০৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
পাকিস্তানের দুর্ভিক্ষের বছর? প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রত্যাশীদের আমরণ অনশন ৬৫ ঘণ্টা অতিক্রম, সরকারের নীরবতা অব্যাহত গণভোটের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই: বিএনপি নেতা আমীর খসরু শাহবাগে শিক্ষকদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গে পুলিশের পদক্ষেপের পক্ষে ডিএমপি গণভোটের জন্যে সাত দিনের আলটিমেটাম অগ্রহণযোগ্য: সরকারের সমালোচনায় সালাহউদ্দিন শাহবাগে শিক্ষক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১২০ জন প্রবল বৃষ্টিতে গাবা ম্যাচ বাতিল, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি২০ সিরিজ জিতল ভারত চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে পাকিস্তানি নৌযান ‘পিএনএস সাইফ’ কিছু রাজনৈতিক দলের পদক্ষেপ জনগণের অধিকার বিপন্ন করতে পারে: তারেক রহমান নাইজেরিয়া বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আইন পাস করল

কার্ডিয়াক স্বাস্থ্যসেবায় বয়সভিত্তিক বৈষম্য দূর করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

সময়মতো রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা হৃদ্‌যন্ত্র ও রক্তনালীর ক্ষতি কমাতে পারে এবং আরোগ্যের সম্ভাবনা বাড়ায়। গত এক দশকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) স্বাস্থ্যসেবায় বিপ্লব ঘটিয়েছে। এটি চিকিৎসকদের রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার ধরন পাল্টে দিয়েছে এবং চিকিৎসা সেবাকে করেছে আরও কার্যকর, নির্ভুল ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এর ফলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হতে পারছেন যে সব রোগী বয়স, লিঙ্গ বা পূর্ববর্তী স্বাস্থ্যঝুঁকি নির্বিশেষে প্রমাণভিত্তিক সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন।

হৃদ্‌রোগ ও বৈশ্বিক সংকট

বিশ্ব হৃদ্‌রোগ দিবসে আমাদের সামনে থাকা গুরুতর চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাবা জরুরি, যেখানে এআই সহায়ক হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, হৃদ্‌রোগ বা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (সিভিডি) বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর প্রধান কারণ। প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি ৭৯ লাখ মানুষ এতে মারা যায়, যা বৈশ্বিক মৃত্যুর প্রায় ৩১ শতাংশ।

ভারত সিভিডিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি এবং এটিকে বলা হয় “বিশ্বের হার্ট অ্যাটাক রাজধানী”। আরও ভয়াবহ বিষয় হলো, ভারতে ৫০ বছরের নিচে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ হৃদ্‌রোগে মারা যান, যা পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় এক দশক আগের ঘটনা। এই চমকপ্রদ উচ্চ হার মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের আগে থেকেই চিহ্নিত করে চিকিৎসা দেওয়ার উপায় বের করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও তথ্যের ভার

গত এক দশকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি এসেছে রোগ নির্ণয় ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি পূর্বাভাসে। চিকিৎসা ক্ষেত্রও অনেক উন্নত হয়েছে। তবে এত বিপুল পরিমাণ স্বাস্থ্য তথ্য চিকিৎসকদের সীমিত ক্ষমতাকে অতিক্রম করেছে। এত তথ্য বিশ্লেষণ করে সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া মানুষের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

এখানেই এআই এগিয়ে আসে। অ্যালগরিদমের মাধ্যমে এটি অল্প সময়ে বিপুল তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে, অদৃশ্য ধরণ চিহ্নিত করতে পারে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি পূর্বাভাস দিতে পারে। ফলে রোগীকে দ্রুত সঠিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়।

হৃদ্‌রোগ চিকিৎসায় এআইয়ের ভূমিকা

এআই বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক টুল যেমন ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, স্ট্রেস টেস্ট, সিটি স্ক্যান এবং এমনকি ওয়্যারেবল ডিভাইস থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে। এগুলোকে ল্যাব ও ক্লিনিক্যাল ডেটার সঙ্গে একত্রিত করে এমন সূক্ষ্ম পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে, যা মানুষের চোখে ধরা পড়ে না। এর ফলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের আগেভাগে চিহ্নিত করা যায় এবং প্রতিটি ধাপে চিকিৎসা সিদ্ধান্ত আরও নির্ভুল হয়।

