১২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সময়ের পরীক্ষায় অটল বন্ধন — ভারত-রাশিয়া কূটনীতির নতুন দিগন্ত সিরিয়ার দক্ষিণে ধর্মীয় সংঘর্ষে উৎখাত বেদুইনদের ফিরে যাওয়ার আশাও ম্লান চীনের বিনিয়োগে ধস: লুকানো সংকেত নাকি পরিসংখ্যানের কারসাজি? জুলাই সনদ নিয়ে অচলাবস্থা ঠেকাতে অন্তরালে সমঝোতা চেষ্টার আভাস গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই দায়ী- তদন্ত কমিটি ট্রাম্প তথ্যচিত্র সম্পাদনা নিয়ে সমালোচনার মুখে বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তা প্রধানের পদত্যাগ ২৮ হাজার ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিতে, অবৈধ অস্ত্র রোধের সুপারিশ সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ একটি বিষয় এখনও জেন- জি দের জন্য ম্যানুয়ালি আছে জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা”

ভারত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে গ্রহণ করছে: কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ নাকি সংকট?

প্রযুক্তির জোয়ার ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা

বেঙ্গালুরুতে প্রযুক্তিপ্রেমী বৈভব সিসিন্টি প্রতিদিন ইনস্টাগ্রামে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে পোস্ট করেন। তাঁর লক্ষ্য হচ্ছে নিজের স্টার্টআপ ‘গ্রোথ স্কুল’-এর জন্য সুনাম তৈরি করা। আগে তিনি মাসে গড়ে তিনটি ভিডিও তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু সাশ্রয়ী এআই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করার পর এখন প্রতি মাসে প্রায় ২৫টি ভিডিও তৈরি করছেন।

তিনি চ্যাটজিপিটি দিয়ে বিষয়বস্তু বাছাই ও স্ক্রিপ্ট তৈরি করান, ইলেভেনল্যাবস দিয়ে নিজের কণ্ঠে অডিও বানান, হেইজেন দিয়ে ক্যামেরায় কথা বলার ঝামেলা এড়িয়ে ডিজিটাল ক্লোন ব্যবহার করেন। ভিজ্যুয়াল তৈরিতে ভিও ৩ ও হিগসফিল্ডের মতো টুলও কাজে লাগান। তাঁর ভাষায়, আগে সমান কাজ করতে হলে কমপক্ষে ১০ জন এডিটর, তিনজন স্ক্রিপ্ট রাইটার ও কয়েকজন গবেষক লাগত। এখন তিনি শুধু দুইজন এডিটরের মাধ্যমে কাজ চালাচ্ছেন, যার একজন আবার ইন্টার্ন।

অর্থনীতি ও চাকরির হুমকি

এই সুবিধা যেমন গ্রোথ স্কুলের মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য আশীর্বাদ, তেমনি ভারতের কর্মসংস্থানের জন্য বড় শঙ্কা। মাসে মাত্র ২০ ডলারে ব্যবহারযোগ্য এআই টুলগুলো উৎপাদনশীলতা বাড়ালেও অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা, এগুলো কর্মসংস্থান কমিয়ে দিতে পারে।

এক্সিকিউটিভ সার্চ ফার্ম ট্রু সার্চের রিতুপর্ণা চক্রবর্তী বলেছেন, শিগগিরই কর্মক্ষেত্রের মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে—এআই অপারেটর ও এআই ক্রিয়েটর। কেউ যদি এর বাইরে থাকে, তবে তার জন্য টিকে থাকা কঠিন হবে।

ভারতের বাজারে এআই বিস্তার

ভারতে প্রায় ৯৫৫ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী থাকায় এ বাজারে এআই কোম্পানিগুলো দারুণ আগ্রহী। ওপেনএআই সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে অফিস খুলেছে এবং জানিয়েছে, ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে ভারত তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। মাত্র ৪.৫ ডলারের সাবস্ক্রিপশন চালু করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী পারপ্লেক্সিটি স্থানীয় টেলিকম অপারেটর এয়ারটেলের সঙ্গে অংশীদার হয়ে বিনামূল্যে সেবা দিচ্ছে।

