০৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকায় সবজি–প্রোটিনে আগুন-দাম: নিম্ন আয়ের মানুষের টিকে থাকার লড়াই চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ৫ সশস্ত্র বাহিনী দিবস শুক্রবার পালিত হবে ডাকসু নেত্রীর বাড়িতে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ স্টক মার্কেট সপ্তাহ শেষ করল নিম্নমুখী লেনদেনে বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সিরিজ জয়ের পথে বাংলাদেশ আরও চারজনের মৃত্যুতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক কোনো বহিরাগত বা অভ্যন্তরীণ শক্তিকে সুযোগ দেব না: সিএসসি-কে ঢাকার বার্তা স্কুলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের নিয়ম: শিক্ষার্থীদের জানা উচিত করণীয় ও বর্জনীয় অনুপ কুমার বিশ্বাস, নবমিতা সরকার ও কাজী আরিফুর রহমান–এই তিন সহকারী কমিশনারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে

ইসলামী দল ও বিভাজনের রাজনীতি: রিজভীর বক্তব্যে নতুন বার্তা

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রাজধানীর রমনা কালী মন্দিরে দুর্গাপূজা পরিদর্শন শেষে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামী দলগুলোর অবস্থান, বিএনপির পরিচয় রক্ষার কৌশল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রসঙ্গ।

ইসলামী দলের সমালোচনা

রিজভীর অভিযোগ, একটি ইসলামী দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার লোভে ভারসাম্য হারিয়েছে। তাঁর ভাষায়, এই দলটি ক্ষমতায় যাওয়ার প্রয়াসে নীতি ও দিকভ্রান্তির পথে হাঁটছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, জামায়াতে ইসলামী স্বাধীন রাজনৈতিক দল নয়; এটি অন্য একটি দেশের দলের শাখা হিসেবে কাজ করছে।

এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপি ইসলামী দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করার পাশাপাশি নিজেকে বিদেশি প্রভাবমুক্ত ও জাতীয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে।

বিএনপির পরিচয় নিয়ে অবস্থান

রিজভী বলেন, বিএনপির পরিচয় পাল্টানোর দরকার নেই। দলটি জনগণের জন্য রাজনীতি করে এবং মানুষের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। তাঁর বক্তব্যে বোঝা যায়, বিএনপি এখন নিজেদের ঐতিহ্যগত অবস্থান ধরে রাখাকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে। দলটি চায় জনগণের কাছে নিজেদেরকে ধারাবাহিক, পরীক্ষিত ও জনগণনির্ভর রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে।

দুর্গাপূজায় শুভেচ্ছা ও সম্প্রীতির বার্তা

দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে রিজভী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর জোর দেন। তিনি বলেন, “একটি সম্প্রদায় বড় উৎসব উদযাপন করলে তা সবার উৎসবে রূপ নেয়। উৎসব বিভাজন তৈরি করে না; বরং বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেয়।”

তাঁর বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও লালন শাহকে সবার যৌথ উত্তরাধিকার হিসেবে তুলে ধরা হয়। এভাবে বিএনপি ধর্মনিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে রাজনৈতিক বার্তাও প্রদান করেছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিযুক্ত করে রিজভী বলেন, ক্ষমতার স্বার্থে তিনি বিভাজন তৈরি করেছেন। তবে দেশের জনগণের মধ্যে প্রকৃত কোনো বিভাজন নেই। তিনি দাবি করেন, সাধারণ মানুষ এখনো একসঙ্গে কাজ করছে, এবং এই ঐক্যই সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিচ্ছে।

এই বক্তব্যে বোঝা যায়, বিএনপি বর্তমান সরকারকে বিভাজনকারী শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে, যেখানে নিজেদেরকে ঐক্যকামী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

ষড়যন্ত্রের সতর্কবার্তা

দুর্গাপূজার সময়ে বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে বলে সতর্ক করেন রিজভী। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু শক্তি ধর্মকে ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায়।

এ বক্তব্যে তিনি ইঙ্গিত দেন যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে হাতিয়ার বানাতে পারে।

যৌথ জীবনধারা ও জাতীয়তাবাদী আবেগ

বাংলাদেশের সামাজিক ঐক্যকে তুলে ধরে রিজভী বলেন, “আমরা একই খাবার, পোশাক ও সংস্কৃতি ভাগাভাগি করি। এখানে কোনো বিভাজন নেই।” তিনি আরও বলেন, “কেউ যদি এই দেশের এক ইঞ্চি জমির দিকে কুদৃষ্টি দেয়, তার চোখ উপড়ে ফেলা হবে।”

