গ্রেপ্তার অভিযান ও অভিযোগ
জার্মান পুলিশ তিনজন সন্দেহভাজন হামাস সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, তারা ইসরায়েলি বা ইহুদি প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে হত্যার পরিকল্পনার জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করছিল।
আসামিদের পূর্ণ নাম প্রকাশ করা হয়নি, কেবল তাদের প্রথম নাম ও শেষ নামের আদ্যক্ষর জানানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিপন্ন করার মতো সহিংসতা প্রস্তুতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের পরিচয় ও আদালতে হাজিরা
গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়েছে বার্লিনে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করা হবে। তিনজনের মধ্যে দুজন জার্মান নাগরিক, আরেকজন লেবাননে জন্মগ্রহণ করেছেন।
তদন্তে পাওয়া তথ্য
প্রসিকিউটরদের দাবি অনুযায়ী, অন্তত ২০২৩ সালের গ্রীষ্মকাল থেকে তারা হামাসের জন্য অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত ছিল। গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র পাওয়া যায়, যার মধ্যে ছিল একটি একে-৪৭ রাইফেল, কয়েকটি পিস্তল এবং বিপুল পরিমাণ গুলি।
হামাসের প্রতিক্রিয়া
বুধবার এক বিবৃতিতে হামাস এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, অভিযুক্তরা হামাসের সদস্য নন এবং এই দাবি “ভিত্তিহীন”। সংগঠনটি আরও বলেছে, তাদের লড়াই সীমাবদ্ধ কেবল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মধ্যে।
অতীতের নজির
এর আগেও জার্মানিতে হামাসের সন্দেহভাজন সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের পুলিশ যৌথ অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে ইউরোপে ইহুদি প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ছিল। রয়টার্সের তথ্যমতে, তারা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বার্লিনে আদালতে বিচারের মুখোমুখি হয়।