ম্যাককিনসি জানুয়ারিতে এক সমীক্ষায় দেখিয়েছে, ভারতের প্রায় ২০ শতাংশ কর্মীর কর্মক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বেশি।

মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সংকট

এআই ইতিমধ্যে বিক্রয়, অর্থনীতি, মানবসম্পদ ও সফটওয়্যার উন্নয়নের মতো খাতে প্রভাব ফেলছে। এগুলোই ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উত্থানে প্রধান ভূমিকা রেখেছিল। এখন এই খাতে চাকরি সংকট দেখা দিলে ভোক্তা ব্যয় ও অর্থনীতিতে বড় আঘাত আসতে পারে। এএনজেড ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ ধীরজ নিম সতর্ক করে বলেছেন, দক্ষতা না থাকলে মানুষ পিছিয়ে পড়বে এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়বে।

স্টার্টআপ ও বড় কোম্পানির অভিজ্ঞতা

গ্রোথ স্কুলে বিক্রয়কর্মীর সংখ্যা এক বছরে ১০০ থেকে নেমে ৩০-এ এসেছে। যদিও রাজস্ব পাঁচগুণ বেড়েছে, তবে নতুন নিয়োগ কার্যত বন্ধ। প্রাথমিক বিক্রয় কল এখন এআই এজেন্ট করে, পরে মানুষের অংশগ্রহণ ঘটে।

অন্যদিকে ফিনটেক স্টার্টআপ ‘নোল’ বড় ব্যাংকগুলোর জন্য এআই এজেন্ট তৈরি করছে। এরা ঋণ খেলাপিদের ফোন করে কিস্তি আদায়ে চাপ দেয়, এমনকি বিমা ও ঋণ বিক্রির কাজও করছে। প্রতিদিন প্রায় ১.৫ লাখ মানুষের সঙ্গে এই বটগুলো কথা বলছে।

কিনজি নামে আরেক স্টার্টআপ মাত্র তিনজন কর্মী নিয়ে শিশুদের জন্য এআই-ভিত্তিক গেম ও গল্প তৈরির অ্যাপ তৈরি করেছে। চন্দন সিংহ, সহ-প্রতিষ্ঠাতা, বলছেন—এআই না থাকলে অন্তত ২০ জন কর্মী লাগত এবং ছয় মাস সময় লাগত।

সফটওয়্যার শিল্পে চাপ

তিন দশক ধরে ভারতের লাখো শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়ে সফটওয়্যার খাতে চাকরির স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু এখন এ খাতেও এআই বড় চ্যালেঞ্জ। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস ১২ হাজার চাকরি কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। টেক মাহিন্দ্রার মানবসম্পদ প্রধান রিচার্ড লোবো বলছেন, এখন প্রতিটি প্রার্থীর এআই বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

টেক মাহিন্দ্রা প্রায় ৮০ হাজার কর্মীকে এআই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তবে লোবোর মতে, শুধু প্রোগ্রামিং নয়, বিভিন্ন এআই টুল ব্যবহার করতে পারার সক্ষমতাই এখন সবচেয়ে জরুরি। সমস্যা হচ্ছে, দেশের কলেজগুলো এখনো বড় পরিসরে পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করতে পারেনি।

ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ

সব বিশেষজ্ঞ অবশ্য হতাশ নন। টিমলিজ সার্ভিসেসের বালাসুব্রহ্মণিয়ম নরায়ণন মনে করেন, অনেক চাকরি হারালেও এআই নতুন ব্যবসা ও কর্মসংস্থানও তৈরি করবে, যা এখন কল্পনাতেও আসছে না। তবে বাস্তবতা হলো—যারা দক্ষতা অর্জন করবে, তারাই টিকে থাকবে।