এই বক্তব্যে তাঁর জাতীয়তাবাদী আবেগ প্রকাশ পেলেও ভাষার আক্রমণাত্মক চরিত্রও সামনে এসেছে। একদিকে এটি জনগণের দেশপ্রেম উসকে দিতে পারে, অন্যদিকে তা সংযমী ভোটারদের কাছে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কৌশলগত অবস্থান

  • বিএনপি নিজেদেরকে জাতীয় ঐক্যের রক্ষক হিসেবে তুলে ধরছে।
  • ইসলামী দলগুলোকে দুর্বল ও বিদেশি প্রভাবাধীন হিসেবে চিত্রিত করছে।
  • আওয়ামী লীগকে বিভাজন সৃষ্টিকারী শক্তি হিসেবে দেখাচ্ছে।

 সংখ্যালঘু ভোটারদের লক্ষ্য

  • দুর্গাপূজার প্রেক্ষাপটে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানানো বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল।
  • এর মাধ্যমে তারা সংখ্যালঘু ভোটারদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছে, যা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সাংস্কৃতিক প্রতীক ব্যবহার

  • রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও লালনের নাম উচ্চারণ জাতীয়তাবাদ ও বহুত্ববাদী সংস্কৃতির বার্তা বহন করে।
  • এটি দলীয় ভাবমূর্তিকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ঐক্যকামী করে তোলে।

 বক্তৃতার ভাষা ও সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া

  • জাতীয়তাবাদী আবেগ জাগাতে আক্রমণাত্মক শব্দচয়ন (“চোখ উপড়ে ফেলা হবে”) কিছু সমর্থকের কাছে শক্তিশালী বার্তা হিসেবে ধরা পড়তে পারে।
  • তবে এর নেতিবাচক দিক হলো—এটি রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সহিংসতার ইঙ্গিত হিসেবে সমালোচিত হতে পারে।

রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য শুধু সাম্প্রতিক দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা নয়; বরং এটি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক বার্তা। এখানে বিএনপি নিজেদেরকে ঐক্যের শক্তি ও জনগণের দল হিসেবে উপস্থাপন করেছে। পাশাপাশি ইসলামী দলগুলোকে নীতিহীন ও বিদেশি প্রভাবাধীন, আর আওয়ামী লীগকে বিভাজনকারী শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে।

এই অবস্থান বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশলের দিকনির্দেশ দেয়—যেখানে জাতীয় ঐক্য, বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও জনগণকেন্দ্রিক রাজনীতিকে সামনে রেখে দলটি প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে চায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় সবজি–প্রোটিনে আগুন-দাম: নিম্ন আয়ের মানুষের টিকে থাকার লড়াই

ইসলামী দল ও বিভাজনের রাজনীতি: রিজভীর বক্তব্যে নতুন বার্তা

১১:৩২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রাজধানীর রমনা কালী মন্দিরে দুর্গাপূজা পরিদর্শন শেষে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামী দলগুলোর অবস্থান, বিএনপির পরিচয় রক্ষার কৌশল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রসঙ্গ।

ইসলামী দলের সমালোচনা

রিজভীর অভিযোগ, একটি ইসলামী দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার লোভে ভারসাম্য হারিয়েছে। তাঁর ভাষায়, এই দলটি ক্ষমতায় যাওয়ার প্রয়াসে নীতি ও দিকভ্রান্তির পথে হাঁটছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, জামায়াতে ইসলামী স্বাধীন রাজনৈতিক দল নয়; এটি অন্য একটি দেশের দলের শাখা হিসেবে কাজ করছে।

এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপি ইসলামী দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করার পাশাপাশি নিজেকে বিদেশি প্রভাবমুক্ত ও জাতীয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে।

বিএনপির পরিচয় নিয়ে অবস্থান

রিজভী বলেন, বিএনপির পরিচয় পাল্টানোর দরকার নেই। দলটি জনগণের জন্য রাজনীতি করে এবং মানুষের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। তাঁর বক্তব্যে বোঝা যায়, বিএনপি এখন নিজেদের ঐতিহ্যগত অবস্থান ধরে রাখাকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে। দলটি চায় জনগণের কাছে নিজেদেরকে ধারাবাহিক, পরীক্ষিত ও জনগণনির্ভর রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে।

