাইন এস-১৫০০-এর প্রথম উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম চীনের সিনচিয়াং প্রদেশের হামি অঞ্চলের মরুভূমিতে পূর্ণাঙ্গভাবে সংযোজন করা হয়েছে। টানা উচ্চবেগের বাতাসে পরীক্ষামূলক পরিচালনার পর এটাকে ওড়ানো হয়।
জেপেলিন আকৃতির এই মেগাওয়াট-স্কেলের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা দৈর্ঘ্যে ৬০ মিটার, প্রস্থে ৪০ মিটার এবং উচ্চতায় ৪০ মিটার। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান উইন্ড-পাওয়ার জেনারেটর।

বিশাল এয়ারশিপের মূল এয়ারফয়েল ও বৃত্তাকার উইংয়ের ভেতরে রয়েছে ১২টি টারবাইন-জেনারেটর সেট, প্রতিটির ক্ষমতা ১০০ কিলোওয়াট। আকাশের স্থিতিশীল বাতাসের গতি কাজে লাগিয়ে এগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যা কেবলের মাধ্যমে মাটিতে পৌঁছে যায়।
প্রচলিত স্থলভিত্তিক উইন্ড টারবাইনের তুলনায় এই ভাসমান প্রযুক্তিতে ৪০ শতাংশ কম কাঁচামাল প্রয়োজন হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুরো ইউনিট স্থানান্তর করা যায়। ফলে মরুভূমি, দ্বীপ বা খনি এলাকার মতো স্থানে সহজে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস হতে পারে এগুলো।
এয়ারশিপটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের এসএডাব্লিউইএস এনার্জি টেকনোলজি, সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং চায়না সায়েন্স একাডেমির অ্যারোস্পেস ইনফরমেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

গবেষকরা জানিয়েছেন, মাটি থেকে ৫০০ মিটার থেকে ১০ হাজার মিটার উচ্চতার মধ্যে বাতাস সবচেয়ে বেশি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী। তাদের মতে, আকাশে থাকা এই শক্তি পৃথিবীর অন্যতম বড় পরিচ্ছন্ন জ্বালানির উৎস হয়ে উঠতে পারে।
তথ্য ও ফাইল ছবি: সিনহুয়া