বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি অঞ্চল, চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্টস, একসময় প্রকৃতির বৈচিত্র্য ও সম্পদের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত ছিল। এই পাহাড়ি অঞ্চলের সবচেয়ে বিস্তৃত, সবুজে মোড়া এবং জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ সংরক্ষিত বন হলো কাসালং রিজার্ভ ফরেস্ট। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রপিক্যাল এভারগ্রিন বনভূমি। প্রায় ১,৪৮,৫০০ হেক্টর (১,৪৮৫ বর্গকিলোমিটার) আয়তনের এই বন একসময় ছিল ঘন বৃক্ষ, বন্যপ্রাণী ও অগণিত নদী-খালের নিবাস। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই বন আজ নানা সংকটে জর্জরিত—অবৈধ দখল, নির্বিচার কাঠ কাটা, বন উজাড়, জুম চাষ ও প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় হারাচ্ছে তার প্রাণশক্তি।
ভৌগোলিক অবস্থান ও গুরুত্ব
অবস্থান
কাসালং সংরক্ষিত বন অবস্থিত রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি ফরেস্ট ডিভিশনের আওতায়। এটি চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্টসের পূর্ব অংশে, একদিকে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম সীমান্ত, অপরদিকে মিয়ানমারের পাহাড়ি অরণ্যের সংযোগে গঠিত একটি বিস্তৃত বনভূমি। এই অঞ্চলটি ভৌগোলিকভাবে পাহাড়ি ও অসমান, ঢেউখেলানো ভূখণ্ডে ভরা। গড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা প্রায় ১৭০ মিটার। এ অঞ্চলের পাহাড়ি মাটি আয়রনসমৃদ্ধ ও লালচে-হলুদ বর্ণের, যা বৃষ্টির পানিতে সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। কাসালং নদী, তাঙামা ছড়া ও গোপা ছড়ার মতো অসংখ্য জলধারা এ বনভূমিকে সজীব রাখে।
আয়তন ও সম্প্রসারণ
১৮৮১ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে কাসালং বনকে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করা হয়। তখন এটি ছিল প্রায় ১,৪৮,৫০০ হেক্টর বিস্তৃত, যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ একক সংরক্ষিত বন। সময়ের সাথে এই বনভূমির আয়তন ও ঘনত্ব ক্রমে হ্রাস পেয়েছে। ১৯৬৩ সালে যেখানে ১১৭,০০০ হেক্টর প্রাকৃতিক বন ছিল, ১৯৮৩ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৭৩,০০০ হেক্টরে। ১৯৯০-এর দশকে এসে বনের আয়তন আরও সঙ্কুচিত হয়ে প্রায় ৬৫,০০০ হেক্টরে নেমে আসে। বর্তমানে বন বিভাগের তথ্যমতে, প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের পাশাপাশি প্রায় ২৫,০০০ হেক্টর এলাকায় কৃত্রিমভাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।
জলবায়ু ও ভূপ্রকৃতি
চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্টসের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র মৌসুমি। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টি হয়; জুলাই মাসে গড়ে ৪৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ডিসেম্বর মাসে বৃষ্টি প্রায় নেই বললেই চলে। বার্ষিক গড় আর্দ্রতা প্রায় ৭৮ শতাংশ এবং বছরে প্রায় ১৫৯ দিন বৃষ্টি হয়। মে মাসে গড় তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠে, আর জানুয়ারিতে নেমে যায় ৮ থেকে ১৬ ডিগ্রিতে।
এই প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত বনের ভেতরের ক্ষুদ্র নদী ও ছড়াগুলোকে প্রাণবন্ত রাখে, তবে একই সঙ্গে ভূমিক্ষয় ও মাটির স্লাইডিংয়ের ঝুঁকি বাড়ায়। ঢালু পাহাড়ের মাটি অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষয়ে গিয়ে উৎপাদনশীলতা হারায়, যার প্রভাব পড়ে গাছের পুনর্জন্মের ওপর।
উদ্ভিদবৈচিত্র্য ও বৃক্ষপ্রজাতি
বৃক্ষের ধরণ
কাসালং সংরক্ষিত বন প্রধানত চিরসবুজ ও আধা-চিরসবুজ প্রজাতির গাছ দিয়ে গঠিত। এ বনের ৪৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ নথিভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৪৪ প্রজাতির বৃক্ষ, ৯৮ প্রজাতির ঝোপঝাড়, ৬৩ প্রজাতির লতা ও গুল্মজাতীয় গাছ, ১৪৪ প্রজাতির ভেষজ উদ্ভিদ, ১১টি এপিফাইট ও ৭টি ফার্ন প্রজাতি।
গুরুত্বপূর্ণ গাছ