ভারতে এআই দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি যেমন উৎপাদনশীলতা বাড়াচ্ছে, তেমনি কর্মসংস্থানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জও তৈরি করছে। সঠিক দক্ষতা ও শিক্ষায় বিনিয়োগ ছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটির সামনে কর্মসংস্থানের সংকট তীব্র হতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সময়ের পরীক্ষায় অটল বন্ধন — ভারত-রাশিয়া কূটনীতির নতুন দিগন্ত

ভারত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে গ্রহণ করছে: কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ নাকি সংকট?

০৭:৪০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রযুক্তির জোয়ার ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা

বেঙ্গালুরুতে প্রযুক্তিপ্রেমী বৈভব সিসিন্টি প্রতিদিন ইনস্টাগ্রামে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে পোস্ট করেন। তাঁর লক্ষ্য হচ্ছে নিজের স্টার্টআপ ‘গ্রোথ স্কুল’-এর জন্য সুনাম তৈরি করা। আগে তিনি মাসে গড়ে তিনটি ভিডিও তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু সাশ্রয়ী এআই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করার পর এখন প্রতি মাসে প্রায় ২৫টি ভিডিও তৈরি করছেন।

তিনি চ্যাটজিপিটি দিয়ে বিষয়বস্তু বাছাই ও স্ক্রিপ্ট তৈরি করান, ইলেভেনল্যাবস দিয়ে নিজের কণ্ঠে অডিও বানান, হেইজেন দিয়ে ক্যামেরায় কথা বলার ঝামেলা এড়িয়ে ডিজিটাল ক্লোন ব্যবহার করেন। ভিজ্যুয়াল তৈরিতে ভিও ৩ ও হিগসফিল্ডের মতো টুলও কাজে লাগান। তাঁর ভাষায়, আগে সমান কাজ করতে হলে কমপক্ষে ১০ জন এডিটর, তিনজন স্ক্রিপ্ট রাইটার ও কয়েকজন গবেষক লাগত। এখন তিনি শুধু দুইজন এডিটরের মাধ্যমে কাজ চালাচ্ছেন, যার একজন আবার ইন্টার্ন।

অর্থনীতি ও চাকরির হুমকি

এই সুবিধা যেমন গ্রোথ স্কুলের মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য আশীর্বাদ, তেমনি ভারতের কর্মসংস্থানের জন্য বড় শঙ্কা। মাসে মাত্র ২০ ডলারে ব্যবহারযোগ্য এআই টুলগুলো উৎপাদনশীলতা বাড়ালেও অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা, এগুলো কর্মসংস্থান কমিয়ে দিতে পারে।

এক্সিকিউটিভ সার্চ ফার্ম ট্রু সার্চের রিতুপর্ণা চক্রবর্তী বলেছেন, শিগগিরই কর্মক্ষেত্রের মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে—এআই অপারেটর ও এআই ক্রিয়েটর। কেউ যদি এর বাইরে থাকে, তবে তার জন্য টিকে থাকা কঠিন হবে।

ভারতের বাজারে এআই বিস্তার

ভারতে প্রায় ৯৫৫ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী থাকায় এ বাজারে এআই কোম্পানিগুলো দারুণ আগ্রহী। ওপেনএআই সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে অফিস খুলেছে এবং জানিয়েছে, ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে ভারত তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। মাত্র ৪.৫ ডলারের সাবস্ক্রিপশন চালু করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী পারপ্লেক্সিটি স্থানীয় টেলিকম অপারেটর এয়ারটেলের সঙ্গে অংশীদার হয়ে বিনামূল্যে সেবা দিচ্ছে।

ম্যাককিনসি জানুয়ারিতে এক সমীক্ষায় দেখিয়েছে, ভারতের প্রায় ২০ শতাংশ কর্মীর কর্মক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বেশি।

মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সংকট

এআই ইতিমধ্যে বিক্রয়, অর্থনীতি, মানবসম্পদ ও সফটওয়্যার উন্নয়নের মতো খাতে প্রভাব ফেলছে। এগুলোই ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উত্থানে প্রধান ভূমিকা রেখেছিল। এখন এই খাতে চাকরি সংকট দেখা দিলে ভোক্তা ব্যয় ও অর্থনীতিতে বড় আঘাত আসতে পারে। এএনজেড ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ ধীরজ নিম সতর্ক করে বলেছেন, দক্ষতা না থাকলে মানুষ পিছিয়ে পড়বে এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়বে।

স্টার্টআপ ও বড় কোম্পানির অভিজ্ঞতা

গ্রোথ স্কুলে বিক্রয়কর্মীর সংখ্যা এক বছরে ১০০ থেকে নেমে ৩০-এ এসেছে। যদিও রাজস্ব পাঁচগুণ বেড়েছে, তবে নতুন নিয়োগ কার্যত বন্ধ। প্রাথমিক বিক্রয় কল এখন এআই এজেন্ট করে, পরে মানুষের অংশগ্রহণ ঘটে।

অন্যদিকে ফিনটেক স্টার্টআপ ‘নোল’ বড় ব্যাংকগুলোর জন্য এআই এজেন্ট তৈরি করছে। এরা ঋণ খেলাপিদের ফোন করে কিস্তি আদায়ে চাপ দেয়, এমনকি বিমা ও ঋণ বিক্রির কাজও করছে। প্রতিদিন প্রায় ১.৫ লাখ মানুষের সঙ্গে এই বটগুলো কথা বলছে।

কিনজি নামে আরেক স্টার্টআপ মাত্র তিনজন কর্মী নিয়ে শিশুদের জন্য এআই-ভিত্তিক গেম ও গল্প তৈরির অ্যাপ তৈরি করেছে। চন্দন সিংহ, সহ-প্রতিষ্ঠাতা, বলছেন—এআই না থাকলে অন্তত ২০ জন কর্মী লাগত এবং ছয় মাস সময় লাগত।

সফটওয়্যার শিল্পে চাপ

তিন দশক ধরে ভারতের লাখো শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়ে সফটওয়্যার খাতে চাকরির স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু এখন এ খাতেও এআই বড় চ্যালেঞ্জ। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস ১২ হাজার চাকরি কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। টেক মাহিন্দ্রার মানবসম্পদ প্রধান রিচার্ড লোবো বলছেন, এখন প্রতিটি প্রার্থীর এআই বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

টেক মাহিন্দ্রা প্রায় ৮০ হাজার কর্মীকে এআই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তবে লোবোর মতে, শুধু প্রোগ্রামিং নয়, বিভিন্ন এআই টুল ব্যবহার করতে পারার সক্ষমতাই এখন সবচেয়ে জরুরি। সমস্যা হচ্ছে, দেশের কলেজগুলো এখনো বড় পরিসরে পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করতে পারেনি।

ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ

সব বিশেষজ্ঞ অবশ্য হতাশ নন। টিমলিজ সার্ভিসেসের বালাসুব্রহ্মণিয়ম নরায়ণন মনে করেন, অনেক চাকরি হারালেও এআই নতুন ব্যবসা ও কর্মসংস্থানও তৈরি করবে, যা এখন কল্পনাতেও আসছে না। তবে বাস্তবতা হলো—যারা দক্ষতা অর্জন করবে, তারাই টিকে থাকবে।

ভারতে এআই দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি যেমন উৎপাদনশীলতা বাড়াচ্ছে, তেমনি কর্মসংস্থানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জও তৈরি করছে। সঠিক দক্ষতা ও শিক্ষায় বিনিয়োগ ছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটির সামনে কর্মসংস্থানের সংকট তীব্র হতে পারে।