বয়সজনিত বৈষম্য ও চিকিৎসার বিলম্ব

অগ্রগতির পরও চিকিৎসায় বৈষম্য রয়ে গেছে। তরুণ হৃদ্‌রোগীরা অনেক সময় পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা পান না। গবেষণায় দেখা গেছে, ডাক্তাররা তরুণ রোগীদের ঝুঁকি অবমূল্যায়ন করেন—এটিকে বলা হয় “বয়সভিত্তিক আশাবাদী পক্ষপাত”। ফলে চিকিৎসায় দেরি হয়, যা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। তরুণদের উপসর্গকে প্রায়ই হালকা মনে করা হয়, কাজের চাপ বা সাময়িক সমস্যার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এতে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা বিলম্বিত হয়।

কিন্তু হৃদ্‌রোগের ক্ষেত্রে আগেভাগে হস্তক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ছোট সমস্যাকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা হার্ট ফেইলিউরের মতো প্রাণঘাতী অবস্থায় পৌঁছাতে বাধা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা হৃদ্‌যন্ত্র ও রক্তনালীর ক্ষতি কমায়, আরোগ্যের হার বাড়ায় এবং দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা কমায়। এখানে এআই সহায়ক হতে পারে, কারণ এর অ্যালগরিদম চিকিৎসকদের রোগীভিত্তিক সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।

গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা ও সীমাবদ্ধতা

অনেকে মনে করেন, এআই গ্রামীণ অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে পারে, চিকিৎসকের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করতে পারে এবং ব্যস্ত হাসপাতালে কাজের চাপ কমাতে পারে।

তবে সাবধান থাকতে হবে। এআই কেবল একটি সহায়ক হাতিয়ার। রোগীরা যদি সময়মতো চিকিৎসা না নেন বা উপসর্গ চিনতে না পারেন, এআই তাদের সাহায্য করতে পারবে না।

এআই শুধু তথ্য দেয়, কিন্তু সেগুলিকে প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা দিয়ে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিতে হয় চিকিৎসককেই। উপরন্তু, এআইয়ের বিশ্লেষণ অনেকাংশেই নির্ভর করে ডেটার মান ও বৈচিত্র্যের উপর নির্ভর করে। দুর্বল ডেটা ভুল ব্যাখ্যার ঝুঁকি বাড়ায়, যা অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা হয়তো বুঝতে পারতেন।

বিজ্ঞান কল্পকাহিনির লেখক আইজাক আসিমভকে উদ্ধৃত করে বলা যায়: “যন্ত্র কেবল একটি হাতিয়ার, যা হিসাব ও বিশ্লেষণের কিছু বোঝা কমিয়ে মানুষকে দ্রুত এগোতে সাহায্য করে। মানব মস্তিষ্কের কাজ আগের মতোই—নতুন তথ্য আবিষ্কার করা এবং নতুন ধারণা তৈরি করা।”

নরেশ ত্রেহান হলেন মেডান্তা হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর। উপস্থাপিত মতামত ব্যক্তিগত।

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের দুর্ভিক্ষের বছর?

কার্ডিয়াক স্বাস্থ্যসেবায় বয়সভিত্তিক বৈষম্য দূর করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

১২:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সময়মতো রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা হৃদ্‌যন্ত্র ও রক্তনালীর ক্ষতি কমাতে পারে এবং আরোগ্যের সম্ভাবনা বাড়ায়। গত এক দশকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) স্বাস্থ্যসেবায় বিপ্লব ঘটিয়েছে। এটি চিকিৎসকদের রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার ধরন পাল্টে দিয়েছে এবং চিকিৎসা সেবাকে করেছে আরও কার্যকর, নির্ভুল ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এর ফলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হতে পারছেন যে সব রোগী বয়স, লিঙ্গ বা পূর্ববর্তী স্বাস্থ্যঝুঁকি নির্বিশেষে প্রমাণভিত্তিক সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন।

হৃদ্‌রোগ ও বৈশ্বিক সংকট

বিশ্ব হৃদ্‌রোগ দিবসে আমাদের সামনে থাকা গুরুতর চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাবা জরুরি, যেখানে এআই সহায়ক হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, হৃদ্‌রোগ বা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (সিভিডি) বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর প্রধান কারণ। প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি ৭৯ লাখ মানুষ এতে মারা যায়, যা বৈশ্বিক মৃত্যুর প্রায় ৩১ শতাংশ।

ভারত সিভিডিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি এবং এটিকে বলা হয় “বিশ্বের হার্ট অ্যাটাক রাজধানী”। আরও ভয়াবহ বিষয় হলো, ভারতে ৫০ বছরের নিচে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ হৃদ্‌রোগে মারা যান, যা পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় এক দশক আগের ঘটনা। এই চমকপ্রদ উচ্চ হার মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের আগে থেকেই চিহ্নিত করে চিকিৎসা দেওয়ার উপায় বের করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও তথ্যের ভার