বনের প্রধান বৃক্ষগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—গর্জন, চাপালিশ, গামার, টুন, পিতরাজ, জারুল, করই, উদাল, শিমুল, বটনা ও ছাতিম। এসব প্রজাতি বাণিজ্যিকভাবে মূল্যবান হওয়ায় নির্বিচারে কাঠ কাটা এখন বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাঁশ এ বনের এক অপরিহার্য উপাদান, বিশেষত Melocanna baccifera (মেলোকান্না ব্যাসিফেরা) প্রজাতির বাঁশ এখানে প্রাকৃতিকভাবে জন্মে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রাণবৈচিত্র্য
স্তন্যপায়ী প্রাণী
কাসালং বনে বাংলাদেশের বিরল ও বিপন্ন অনেক প্রাণীর বাস। এখানে দেখা মেলে এশীয় হাতি, হুলোক গিবন, মকাক বানর, ক্যাপড লাঙ্গুর, ধোল বা বুনো কুকুর, বুনো শূকর, সেম্বর হরিণ, গাউর (বুনো মহিষ), হগ হরিণ, এশীয় কালো ভালুক, চিতা ও মেঘলা চিতা-বিড়াল, গোল্ডেন ক্যাট এবং হিমালয়ান সেরাও প্রভৃতির। মাঝে মাঝে বাঘের উপস্থিতিরও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বন বিভাগের এক সমীক্ষায় অনুমান করা হয়েছে, কাসালং অঞ্চলে ১৫–২০টি বাঘ এখনও বিচরণ করতে পারে, যদিও তা নিশ্চিত নয়। ২০২১ সালে সরকার বাঘ পুনঃপ্রবর্তনের সম্ভাবনা যাচাইয়ের জন্য একটি সমীক্ষা চালায়।
পাখি
কাসালং বনে ১২৩টিরও বেশি প্রজাতির পাখি চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বৃহৎ হর্নবিল, সোনালি ময়না, কালো ঈগল, কাঠঠোকরা, বারবেট, নানা প্রজাতির ফ্লাইক্যাচার ও বনবাসী ছোট পাখি। এদের অনেক প্রজাতি দেশের অন্য অঞ্চলে প্রায় বিলুপ্তপ্রায়।
সরীসৃপ ও উভচর
এই বনে নতুনভাবে নথিভুক্ত হয়েছে অন্তত ৫ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৪ প্রজাতির উভচর প্রাণী। এর মধ্যে রয়েছে বিরল আরাকান ফরেস্ট টার্টল, রেটিকুলেটেড পাইথন এবং বিভিন্ন প্রজাতির গেকো ও ব্যাঙ। পাহাড়ি ছড়াগুলোতে পাওয়া যায় অসংখ্য ক্ষুদ্র মাছ, কাঁকড়া ও জলজ প্রাণী।
পরিবেশগত ভূমিকা ও জীববৈচিত্র্যের মূল্য
কাসালং শুধু প্রাণের আশ্রয়স্থল নয়, বরং বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। এই বন কার্বন শোষণ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়তা করে, শুষ্ক মৌসুমে জলধারা ধরে রাখে এবং স্থানীয় জনগণের জীবিকা ও সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্টসের মোট বনাঞ্চলের প্রায় ৪০ শতাংশই কাসালং ও আশপাশের সংরক্ষিত বনে অবস্থিত। ফলে এই বন হারালে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পরিবেশগত ভারসাম্য বিপন্ন হবে।
মানবিক হস্তক্ষেপ ও বন ধ্বংসের ইতিহাস
জুম চাষ
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী জুম চাষ চালিয়ে আসছে। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এখন জমির বিশ্রামকাল কমে গেছে। ফলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে বন আর পুনর্জন্মের সুযোগ পাচ্ছে না। পাহাড়ি ঢালে লাগানো আগুন ছড়িয়ে পড়ছে বনের গভীরে, নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক বৃক্ষবীজ।
কাঠ চুরি ও অবৈধ দখল
মূল্যবান গাছপালা কাটার পাশাপাশি স্থানীয় ও বাইরের কিছু কাঠ ব্যবসায়ী এই বনকে লুটে নিচ্ছে। ২০০৩ সালে বাঘাইহাট থেকে সাজেক পর্যন্ত নির্মিত সড়কটি বনের অভ্যন্তরে প্রবেশ সহজ করেছে, যার ফলে অবৈধ কাঠ পরিবহনও বেড়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, অনেকে প্রতিদিন সামান্য অর্থের বিনিময়ে বন কেটে বিক্রি করছে।
বসতি ও উন্নয়ন
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের সময় প্রায় ৫৪ হাজার একর ভূমি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে হাজারো পরিবার উচ্ছেদ হয়ে পাহাড়ের উঁচু এলাকায় আশ্রয় নেয়, যার ফলে কাসালংয়ের আশপাশে জনবসতি বাড়তে থাকে। এই বসতির সঙ্গে আসে কৃষি, পশুপালন ও রাস্তাঘাট নির্মাণ—যা বনাঞ্চলকে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে।
প্রশাসনিক দুর্বলতা
বন বিভাগ প্রায়ই জনবল ও বাজেট ঘাটতিতে ভুগছে। অনেক সময় অবৈধ কাঠ পরিবহন বা জমি দখল চোখের সামনে ঘটলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। স্থায়ী ভূমি অধিকার না থাকায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠী বন ব্যবস্থাপনায় নিজেদের অংশীদার হিসেবে দেখতে পায় না, ফলে সংঘাত ও অবিশ্বাস তৈরি হয়।
পরিবেশগত প্রভাব ও ক্ষয়
বন ধ্বংসের ফলে—
- মাটির ক্ষয় দ্রুত হচ্ছে,
- পাহাড়ে ভূমিধস বাড়ছে,