দুর্গাপূজায় শুভেচ্ছা ও সম্প্রীতির বার্তা

দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে রিজভী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর জোর দেন। তিনি বলেন, “একটি সম্প্রদায় বড় উৎসব উদযাপন করলে তা সবার উৎসবে রূপ নেয়। উৎসব বিভাজন তৈরি করে না; বরং বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেয়।”

তাঁর বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও লালন শাহকে সবার যৌথ উত্তরাধিকার হিসেবে তুলে ধরা হয়। এভাবে বিএনপি ধর্মনিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে রাজনৈতিক বার্তাও প্রদান করেছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিযুক্ত করে রিজভী বলেন, ক্ষমতার স্বার্থে তিনি বিভাজন তৈরি করেছেন। তবে দেশের জনগণের মধ্যে প্রকৃত কোনো বিভাজন নেই। তিনি দাবি করেন, সাধারণ মানুষ এখনো একসঙ্গে কাজ করছে, এবং এই ঐক্যই সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিচ্ছে।

এই বক্তব্যে বোঝা যায়, বিএনপি বর্তমান সরকারকে বিভাজনকারী শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে, যেখানে নিজেদেরকে ঐক্যকামী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

ষড়যন্ত্রের সতর্কবার্তা

দুর্গাপূজার সময়ে বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে বলে সতর্ক করেন রিজভী। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু শক্তি ধর্মকে ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায়।

এ বক্তব্যে তিনি ইঙ্গিত দেন যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে হাতিয়ার বানাতে পারে।

যৌথ জীবনধারা ও জাতীয়তাবাদী আবেগ

বাংলাদেশের সামাজিক ঐক্যকে তুলে ধরে রিজভী বলেন, “আমরা একই খাবার, পোশাক ও সংস্কৃতি ভাগাভাগি করি। এখানে কোনো বিভাজন নেই।” তিনি আরও বলেন, “কেউ যদি এই দেশের এক ইঞ্চি জমির দিকে কুদৃষ্টি দেয়, তার চোখ উপড়ে ফেলা হবে।”

এই বক্তব্যে তাঁর জাতীয়তাবাদী আবেগ প্রকাশ পেলেও ভাষার আক্রমণাত্মক চরিত্রও সামনে এসেছে। একদিকে এটি জনগণের দেশপ্রেম উসকে দিতে পারে, অন্যদিকে তা সংযমী ভোটারদের কাছে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কৌশলগত অবস্থান

  • বিএনপি নিজেদেরকে জাতীয় ঐক্যের রক্ষক হিসেবে তুলে ধরছে।
  • ইসলামী দলগুলোকে দুর্বল ও বিদেশি প্রভাবাধীন হিসেবে চিত্রিত করছে।
  • আওয়ামী লীগকে বিভাজন সৃষ্টিকারী শক্তি হিসেবে দেখাচ্ছে।

 সংখ্যালঘু ভোটারদের লক্ষ্য

  • দুর্গাপূজার প্রেক্ষাপটে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানানো বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল।
  • এর মাধ্যমে তারা সংখ্যালঘু ভোটারদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছে, যা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সাংস্কৃতিক প্রতীক ব্যবহার

  • রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও লালনের নাম উচ্চারণ জাতীয়তাবাদ ও বহুত্ববাদী সংস্কৃতির বার্তা বহন করে।
  • এটি দলীয় ভাবমূর্তিকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ঐক্যকামী করে তোলে।

 বক্তৃতার ভাষা ও সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া

  • জাতীয়তাবাদী আবেগ জাগাতে আক্রমণাত্মক শব্দচয়ন (“চোখ উপড়ে ফেলা হবে”) কিছু সমর্থকের কাছে শক্তিশালী বার্তা হিসেবে ধরা পড়তে পারে।
  • তবে এর নেতিবাচক দিক হলো—এটি রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সহিংসতার ইঙ্গিত হিসেবে সমালোচিত হতে পারে।

রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য শুধু সাম্প্রতিক দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা নয়; বরং এটি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক বার্তা। এখানে বিএনপি নিজেদেরকে ঐক্যের শক্তি ও জনগণের দল হিসেবে উপস্থাপন করেছে। পাশাপাশি ইসলামী দলগুলোকে নীতিহীন ও বিদেশি প্রভাবাধীন, আর আওয়ামী লীগকে বিভাজনকারী শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে।

এই অবস্থান বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশলের দিকনির্দেশ দেয়—যেখানে জাতীয় ঐক্য, বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও জনগণকেন্দ্রিক রাজনীতিকে সামনে রেখে দলটি প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে চায়।