গত এক দশকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি এসেছে রোগ নির্ণয় ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি পূর্বাভাসে। চিকিৎসা ক্ষেত্রও অনেক উন্নত হয়েছে। তবে এত বিপুল পরিমাণ স্বাস্থ্য তথ্য চিকিৎসকদের সীমিত ক্ষমতাকে অতিক্রম করেছে। এত তথ্য বিশ্লেষণ করে সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া মানুষের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

এখানেই এআই এগিয়ে আসে। অ্যালগরিদমের মাধ্যমে এটি অল্প সময়ে বিপুল তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে, অদৃশ্য ধরণ চিহ্নিত করতে পারে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি পূর্বাভাস দিতে পারে। ফলে রোগীকে দ্রুত সঠিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়।

হৃদ্‌রোগ চিকিৎসায় এআইয়ের ভূমিকা

এআই বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক টুল যেমন ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, স্ট্রেস টেস্ট, সিটি স্ক্যান এবং এমনকি ওয়্যারেবল ডিভাইস থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে। এগুলোকে ল্যাব ও ক্লিনিক্যাল ডেটার সঙ্গে একত্রিত করে এমন সূক্ষ্ম পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে, যা মানুষের চোখে ধরা পড়ে না। এর ফলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের আগেভাগে চিহ্নিত করা যায় এবং প্রতিটি ধাপে চিকিৎসা সিদ্ধান্ত আরও নির্ভুল হয়।

বয়সজনিত বৈষম্য ও চিকিৎসার বিলম্ব

অগ্রগতির পরও চিকিৎসায় বৈষম্য রয়ে গেছে। তরুণ হৃদ্‌রোগীরা অনেক সময় পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা পান না। গবেষণায় দেখা গেছে, ডাক্তাররা তরুণ রোগীদের ঝুঁকি অবমূল্যায়ন করেন—এটিকে বলা হয় “বয়সভিত্তিক আশাবাদী পক্ষপাত”। ফলে চিকিৎসায় দেরি হয়, যা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। তরুণদের উপসর্গকে প্রায়ই হালকা মনে করা হয়, কাজের চাপ বা সাময়িক সমস্যার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এতে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা বিলম্বিত হয়।

কিন্তু হৃদ্‌রোগের ক্ষেত্রে আগেভাগে হস্তক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ছোট সমস্যাকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা হার্ট ফেইলিউরের মতো প্রাণঘাতী অবস্থায় পৌঁছাতে বাধা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা হৃদ্‌যন্ত্র ও রক্তনালীর ক্ষতি কমায়, আরোগ্যের হার বাড়ায় এবং দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা কমায়। এখানে এআই সহায়ক হতে পারে, কারণ এর অ্যালগরিদম চিকিৎসকদের রোগীভিত্তিক সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।

গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা ও সীমাবদ্ধতা

অনেকে মনে করেন, এআই গ্রামীণ অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে পারে, চিকিৎসকের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করতে পারে এবং ব্যস্ত হাসপাতালে কাজের চাপ কমাতে পারে।

তবে সাবধান থাকতে হবে। এআই কেবল একটি সহায়ক হাতিয়ার। রোগীরা যদি সময়মতো চিকিৎসা না নেন বা উপসর্গ চিনতে না পারেন, এআই তাদের সাহায্য করতে পারবে না।

এআই শুধু তথ্য দেয়, কিন্তু সেগুলিকে প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা দিয়ে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিতে হয় চিকিৎসককেই। উপরন্তু, এআইয়ের বিশ্লেষণ অনেকাংশেই নির্ভর করে ডেটার মান ও বৈচিত্র্যের উপর নির্ভর করে। দুর্বল ডেটা ভুল ব্যাখ্যার ঝুঁকি বাড়ায়, যা অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা হয়তো বুঝতে পারতেন।

বিজ্ঞান কল্পকাহিনির লেখক আইজাক আসিমভকে উদ্ধৃত করে বলা যায়: “যন্ত্র কেবল একটি হাতিয়ার, যা হিসাব ও বিশ্লেষণের কিছু বোঝা কমিয়ে মানুষকে দ্রুত এগোতে সাহায্য করে। মানব মস্তিষ্কের কাজ আগের মতোই—নতুন তথ্য আবিষ্কার করা এবং নতুন ধারণা তৈরি করা।”

নরেশ ত্রেহান হলেন মেডান্তা হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর। উপস্থাপিত মতামত ব্যক্তিগত।