- নদী-ছড়া পলি পড়ে ভরাট হচ্ছে,
- বন্যপ্রাণী স্থানচ্যুত হচ্ছে,
- এবং বনের অভ্যন্তরের ক্ষুদ্র জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।
‘রিসার্চগেট’-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে অঞ্চলগুলোতে বন কাটা বা জুম চাষ বেশি হয়েছে, সেখানে গাছের প্রজাতি বৈচিত্র্য ৪০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। ফলে একসময়ের ঘন চিরসবুজ বন এখন অনেক জায়গায় আধা-খোলা ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে।
সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার উদ্যোগ
আইনি অবস্থান
১৮৮১ সালে ঘোষিত সংরক্ষিত বন হিসেবে কাসালং আইনগতভাবে সুরক্ষিত। এটি বাংলাদেশের বন বিভাগের ‘বাঘাইছড়ি ফরেস্ট ডিভিশন’-এর আওতায়। তবে আইনি ঘোষণার চেয়ে বাস্তব রক্ষাই বড় চ্যালেঞ্জ। এটি বাংলাদেশের জৈব-পরিবেশ অঞ্চল ৯এ (Bio-Ecological Zone 9a)-এর অন্তর্ভুক্ত, যা সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
পুনঃবনায়ন ও বৃক্ষরোপণ
বন বিভাগ গত দুই দশকে ২৫ হাজার হেক্টর এলাকায় নতুন বৃক্ষরোপণ করেছে। তবে এসবের বেশিরভাগই বিদেশি প্রজাতির দ্রুতবর্ধনশীল গাছ—যা প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে খাপ খায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থানীয় প্রজাতি যেমন গর্জন, চাপালিশ, টুন ইত্যাদি দিয়ে পুনঃবনায়নই হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান।
বাঘ পুনঃপ্রবর্তন উদ্যোগ
২০২১ সালে কাসালং অঞ্চলে বাঘ পুনঃপ্রবর্তনের সম্ভাবনা যাচাইয়ে একটি বিশেষ সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানে দেখা যায়, পর্যাপ্ত শিকার প্রাণী ও বনাঞ্চল থাকলে বাঘ পুনঃপ্রবর্তন সম্ভব। তবে নিরাপত্তা, খাদ্যচক্র ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
কমিউনিটি ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট
বন রক্ষায় স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যগত বনজ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে যৌথভাবে বন ব্যবস্থাপনা করা হলে তারা বনের রক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারে। বন বিভাগের সঙ্গে স্থানীয়দের সহ-ব্যবস্থাপনা (কো-ম্যানেজমেন্ট) চালু হলে অবৈধ দখল ও কাঠ চুরি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
চ্যালেঞ্জ
- জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও ভূমি দখল
- জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৃষ্টিপাতের ধরণ পরিবর্তন
- বন বিভাগের সীমিত জনবল ও দুর্বল নজরদারি
- পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবিকা সংকট
- অব্যাহত বন উজাড় ও সংযোগ হারানো
- অবকাঠামোগত প্রকল্পের চাপ
সম্ভাবনা
- প্রাকৃতিক পুনর্জন্মের সক্ষমতা এখনও বিদ্যমান।
- সঠিক ব্যবস্থাপনায় কাসালং পুনরায় ঘন চিরসবুজ বনে পরিণত হতে পারে।
- ইকোট্যুরিজম ও গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে এটি স্থানীয় অর্থনীতি সচল রাখতে পারে।
- বাঘ ও অন্যান্য বড় স্তন্যপায়ী প্রাণীর আশ্রয়স্থল হিসেবে আন্তর্জাতিক সংরক্ষণ মানচিত্রে কাসালংয়ের নাম পুনরায় ফিরে আসতে পারে।
কাসালং সংরক্ষিত বন বাংলাদেশের প্রকৃতি ও পরিবেশের জীবন্ত প্রতীক। এটি একদিকে পাহাড়ি জীববৈচিত্র্যের দুর্গ, অন্যদিকে বন উজাড় ও দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছে। আজ যখন জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ ধ্বংস নিয়ে বিশ্ব উদ্বিগ্ন, তখন কাসালংয়ের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আমাদের নীতিনির্ধারক ও স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর।
যদি এখনই কার্যকর সংরক্ষণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়—অবৈধ দখল রোধ, স্থানীয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত, প্রাকৃতিক বনায়ন জোরদার এবং কঠোর আইন প্রয়োগ—তাহলে কাসালং আবারও হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের পাহাড়ি প্রাণবৈচিত্র্যের হৃদয়ভূমি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট
#কাসালং #চট্টগ্রামহিলট্র্যাক্টস #বনসংরক্ষণ #জীববৈচিত্র্য #বাংলাদেশপরিবেশ #সারাক্ষণরিপোর্ট